রোগী-মৃত্যুতে উত্তেজনা হাসপাতালে

দীপকবাবুর পরিবার জানিয়েছে, গত ৮ ফেব্রুয়ারি তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। কয়েক বছর আগে তাঁর ব্লাড সুগার ধরা পড়ে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ মার্চ ২০১৮ ০১:৩৩
Share:

দীপককুমার বন্দ্যোপাধ্যায়।

এক রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল ইস্টার্ন মেট্রোপলিটন বাইপাস সংলগ্ন একটি হাসপাতালে। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম দীপককুমার বন্দ্যোপাধ্যায় (৬৬)। তিনি বাঘা যতীনে থাকতেন। শুক্রবার সকালে এ নিয়ে দীপকবাবুর পরিবার ক্ষোভে ফেটে পড়লে তাঁদের বিরুদ্ধে ভাঙচুর চালানোর পাল্টা অভিযোগ আনেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে রোগীর পরিবার।

Advertisement

দীপকবাবুর পরিবার জানিয়েছে, গত ৮ ফেব্রুয়ারি তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। কয়েক বছর আগে তাঁর ব্লাড সুগার ধরা পড়ে। বাইপাস সার্জারিও হয়ে গিয়েছে গত বছর। কয়েক মাস আগে তাঁর ডান পায়ের আঙুলে চোট লাগায় একটি ঘা হয়ে গিয়েছিল। অভিযোগ, হাসপাতালে ভর্তির পরে ১২ তারিখ অস্ত্রোপচার করে ডান পায়ের আঙুল বাদ দেন হাসপাতালের এক চিকিৎসক এবং ২০ তারিখ তাঁকে ছেড়েও দেওয়া হয়।

কিন্তু ছেড়ে দেওয়া হলেও দীপকবাবু তখনও বমি করছিলেন। চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কর্ণপাত করেননি বলে পরিবারের অভিযোগ। দু’দিন পরেই ফের ২৩ ফেব্রুয়ারি তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়। সে দিন থেকে মৃত্যু পর্যন্ত ওই হাসপাতালেই ছিলেন দীপকবাবু। তাঁর স্ত্রী ব্রততী বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিন হাসপাতালে দাঁড়িয়ে অভিযোগ করে বলেন, ‘‘অত বমি করছে দেখেও ২৩ তারিখ থেকে ওকে স্রেফ ফেলে রাখা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার যখন সিটি স্ক্যান করা হল, তখন অনেকটাই দেরি হয়ে গিয়েছে।’’ ব্রততীদেবী বলেন, ‘‘রাত সাড়ে তিনটের সময় ফোন করে বলা হল, ওঁর জন্ডিস ও অগ্ন্যাশয়ে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে! আর আশা নেই।’’

Advertisement

যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে অভিযোগ অস্বীকার করে বলা হয়েছে, ‘‘বোর্ড মিটিং ডেকে, বাড়ির লোকজনের সঙ্গে কথা বলেই দীপকবাবুর পায়ের আঙুল বাদ দেওয়া হয়েছিল। তার পরে পুরোপুরি সুস্থ করেই তাঁকে বাড়ি পাঠানো হয়েছিল। আমাদের দুর্ভাগ্য, চেষ্টা করেও বাঁচাতে পারলাম না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন