Kolkata Karcha

মলমল আর নীলার শহর

আদি সপ্তগ্রামের বাণিজ্য মুছে যাওয়ার পর সেখানকার দক্ষ তন্তুবায়রা বরানগর-সহ কলকাতার আশপাশে উঠে আসেন। চাঁদপাল ঘাটের কাছেও ছিল তাঁতিতের বসতি।

Advertisement
শেষ আপডেট: ০৫ অগস্ট ২০২৩ ০৭:১২
Share:

বিলেত থেকে গভর্নিং কাউন্সিলের নতুন কর্তা ফিলিপ ফ্রান্সিস আসছেন শহরে। কেল্লা থেকে তোপধ্বনি হচ্ছে। নামলেন চাঁদপাল ঘাটে, একটা সময়ে সাহেবদের শহরে প্রবেশের মূল পথ ছিল এই ঘাট। যার নামে এই ঘাটের নাম, সেই চাঁদ পাল ছিলেন এক সমৃদ্ধিশালী তন্তুবায়। তাঁতি আর সমৃদ্ধি? অবশ্যই, তা-ই তো ছিল প্রাচীন বাংলার বাস্তব। তাঁতিদের আর্থিক সমৃদ্ধির সাক্ষ্য রয়ে গিয়েছে অতীতের মেয়েদের লোকছড়ায়, “চরকা আমার ভাতার পুত/ চরকা আমার নাতি,/ চরকার দৌলতে আমার দোরে বাঁধা হাতি।”

Advertisement

আদি সপ্তগ্রামের বাণিজ্য মুছে যাওয়ার পর সেখানকার দক্ষ তন্তুবায়রা বরানগর-সহ কলকাতার আশপাশে উঠে আসেন। চাঁদপাল ঘাটের কাছেও ছিল তাঁতিতের বসতি। তাঁদের সুতোর ‘লুটী’ বিক্রির হাট থেকেই সুতানুটি স্থাননাম। এই তাঁতিরা কলকাতার অন্যতম আদি বাসিন্দা শেঠ-বসাকদের কাছ থেকে দাদন নিয়ে কাপড় বুনে দিতেন, শেঠ-বসাকেরা সেই কাপড় বিক্রি করতেন ইংরেজ ও অন্য বিদেশি বণিকদের। লাভও হত প্রচুর। ক্রমে ব্যবসা বাড়লে, আজ যেখানে শহিদ মিনার তার কাছাকাছি জায়গায় গড়ে উঠল বিশাল তাঁতশাল। প্রাণকৃষ্ণ দত্ত লিখেছেন, সিমুলিয়ার তাঁতিদের খ্যাতি ছিল তাঁদের বোনা সূক্ষ্ম ধুতির জন্য। এ শহরে এক তন্তুবায় ব্যবসায়ীর নামে রাস্তাও আছে, দর্জিপাড়ার জগন্নাথ সুরুই লেন। লোকমুখে জগন্নাথ ‘শুড়ী’, গুগল ম্যাপ দেখায় জগন্নাথ সুর লেন।

আঠারো শতকের প্রথম দিকে কলকাতায় বাজারজাত হত বাংলার নানা প্রান্তের কাপড়। কোশা, মলমল, ডুরে, অদিতি ইত্যাদি নানা রকম মসলিন পাওয়া যেত। ছিল সুশি নামে এক ধরনের সিল্কের কাপড়। নানা ধরনের সুতিবস্ত্র মজুদ হত, যেমন তাঞ্জিব, হামাম, গুড়া। এ শহরের মহানগর হয়ে ওঠার ইতিহাসের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে বয়নশিল্প ও বস্ত্রবাণিজ্যের ইতিহাসও।

Advertisement

দীর্ঘ পরাধীনতায় অন্যান্য দেশজ শিল্পের মতো বয়নশিল্পের এই সমৃদ্ধিও নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। স্বাধীনতা সংগ্রামের দিনগুলিতে সমৃদ্ধি না হোক, স্বনির্ভরতার প্রতীক ছিল চরকা। বঙ্গভঙ্গ রদ আন্দোলনের সময় রবীন্দ্রনাথের সক্রিয় অংশগ্রহণে জাতীয় তহবিল গঠিত হয়। তার অর্থে ‘জাতীয় বয়ন বিদ্যালয়’ বা ‘ন্যাশনাল উইভিং স্কুল’ প্রতিষ্ঠিত হল শিবনারায়ণ দাসের গলিতে। চরকায় সুতো কাটা, তাঁত বোনা শিখে স্বদেশি পথে রোজগারের জন্য ছেলেরা ভর্তি হল সেই স্কুলে। তাদের শেখানোর জন্য কেনা হল চরকা, ঠকঠকি তাঁত ও কয়েকটি হ্যাটার্সলি তাঁত। কিন্তু প্রশিক্ষণ শেষে আশানুরূপ আয় না হওয়ায় এই নিরীক্ষা এক রকম ব্যর্থ হল। তবু স্বদেশি যা-কিছু গ্রহণ ও বিদেশি বর্জন আন্দোলনে চরকার গুরুত্ব কমেনি। সেই আন্দোলনে অংশ নেওয়া, আজকের কোনও বৃদ্ধার মনে পড়ে ছড়া, “অলসতা ছাড়ি সুতা কাটো বামাগণ/ পাইবে অন্ন বস্ত্র গান্ধীর বচন।” ৭ অগস্ট জাতীয় হ্যান্ডলুম দিবস, পারম্পরিক শিল্প ঐতিহ্য সংরক্ষণের পাশাপাশি হস্তচালিত তাঁতশিল্পের গুরুত্বের কথা মনে করায় দিনটি। সেই সঙ্গে কলকাতার ইতিহাসে বয়নশিল্পী ও বস্ত্রবণিকদের ভূমিকাও। ছবিতে উনিশ শতকে এডমন্ড স্কট-এর এনগ্রেভিংয়ে বাংলার তাঁতি, উইকিমিডিয়া কমনস থেকে।

তিনটি ছবি

সাদাত হাসান মান্টোর একটি গল্প অবলম্বনে চিত্রনাট্য লিখতে বসেছিলেন মৃণাল সেন (ছবি)। “লিখতে গিয়ে বুঝলাম যে রবীন্দ্রনাথের ‘ক্ষুধিত পাষাণ’-এর সমর্থন চাই। চিত্রনাট্য তৈরি করলাম দুটোতে মিলিয়ে।” তৈরি হল অন্তরীণ। আত্মস্মৃতি তৃতীয় ভুবন-এ (আনন্দ) লিখেছেন মৃণালবাবু। ছবির লেখক-নায়ক এক পুরনো প্রাসাদোপম বাড়িতে গিয়েছে ক’দিনের জন্য যদি কিছু লেখার বিষয় খুঁজে পাওয়া যায়, সে বাড়িতে যেন ‘ক্ষুধিত পাষাণ’-এর গল্পও আছে। ছবির লেখক-নায়ক চরিত্রে ছিলেন অঞ্জন দত্ত। তিনি বলবেন এই ছবি নিয়ে, পরে তার প্রদর্শন। মৃণাল সেনের শতবর্ষে আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ-এ তিন দিন ব্যাপী আয়োজন, অন্তরীণ ছাড়াও ভুবন সোম ও কলকাতা ৭১। এই দু’টি ছবি নিয়ে বলবেন শেখর দাশ ও সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়। সঙ্গে হিরণ মিত্রের আঁকা ছবির প্রদর্শনী। আগামী ৯, ১০ ও ১১ অগস্ট সন্ধ্যা ৬টায়, সহ-উদ্যোগে দৃশ্য, ব্লু চক স্টুডিয়ো ও ট্রামলাইন।

পাশে থাকা

জলবায়ু পরিবর্তনের জেরে দুর্যোগ যত তীব্র ও নিয়মিত হচ্ছে, ততই বেশি সংখ্যায় মানুষকে নামতে হচ্ছে রাস্তায়। কাজের খোঁজে, বাসস্থানের খোঁজে তাঁরা পাড়ি দিচ্ছেন অন্য জেলায়, অন্য রাজ্যে। কেমন তাঁদের বিপন্নতা, ভিন্‌রাজ্যে গিয়ে কতটুকুই বা উন্নত হয় জীবন, নাগরিকের অধিকার কতটুকু সুরক্ষিত হয়? জলবায়ু পরিবর্তনের কারণ নিবৃত্তির দিকে সরকারি নীতি যত উদাসীন, ততটাই উপেক্ষিত উদ্বাস্তু মানুষের পুনর্বাসন— সে দিকটি সহজে আলোচনায় আসে না। সাংবাদিকরা কী ভাবে পরিযায়ী শ্রমিক ও জলবায়ু-উদ্বাস্তুদের নিয়ে আসতে পারেন সংবাদে, তা নিয়ে আন্তর্জাতিক কর্মশালা করল ক্যালকাটা রিসার্চ গ্রুপ, সঙ্গী জাতীয় ও আন্তর্জাতিক কয়েকটি সংগঠন। উদ্বোধনী ভাষণ দিলেন প্যাট্রিসিয়া মুখিম, গ্যোটে ইনস্টিটিউটে আলোচনা হয়ে গেল গত ২৮ জুলাই।

