অ্যাপের মাধ্যমে আবাসনের গেটে চালু নজরদারি

নিরাপত্তা ও নজরদারি জোরদার করার স্বার্থে সম্প্রতি নিউ টাউনের স্নেহদিয়া আবাসনে ডিজিটাল গেট রেজিস্টার ব্যবস্থা চালু করেছে হিডকো।

Advertisement

কাজল গুপ্ত

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০২:০৫
Share:

প্রতীকী ছবি।

কখনও খাবার নিয়ে, কখনও ওষুধ নিয়ে বা অন্য জিনিসপত্র দিতে বহিরাগতদের আনাগোনা লেগেই থাকে শহরের আবাসনগুলিতে। কোনও কোনও আবাসনে নিরাপত্তারক্ষী থাকেন। তাঁরা রেজিস্টারে বহিরাগতদের নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর নথিবদ্ধ করেন। অনেক আবাসনে আবার বহিরাগতদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহের কোনও ব্যবস্থাই নেই। দ্বিতীয় ক্ষেত্রে তো বটেই, প্রথম ক্ষেত্রেও নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যপ্ত নয় বলে অভিযোগ করেন বাসিন্দারা।

Advertisement

নিরাপত্তা ও নজরদারি জোরদার করার স্বার্থে সম্প্রতি নিউ টাউনের স্নেহদিয়া আবাসনে ডিজিটাল গেট রেজিস্টার ব্যবস্থা চালু করেছে হিডকো। হিডকোর কর্তারা বলছেন, আবাসনের প্রবেশপথে বহিরাগত, নিয়মিত যাতায়াতকারী কিংবা বাসিন্দাদের পরিচিতি সহজে এবং দ্রুত নথিবদ্ধ করার জন্যই এমন ব্যবস্থা। এই ব্যবস্থা ভবিষ্যতে অন্য আবাসনগুলিকেও নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে পথ দেখাবে বলে তাঁদের মত।

এই নতুন ব্যবস্থায় ওই আবাসনের গেটে থাকছে মোবাইলের মতো দেখতে একটি যন্ত্র। তাতে থাকছে ‘মাই গেট’ নামে একটি অ্যাপ। বহিরাগত কেউ এলে তাঁর মোবাইলের নম্বর এবং নাম জানালে দ্রুত ওই অ্যাপের মাধ্যমে সে সব নথিবদ্ধ হয়ে যাচ্ছে। আবাসিকদের কোনও অতিথি আসার কথা থাকলে আগে থেকেই অ্যাপ থেকে একটি কোড দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সেই কোড বলে তবেই আবাসনের ভিতরে যাওয়ার অনুমতি পাচ্ছেন অতিথিরা। এর পাশাপাশি যাঁরা বিভিন্ন কাজে নিয়মিত যাতায়াত করেন ওই আবাসনে, তাঁদেরও নির্দিষ্ট কোড দিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁরাও কোড বলার পরে আবাসনে ঢুকতে পারছেন।

Advertisement

হিডকো সূত্রের খবর, আবাসিকদের ছবি এবং তথ্য ওই অ্যাপে থাকছে। তাঁদের প্রবেশের ক্ষেত্রে কোনও কোড লাগছে না। তবে প্রবেশের পথে তাঁদের পরিচিতিও দ্রুত নথিবদ্ধ হয়ে যায় ওই অ্যাপে। আবাসনের ভিতরে প্রবেশের ক্ষেত্রে নজরদারি জোরদার করা সম্ভব হচ্ছে অ্যাপের মাধ্যমে। সেই তথ্য সংরক্ষণের ব্যবস্থাও থাকছে। পরে প্রয়োজনে সেই তথ্য নিয়ে তুলনামূলক পর্যালোচনা করা সম্ভব। ভবিষ্যতে ওই অ্যাপের মাধ্যমে যাতে বাসিন্দারা বিভিন্ন ধরনের বিলও মেটাতে পারেন, সেই ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে বলে হিডকো সূত্রের খবর।

নিউ টাউনে ইতিমধ্যেই একাধিক আবাসন তৈরি হয়েছে। সেখানে বাসিন্দাদের সংখ্যাও বাড়ছে। তাঁদের একাংশের কথায়, এই ধরনের প্রযুক্তির মাধ্যমে নজরদারি অনেক জোরদার করা সম্ভব। তবে সরকারি উদ্যোগে এই ধরনের ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা সহজ। বেসরকারি আবাসনের ক্ষেত্রে এই প্রযুক্তি কতটা ব্যবহার করা যাবে, তা নিয়ে সন্দিহান তাঁরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন