উড়ালপুল দিয়ে অবাধ যাতায়াত লরির। ছবি: শৌভিক দে।
গাড়ির ধাক্কায় ভেঙে গিয়েছিল উড়ালপুলের এক প্রান্তের হাইটবার। নতুন করে লাগানোর জন্য তখন খুলে নেওয়া হয়েছিল সেটি। খুলে নেওয়া হয়েছিল অন্য প্রান্তেরটিও। বলা হয়েছিল ক’দিনের মধ্যেই নতুন হাইটবার বসানো হবে। কিন্তু তার পরে চার মাস কেটে গেলেও এখনও নাগেরবাজার উড়ালপুলের কোনও প্রান্তেই বসানো হয়নি হাইটবার। আর সেই সুযোগে রাতের অন্ধকারে তো বটেই, যানজট এড়াতে দিনের বেলাতেও উড়ালপুলের উপর দিয়েই অনায়াসে যাতায়াত করছে বড় লরি, বাস এবং মালবাহী গাড়ি।
গত অগস্টে গা়ড়ির ধাক্কায় ওই উড়ালপুলের বিমানবন্দরের দিকের মুখে হাইটবারের এক দিক ভেঙে ঝুলতে থাকে। উড়ালপুলের তত্ত্বাবধানে থাকা হুগলি রিভার ব্রিজ কমিশনার্স অফিস (এইচআরবিসি) সে সময়ে জানিয়েছিল, কয়েক দিনের মধ্যেই লৌহ স্তম্ভটি নতুন করে বসিয়ে দেওয়া হবে। লরি, বাসের মতো বড় গাড়ি উঠে যাতে উড়ালপুলের ক্ষতি না হয়। কিন্তু চার মাস কেটে গেলেও কোনও ব্যবস্থাই নেওয়া হয়নি।
২০১৩ সালে উল্টোডাঙা উড়ালপুলের দেওয়ালে একটি লরি ধাক্কা মারলে ভেঙে পড়ে তার একাংশ। তার পর থেকেই বিভিন্ন উড়ালপুলে ওঠা-নামার মুখে লোহার ‘হাইট বার’ বসিয়ে দেওয়া হয়। যাতে বড় গাড়ি কোনও ভাবেই উড়ালপুলে উঠতে না পারে। নাগেরবাজার উড়ালপুলটিও রয়েছে তার মধ্যে।
স্থানীয় মানুষ জানাচ্ছেন, উল্টৌডাঙা উড়ালপুলের যে অংশটি ভেঙেছিল, সেটির নীচে তেমন বসতি ছিল না। কিন্তু নাগেরবাজার উড়ালপুল ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায়। উড়ালপুলের নীচেই রয়েছে অটোস্ট্যান্ড, বাজার, পার্কিংয়ের জায়গা। রোজ অজস্র মানুষ এখান দিয়ে যাতায়াত করেন। ফলে দুর্ঘটনা এড়াতে দ্রুত হাইটবার বসানো হোক বলে দাবি বাসিন্দাদের।
এ প্রসঙ্গে এইচআরবিসি জানিয়েছে, দ্রুত হাইটবারগুলি বসিয়ে উড়ালপুলে বড় গাড়ি চলাচল বন্ধ করা হবে। সরকারি কাজের টেন্ডার করতে গিয়ে দেরি হওয়ায় সেগুলি বসানো যাচ্ছে না। এইচআরবিসি-র ভাইস চেয়ারম্যান সাধনরঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘খুব তাড়াতাড়ি হাইটবারগুলি বসানো হবে। উড়ালপুলটির সুরক্ষা নিয়ে আমরা ওয়াকিবহাল।’’