কতটা পথ

নব্বই দশকের গোড়া থেকে ভারতীয় অর্থনীতিতে দিক বদল— বাজারমুখী উদারীকরণ ও কাঠামোগত সংস্কারে বাড়ল প্রবৃদ্ধির হার, অন্য দিকে অর্থনীতিতে সরকারের ভূমিকা ছাঁটতে অর্থশাস্ত্রীদের একাংশ দাঁড়ালেন সংস্কারের বিরুদ্ধে। বিতর্ক-আবহে এক দশক কাটল, কেন্দ্র উদারনীতি থেকে সরে আসার প্রয়োজন বোধ করেনি। উদারীকরণ-উত্তর ভারতীয় অর্থনীতি যে হারে বেড়ে উঠেছে তা সংস্কার-পূর্ববর্তী চার দশকের গড় বৃদ্ধির তুলনায় অনেকটাই বেশি, কিন্তু তার সুফল কি সব নাগরিকের কাছে সমান পৌঁছল? দারিদ্রই বা কতটা কমল? ইনস্টিটিউট অব ডেভলপমেন্ট স্টাডিজ় কলকাতা-র (আইডিএসকে) প্রতিষ্ঠাদিবসে এ নিয়ে বলবেন লন্ডন স্কুল অব ইকনমিক্স-এর অধ্যাপক মৈত্রীশ ঘটক, ৮ অগস্ট বিকেল ৪টেয় আইডিএসকে সল্ট লেক ক্যাম্পাসে।

অন্য ইতিহাস

“আলো হাওয়া অন্ধকার আর নারীর জন্য নিরন্তর জুয়োখেলা চলছে পৃথিবীতে,” লিখেছিলেন সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর উপন্যাস জোছনাকুমারী থেকে গড়া উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়ের নাটকে জেগে ওঠে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে গড়বন্দীপুর গ্রামে সীমান্তসেনা, পুলিশ ও মানুষের লোভ, অর্থলিপ্সা আর এক নারীর করুণ জীবন। যেন জ্যোৎস্না দিয়ে গড়া, গ্রামবাসী নাম দিয়েছে জোছনাকুমারী। সে কি হিন্দু, না মুসলমান? বীণা, না ফতিমা? দুর্বৃত্তেরা তাকে বিক্রির ফন্দি আঁটে, কেউ বলে ডাইনি, তাকে ঘিরে ঘন হয় সভ্যতার সঙ্কট। অভিনয়ে মেঘনাদ ভট্টাচার্য শুভাশিস মুখোপাধ্যায় ও সহশিল্পীরা, নির্দেশনায় সৌমিত্র মিত্র। ‘পূর্ব-পশ্চিম’ নাট্যদলের জোছনাকুমারী, আগামী ১১ অগস্ট অ্যাকাডেমি মঞ্চে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়।

হাতে-বোনা

বাংলার নিজস্ব হাতে-বোনা কাপড়ের বাজারটি কেমন? হ্যান্ডলুম, খাদি বলে বাজারে যার দেদার বিক্রি, তার অধিকাংশই যন্ত্রে বোনা, পলিয়েস্টার মেশানো সুতোয় তৈরি। দিশি সুতোয়, তাঁতির নিজের হাতে বোনা কাপড়ের দেখা মেলে কই? বহু কাপড়ের রংও ক্ষতিকর, শুধু ত্বকেরই না, ক্ষতি করে পরিবেশেরও। পরিবেশবান্ধব জীবনচর্যার পথ দেখাতে, হাতে-বোনা কাপড় নিয়ে ক্রেতাকে সচেতন করতে আজ ও কাল, ৫-৬ অগস্ট দুপুর ১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত বিজয়গড় জ্যোতিষ রায় কলেজে নানা জেলার বুনন-শিল্পীরা থাকবেন তাঁদের সৃষ্টি নিয়ে। তাঁদের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ, তার ফাঁকেই অল্পবিস্তর রসনাবিলাসও। দিশি ও ভাল জিনিসটি জেনে-চিনে নেওয়ার এই উদ্যোগটি— ‘অঙ্গসাজ’।

