যাদবপুরের শ্রীকলোনি মোড়ে দোলের দিন দুপুরে রং খেলছিলেন চার বন্ধু। সেই সময়ে হঠাৎ তাঁদের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। স্থানীয় এক যুবক সেই বিবাদ মেটাতে এগিয়ে আসায় উল্টে তাঁর হাতে গরম জল ঢেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
পুলিশ জানায়, রবিবার দুপুর তিনটে নাগাদ যাদবপুরের শ্রীকলোনি মোড়ে কয়েক জন যুবক রং খেলছিলেন। তাঁরা তখন মত্ত অবস্থায় ছিলেন। হঠাৎ কিছু একটা নিয়ে বচসা বেধে যায়। যা গড়ায় হাতাহাতিতে। ঝামেলা মেটাতে এগিয়ে এসেছিলেন স্থানীয় যুবক চিরঞ্জিত দে। অভিযোগ, সেই সময়ে চার যুবকের মধ্যে এক জন পাশের চায়ের দোকান থেকে গরম জল ভর্তি কেটলি এনে চিরঞ্জিতের ডান হাতে ঢেলে দেন। এর পরেই জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে পড়ে যান তিনি। তাঁর ডান পা-ও ভেঙে যায়। ওই তল্লাটেই বাড়ি চিরঞ্জিতের। খবর পেয়ে তাঁর স্ত্রী রূপা দে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। তাঁকে প্রথমে এম আর বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এখন বাঘা যতীন মোড়ের কাছে একটি নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন তিনি।
চিরঞ্জিতের স্ত্রী রূপার অভিযোগ, ‘‘দোলের দিন কয়েক জন যুবকের মধ্যে মারপিট থামাতে যাওয়ায় আমার স্বামীর শরীরে যে ভাবে গরম জল ঢালা হল, তা তো খুন করার নামান্তর। ঘটনায় যুক্ত দোষীদের শাস্তি হোক, এটাই চাই।’’ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন চিরঞ্জিতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে, ওই চার যুবকই যাদবপুরের শ্রীকলোনির বাসিন্দা। তবে তাঁদের মধ্যে কে চিরঞ্জিতের হাতে গরম জল ঢেলেছেন, তা জানতে ওই চার জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। এই ঘটনায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩২৪ নম্বর ধারায় (গরম জিনিস দিয়ে কাউকে আঘাত করার দণ্ড) মামলা রুজু করেছে যাদবপুর থানার পুলিশ। ডিসি (এসএসডি) ভাদনা বরুণ চন্দ্রশেখর বলেন, ‘‘ঘটনায় এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি।’’