অনড়: ভিআইপি রোডে সার দিয়ে আটকে রয়েছে গাড়ি। শুক্রবার, লেক টাউনে। ছবি: সুমন বল্লভ
নাগাড়ে বেজে চলেছে অ্যাম্বুল্যান্সের সাইরেন। ভিতরে অস্থির রোগী।
বিরাটির বাসিন্দা প্রৌঢ় রবীন্দ্রনাথ বিশ্বাস বন্ধুকে উল্টোডাঙার এক নার্সিংহোমে নিয়ে যাচ্ছিলেন। অ্যাম্বুল্যান্সে তখন কাতরাচ্ছেন বন্ধু। কিন্তু, আধঘণ্টায় অ্যাম্বুল্যান্স ৫০০ মিটারের বেশি এগোয়নি। শেষে মুশকিল আসান করতে অ্যাম্বুল্যান্স চালকই একটি বাইকে রবীন্দ্রনাথবাবু এবং তাঁর বন্ধুকে তুলে দিলেন। তখন সকাল ১০টা।
এই ঘটনা শুক্রবার সকালে ভিআইপি রোডের খণ্ডচিত্র মাত্র। এক দিনের নোটিসে কলকাতামুখী লেনে যান নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে নাকানিচোবানি খেতে হল পুলিশকে। বেলা বাড়তেই পুরো ট্র্যাফিক ব্যবস্থা কার্যত তালগোল পাকিয়ে গেল। কিন্তু আগাম ঘোষণা বা সতর্কতা ছিল না যে লেনের জন্য, পুলিশের মাথাব্যথা বাড়িয়ে সেই বিমানবন্দরমুখী লেনও কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। বেলা ১২টা নাগাদ রাস্তার দু’টি লেনেই ব্যাপক জটে আটকে পড়ে যানবাহন।
লেক টাউনে সাবওয়ের কাজ চলছে। শুক্রবার থেকে যান নিয়ন্ত্রণ হবে বলে বৃহস্পতিবার বিকেলে ঘোষণা করে বিধাননগর কমিশনারেট। আগেও বিমানবন্দরমুখী লেনে এক দিনের নোটিসে যান নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে নাজেহাল হয়েছিল পুলিশ।
এ দিন সকাল সাড়ে আটটা থেকে যানজট শুরু হয়। লেক টাউন থেকে গাড়ির লাইন পৌঁছয় দমদম পার্কে। বেলা বাড়তেই তা পৌঁছয় কেষ্টপুর মোড়ে। বিমানবন্দরমুখী লেনে রাস্তা বন্ধ রেখে এত দিন কাজ হচ্ছিল। গাড়ি চলছিল সার্ভিস রোড দিয়ে। এ দিন সেই লেন খুলে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সকালে দেখা যায়, সেই রাস্তা মেরামতি হয়নি। তার ফলে উল্টোডাঙার দিক থেকে আসা গাড়িগুলি আটকে পড়ে। বেলা ১২টা নাগাদ যানবাহনের লাইন কাঁকুড়গাছি ছাড়িয়ে যায়। অন্য দিকে হাডকো মোড় থেকে সল্টলেকের দিকের রাস্তাও অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে।
বিধাননগর কমিশনারেটের ডিসি (সদর) অমিত জাভালগি বলেন, ‘‘শ্রীভূমিতে রাস্তা তৈরি করা যায়নি বলে কিছু সমস্যা হয়েছিল। সেই রাস্তা তৈরির কাজ চলছে।’’ তবে বিকেল থেকে বৃষ্টি নামায় রাস্তা তৈরির কাজ থমকে যায়। বাড়ে যান-যন্ত্রণাও।