উদ্ভাবক

২৯ জুলাই চলে গেল, চিত্রশিল্পী সনৎ করের (বাঁ দিকের ছবিতে সোমনাথ হোরের স্কেচে শিল্পী) জন্মদিন। এ বছর জানুয়ারিতে প্রয়াত এই শিল্পী ছিলেন দেবভাষা বই ও শিল্পের আবাস-এর অভিভাবক। দেবভাষার প্রথম প্রদর্শনী তাঁরই ছবি নিয়ে, প্রতি বছর শিল্পীর নানা মাধ্যমের কাজ নিয়ে প্রদর্শনী হয়েছে এখানে, বেরিয়েছে তাঁর বই, স্কেচখাতা। ভারতীয় ছাপাইচিত্রে সনৎ করের ভূমিকা আবিষ্কারকের; উড ইনট্যাগলিয়ো-র জনক তিনি, কাঠের প্লেট থেকে যে বহুরঙা প্রিন্ট নেওয়া যেতে পারে তার দিগ্‌দর্শক, সানমাইকা ও কার্ডবোর্ড এনগ্রেভিং-ও (ছবিতে ডান দিকে) তাঁরই ভাবনার পরিণতি। আবার তেলরং টেম্পেরা প্যাস্টেলে আঁকা তাঁর চিত্রমালা জন্ম দিয়েছে অভাবনীয়ের। আজ থেকে দেবভাষায় শুরু শিল্পীর বিভিন্ন কালপর্বের ছাপাইচিত্র ও সংশ্লিষ্ট প্লেটের প্রদর্শনী ‘প্লেটস অ্যান্ড প্রিন্টস’, থাকবেন গণেশ হালুই, যোগেন চৌধুরী প্রমুখ। ৩০ অগস্ট পর্যন্ত, রোজ দুপুর ২টো থেকে রাত ৮টা, রবিবার বাদে।

১২০ বছরে

১৯০৪ সালের ২৪ জুলাই, ক’জন উৎসাহী যুবকের আগ্রহে প্রতিষ্ঠিত হয় ‘রেণু কুটির লাইব্রেরি’। উদ্বোধন করেন বঙ্গবাসী পত্রিকার সম্পাদক বিহারীলাল সরকার। পরে নাম বদলে ‘শান্তি লাইব্রেরি’, ১৯১৭-র অক্টোবর থেকে আজকের ‘কসবা পাবলিক লাইব্রেরি’। প্রথম সারস্বত উৎসবে ছিলেন প্রফুল্লচন্দ্র রায়, হরিদেব শাস্ত্রী ও সি ভি রামন, ১৯৩১-এ এক বিচিত্রানুষ্ঠানে কবিতা পড়েছিলেন নজরুল, ছিলেন যতীন্দ্রমোহন বাগচী, নির্মলচন্দ্র চন্দ্র প্রমুখ। এই সবই কত কাল আগের কথা, পায়ে পায়ে একশো কুড়ি বছরে পা রেখেছে কসবা পাবলিক লাইব্রেরি (ছবি)। আছে প্রায় ২৭ হাজার বই, ১০০০ দুষ্প্রাপ্য ও সহায়ক গ্রন্থ, শিক্ষার্থীদের জন্য পাঠ্যপুস্তক বিভাগ, পাঠাগারের পরিচালনায় চলে একটি প্রাইমারি স্কুলও। কার্যনির্বাহী সমিতির সদস্যরা স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁচিয়ে রেখেছেন এইা লাইব্রেরিকে, ডিজিটাল ক্যাটালগ, ব্লগ, ফেসবুকের সাহায্যে রক্ষা করছেন বইয়ের ঘর। গত ২৪ জুলাই ১২০ বছর উপলক্ষে হয়ে গেল অনুষ্ঠানও।

আত্মবিকাশ

ছোটদের নিয়ে ভাবনা মানে কি শুধু ইস্কুলের লেখাপড়া নিয়েই ভাবনা? শুধুই ‘ইংলিশ মিডিয়াম’, হোমওয়ার্ক, প্রজেক্ট? ক্রমশ ও দ্রুত পাল্টে-যাওয়া এই সময় ও সমাজে ছোটরা আলাদা করে মনোযোগ দাবি করে, বিশেষত মূল্যবোধের শিক্ষা বিষয়ে। সেই নিয়েই রামকৃষ্ণ মিশন ইনস্টিটিউট অব কালচার-এর উদ্যোগে, কলকাতার ত্রিশেরও বেশি স্কুলের প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য ‘আত্মবিকাশ’ নামে একটি নিরীক্ষামূলক প্রকল্প শুরু হতে চলেছে আজ ৫ অগস্ট থেকে। গল্প আর ছবি-ভরা, বাংলা আর ইংরেজিতে লেখা বাছাই কিছু বই পাবে ছেলেমেয়েরা, ‘শেয়ার’ করে পড়বে বছরভর। ইচ্ছে হলে তবেই, বাধ্যবাধকতা নেই কোনও। স্কুলগুলির প্রতিনিধি স্যর-দিদিমণি ও পড়ুয়াদের অভিভাবকেরা একত্র হচ্ছেন আজ ইনস্টিটিউট-এর বিবেকানন্দ হল-এ, সকাল ১০টায়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন