তারা প্রথম। দ্বিতীয়ের থেকে অনেকটাই এগিয়ে থাকা প্রথম। এই মুহূর্তে কলকাতা থেকে দেশের অভ্যন্তরীণ উড়ানে তাদের চ্যালেঞ্জ জানানোর কেউ নেই। এ বার এ শহর থেকে আন্তর্জাতিক উড়ান বাড়ানোর দিকে ঝুঁকছে ইন্ডিগো।
কলকাতা থেকে আন্তর্জাতিক উড়ান হিসেবে দিনে দু’টি ব্যাঙ্ককের উড়ান চালায় ইন্ডিগো। সংস্থার ডিরেক্টর (কর্পোরেট কমিউনিকেশন) অজয় জাসরা জানান, এক মাসের মধ্যে শুরু হচ্ছে ঢাকার উড়ান। সেপ্টেম্বরের মধ্যে সিঙ্গাপুর, তার পরেই কাঠমান্ডু। ইন্ডিগোর প্রেসিডেন্ট, আদিত্য ঘোষ আন্তর্জাতিক উড়ানের অনুমতি পাওয়ার আগে কলকাতা-কাঠমান্ডু উড়ান শুরুর কথা বলেছিলেন। নেপালের ভূমিকম্পে তা হয়নি। তবে এত দিন পরে সেই উড়ান ফিরছে। ঢাকা নিয়েও আশাবাদী সংস্থা। অজয় জানান, বাংলাদেশের অনেক নাগরিক কলকাতায় আসেন চিকিৎসার জন্য। ইন্ডিগো জানায়, কলকাতা থেকে এখন তাদের ৪টি উড়ান হায়দরাবাদে, ৬টি মুম্বইয়ে, ৮টি বেঙ্গালুরুতে, ৮টি চেন্নাইয়ে ও ১২টি দিল্লিতে আছে। ফলে ঢাকা থেকে আসা যাত্রীরা সহজেই কলকাতা ছুঁয়ে ওই সব শহরে পৌঁছতে পারবেন।
কলকাতা থেকে এখন দিনে ৮৫টি উড়ান ছাড়ে ইন্ডিগোর। ২৮টি উড়ান নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে জেট। এয়ার ইন্ডিয়া, স্পাইসজেটও ২৫-২৮ এর মধ্যে। অজয়ের দাবি, এই ব্যবধানটা বাড়ছে। প্রতি মাসে গড়ে দু’টি নতুন বিমান পৌঁছচ্ছে ইন্ডিগোর হাতে। প্রতিটি শহর থেকেই নতুন উড়ান চালু হচ্ছে। বাড়ছে উড়ান সংখ্যাও। পয়লা বৈশাখ থেকে কলকাতা থেকে সরাসরি জম্মু-কাশ্মীরে উড়ান চালু হচ্ছে। কলকাতা থেকে কোচির সরাসরি উড়ানও চালু করবে তারা। অন্য দিকে, সম্প্রতি কলকাতা থেকে উড়ান চালানোর কথা ঘোষণা করেছে এয়ার এশিয়া ইন্ডিয়াও। টাটা-র সঙ্গে গাঁটছড়ায় তৈরি এয়ার এশিয়ার এই সংস্থা অনেক কম দামে টিকিট বিক্রি করছে। কলকাতা থেকে রাঁচির ভাড়া ধার্য হয়েছে ১৬০০ টাকা। ইন্ডিগোর কর্তারা অবশ্য এয়ার এশিয়া ইন্ডিয়াকে তাঁদের প্রতিযোগী মনে করছেন না।