কেউ রয়েছেন মাস সাতেক, আবার কেউ শেষ সপ্তাহে এসে উপস্থিত।
ওঁদের পুজো কাটছে চার দেওয়ালের ভিতরে। কিন্তু দুর্গাপুজোর আনন্দ থেকে বাদ যাননি ওঁরা। শারীরিক অসুস্থার বাধা কাটিয়েও তাঁরা স্বাদ পেয়েছেন পুজোর আনন্দের।
দুর্গাপুজোয় সেজে উঠেছে গোটা শহর। সেই উৎসবের আনন্দ থেকে বাদ যাননি সরকারি হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীরাও।
সপ্তমী থেকে দশমী, চার দিন ধরে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগীদের জন্য বিশেষ খাবারের আয়োজন করেছেন। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, রোগীদের জন্য বিশেষ বাঙালি খাবারের আয়োজন করা হয়েছে। বিশেষত, শিশু বিভাগে ভর্তি থাকা রোগীদের জন্য আয়োজন করা হয়েছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুজো পরিক্রমার। হাসপাতালের তরফে চিকিৎসক নির্মল মাজি বলেন, ‘‘হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীরা যাতে পুজোর দিনে মানসিক ভাবে একটু স্বস্তিতে থাকতে পারেন তাই এই ব্যবস্থা। বিশেষ করে হাসপাতালে ভর্তি থাকা শিশুদের মন ভাল রাখতেই এমন ব্যবস্থা।’’
আরও পড়ুন:তৃতীয়া থেকেই বাড়তি ট্রেন চাইছে উৎসব
মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পাশাপাশি এসএসকেএম এবং এনআরএস হাসপাতালের রোগীদের জন্যও পুজো উপলক্ষে বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে। রোগীদের জন্য বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা করার পাশাপাশি নতুন পর্দা এবং চাদরে ওয়ার্ডগুলি সাজিয়ে তোলা হয়েছে। এনআরএস হাসপাতালের এক কর্তা বলেন, ‘‘পুজোর সময় সবাই বাড়িতে থাকতে চান। কিন্তু যে সব রোগীরা হাসপাতালে ভর্তি থাকেন, মানসিক ভাবে তাঁরা আরও ভেঙে প়ড়েন, একটু অন্য রকম পরিবেশ তাঁদের ভাল রাখে।’’
হাসপাতালের এই আয়োজনে খুশি রোগীরাও। বর্ধমানের মৌমিতা রায় হার্টের সমস্যা নিয়ে গত তিন সপ্তাহ ধরে মেডিক্যাল কলেজের শিশু বিভাগে ভর্তি। এ দিন সে বলল, ‘‘পুজোর আগে বাড়ি যাওয়ার ইচ্ছে ছিল। কিন্তু ছুটি পেলাম না। তবে, এই ক’দিন হাসপাতালও অন্য রকম। বেশ পুজোর আমেজ রয়েছে।’’এসএসকেএম হাসপাতালের অস্থি বিভাগে মাস দেড়েক ধরে ভর্তি থাকা অসীম দত্তের কথায়, ‘‘হাসপাতাল কর্মীদের যত্নে পুজোয় বাড়ির বাইরে থাকার দুঃখ কিছুটা কমল।’’