চারুচন্দ্র কলেজের ছাত্র ভর্তির কমিটি থেকে পদত্যাগ করলেন ওই কমিটির আহ্বায়ক বিমলশঙ্কর নন্দ। মঙ্গলবার ওই কমিটির দ্বিতীয় দিনের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন তিনি।
চারুচন্দ্র কলেজের শিক্ষকদের একাংশের অভিযোগ, কয়েক মাস আগেই ছাত্র ভর্তি নিয়ে পরিচালন সমিতির নানা অনিয়মের কথা শিক্ষামন্ত্রীর কানে পৌঁছয়। তার পরেই ওই কলেজে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে প্রশাসক নিয়োগ করা হয়। কিন্তু অভিযোগ, তাঁকে ডিঙিয়েই কলেজের অধ্যক্ষ সত্রাজিৎ ঘোষ ছাত্র ভর্তি সংক্রান্ত নানা সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছেন।
মঙ্গলবার ওই বৈঠকে প্রথমেই ছাত্র ভর্তির প্রসঙ্গ ওঠে। কমিটির আহ্বায়ক বিমলশঙ্করবাবু প্রস্তাব রেখেছিলেন, স্বচ্ছতা বজায় রাখতে সরকারি সংস্থাকে দিয়ে অনলাইনে ভর্তির ব্যবস্থা করা হোক। কিন্তু বৈঠকে উপস্থিত ছাত্র এবং শিক্ষাকর্মীদের প্রতিনিধি সেই প্রস্তাব মানতে চাননি। বরং তাঁরা দরপত্র ডেকে কোনও বেসরকারি সংস্থাকে দিয়ে এই ভর্তি করানোর পক্ষে সওয়াল করেন। ২০০৮ থেকে ওই কলেজে ‘স্পোর্টস কোটায়’ কিছু আসন সংরক্ষণ করা থাকে। বৈঠকের একাংশ ওই পদ্ধতি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। উল্টে বিমলশঙ্করবাবুকে এ দিন নানা ভাবে হেনস্থা করার চেষ্টা হয় বলেও অভিযোগ। তার জেরেই বিমলশঙ্করবাবু পদত্যাগের কথা জানিয়ে দেন।
তবে বিমলবাবুকে ওই ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘যা বলার অধ্যক্ষ বলবেন।’’ অধ্যক্ষ সত্রাজিৎ ঘোষ বিমলশঙ্করবাবুর বিষয়ে প্রশ্ন শুনেই ফোন কেটে দেন। ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক রাজদীপ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘দরপত্র ডেকে বেসরকারি সংস্থাকে অনলাইনে ছাত্র ভর্তি করার বরাত দেওয়ার পক্ষে কথা বলেছি। এতে অন্যায় কিছু নেই।’’ শিক্ষাকর্মীদের কেউ মুখ খুলতে চাননি।