ছাত্রভর্তিতে প্রবেশিকা পরীক্ষা চালু রাখার দাবি জানাল ইন্ডিপেন্ডেন্ট কনসলিডেশন (আইসি)। বিশ্ববিদ্যালয়ের মানোন্নয়নের স্বার্থেই যে এর প্রয়োজন, তা জানিয়ে উপাচার্যের কাছে সোমবার স্মারকলিপি দিয়েছে ওই ছাত্র সংগঠন। জানতে চাওয়া হয়েছে উপাচার্যের বক্তব্য। আজ, মঙ্গলবার উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়া এ বিষয়ে নিজের বক্তব্য জানাবেন।
প্রেসিডেন্সিতে বরাবরই প্রবেশিকা পরীক্ষা নিয়ে ছাত্রভর্তি করা হয়। মূলত মেধাবী ছাত্র বাছাইয়ের জন্যই এই প্রক্রিয়া। কিন্তু প্রেসিডেন্সি কর্তৃপক্ষের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত হওয়ার পর থেকে আবেদনকারীর সংখ্যা বাড়ছে। অত প্রার্থীর পরীক্ষার আয়োজন করা ক্রমশ কঠিন হচ্ছে। এই যুক্তিতে কর্তৃপক্ষ কেন্দ্রীয় ভাবে প্রবেশিকা পরীক্ষার পক্ষে নন বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর।
এ নিয়ে আলোচনার জন্য সোমবার সাধারণ সভা ডাকেন আইসি-র সদস্যেরা। পরে সংগঠনের সদস্য তৃষা চন্দ জানান তাঁদের মতে, প্রেসিডেন্সির মান বজায় রাখতে প্রবেশিকা পরীক্ষার মাধ্যমে ভাল পড়ুয়া বাছা প্রয়োজন। উপাচার্যকে লিখিত ভাবে সে কথা জানিয়েছে আইসি। তৃষার কথায়, ‘‘আমরা শুনেছি কর্তৃপক্ষ প্রবেশিকা পরীক্ষা তুলে দিতে চাইছেন। কিন্তু উপাচার্য কিছু জানাননি। তাই এ প্রসঙ্গে তাঁর মতামতও আমরা জানতে চেয়েছি।’’ অনুরাধাদেবী পরে বলেন, ‘‘ছাত্রছাত্রীদের বলেছি, মঙ্গলবারই আমার মত জানাব।’’
গত সপ্তাহে বিভিন্ন বিভাগীয় প্রধানের কাছে ই-মেল পাঠিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কমিটি। ছাত্রভর্তিতে আদৌ প্রবেশিকা পরীক্ষার প্রয়োজন আছে কি না, থাকলেও কী ভাবে আবেদনকারী প্রার্থীর সংখ্যা যথাসম্ভব কমানো যায়, সে সম্পর্কে প্রধানদের মত জানতে চাওয়া হয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, বিভাগীয় প্রধানদের উত্তর চলে এসেছে। আগামী ১৭ এপ্রিল জেনারেল বোর্ডের বৈঠকে এ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হওয়ার কথা।