দুই তৃণমূল নেতার ছেলে-মেয়ের হাতাহাতির ঘটনায় উত্তপ্ত হল বিরাটির মৃণালিনী দত্ত মহাবিদ্যালয়। বুধবার এই ঘটনায় দু’পক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে নিমতা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। কলেজের মধ্যে এই ঘটনা কী করে ঘটল, প্রশ্ন উঠেছে তা নিয়েও।
পুলিশ জানিয়েছে, এ দিন দুপুরে ওই কলেজে এক বন্ধুর জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানাতে যান উত্তর দমদম পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি স্বপন হালদারের মেয়ে সানন্দা। তিনি ওই কলেজের ছাত্রী নন। তাই বহিরাগতরা কেন কলেজে ঢুকবে, তা নিয়ে বচসা হয় ওই কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র সৌমেন দাসের সঙ্গে। তাঁর বাবা প্রশান্ত দাস আবার পাশেই ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূলের সভাপতি। বচসার জেরে সানন্দা সৌমেনকে চড় মারেন ও পাল্টা সৌমেনও তাঁকে ধাক্কা দেন বলে অভিযোগ।
সানন্দার দাবি, ‘‘কলেজে বহিরাগতদের এনে গণ্ডগোল পাকায় সৌমেন। এ দিনও আমার এক বন্ধুর জন্মদিনে সকলে শুভেচ্ছা জানাতে ওই কলেজে গেলে দলবল নিয়ে সৌমেন চড়াও হয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেন।’’ অন্য দিকে, সৌমেনের বক্তব্য, ‘‘যিনি অভিযোগ করছেন, তিনিই বহিরাগত। কলেজে কোন অধিকারে তিনি ঢুকছেন এবং মারধর করছেন?’’ বহিরাগতের সমস্যা ও এই মারামারি নিয়ে কলেজের অধ্যক্ষ অপূর্ব বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, ‘‘কলেজ চলাকালীন গেট তো খোলাই থাকে। কে কে ঢুকছে, তা খেয়াল রাখা সমস্যার।’’
দুই তরুণ-তরুণীর বাবারা অবশ্য ছেলে-মেয়েদের এই লড়াইয়ের পিছনে নিজেদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মানতে নারাজ। প্রশান্তবাবুর বক্তব্য, ‘‘এটা ছোট ঘটনা। ওদের কম বয়স। ওরাই মিটিয়ে নেবে।’’ তবে স্বপনবাবুর দাবি, ‘‘রাজনীতির বিষয় নয়, কিন্তু এটা মেনে নেওয়া যায় না। মেয়ের উপরে হামলার ঘটনা পুলিশকে জানিয়েছি।’’ ব্যারাকপুর কমিশনারেটের গোয়েন্দাপ্রধান অজয় ঠাকুর বলেন, ‘‘দু’পক্ষই অভিযোগ জানিয়েছে। ঘটনা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’’