প্রতীকী ছবি
তথ্য জানার অধিকার আইনে আবেদন জমা পড়েছে প্রায় ৮০০০।
অভিযোগ, মাসের পর মাস কেটে গেলেও তথ্য জানতে পারছেন না। অথচ নিয়ম অনুযায়ী, কোনও ভারতীয় নাগরিক তথ্য জানার জন্য আবেদন করলে এক মাসের মধ্যে তা দেওয়ার কথা।
এই অভিযোগে চূড়ান্ত অস্বস্তিতে পড়েছেন রাজ্যের মুখ্য তথ্য কমিশনার বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের মুখ্য সচিবের পদ থেকে অবসর নেওয়ার পরে তিনি রাজ্যের মুখ্য তথ্য কমিশনার পদে যোগ দেন। প্রায় এক বছর হল তিনি এই পদে এসেছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, তাঁর এই পদে যোগ দেওয়ার আগে থেকেই আবেদনের পাহাড় জমে রেয়েছে। দফতরের আধিকারিকদের দাবি, কী ভাবে দ্রুত সাড়া দেওয়া যায়, তার চেষ্টা শুরু হয়েছে।
দফতরের এক কর্তা জানান, বাসুদেববাবু ছাড়া বর্তমানে তথ্য কমিশনের সদস্য হিসেবে রয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন ডিজি জিএমপি রেড্ডি। তাঁরাই আবেদনের শুনানি করেন। দু’জন না থাকলে শুনানি করা যায় না। এক জন ছুটিতে থাকলেই সমস্যা হয়। তবে নতুন এক জনকে তথ্য কমিশনার করে আনার প্রস্তুতি চলছে। তা হলে সমস্যার সমাধান কিছুটা হবে বলে মনে করছেন দফতরের আধিকারিকেরা।
ওই কর্তা জানান, সম্প্রতি ভিডিয়ো কনফারেন্স ব্যবস্থা চালু হওয়ার পরে উত্তর দেওয়ার কাজে কিছুটা গতি এসেছে। রাজ্যের মুখ্য তথ্য কমিশনার বাসুদেব বন্দ্যাপাধ্যায় বলেন, ‘‘সম্প্রতি হরিয়ানার এক বাসিন্দা কালিংপং পুরসভার বিরুদ্ধে ডেথ সার্টিফিকেট সংক্রান্ত একটি অভিযোগ করেন। ভিডিয়ো কনফারেন্সে পুরসভার সঙ্গে কথা বলে সেই সমস্যার সমাধান করা হয়।’’ কমিশন সূত্রের খবর, সংখ্যার নিরিখে থানার এইআইআরের কপি, রেশন কার্ড ও ছাত্র-ছাত্রীদের রেজাল্ট, চাকরির খাতা দেখা সংক্রান্ত তথ্য জানার আবেদন সবচেয়ে বেশি জমা পড়েছে।