ফাইল চিত্র
দিন কয়েক আগে গাছের ডাল কাঁধে ভেঙে পড়লে চোট লাগে। বাঁকুড়া হাসপাতাল থেকে রেফার করা হয় এসএসকেএমে। কিন্তু শয্যা জোটেনি। অভিযোগ, শয্যা-সঙ্কটের কারণে হাসপাতাল চত্বরেই পড়ে রয়েছেন তিনি।
শুক্রবার এসএসকেএমের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুললেন বাঁকুড়ার বাসিন্দা কল্যাণী বাউড়ি। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, এ সম্পর্কে তাঁরা কিছু জানেন না। কল্যাণীর পরিবারের অভিযোগ, মস্তিষ্ক ও কাঁধের চোট গুরুতর হওয়ায় জেলা থেকে এসএসকেএমে পাঠানো হয়। কিন্তু এসএসকেএম কর্তৃপক্ষ জানান, শয্যা খালি নেই। তাই এম আর বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে তাঁকে। সেখানেও তাঁদের জানানো হয়, শয্যা নেই। তাই পরিষেবা দেওয়া যাবে না। শেষে এসএসকেএমের জরুরি বিভাগের পাশেই পড়ে থাকতে বাধ্য হন কল্যাণী— অভিযোগ পরিবারের। এসএসকেএমের সুপার রঘুনাথ মিশ্র বলেন, ‘‘বেড না থাকায় চিকিৎসা শুরু না হওয়ার মতো অভিযোগ জানানো হয়নি। লিখিত অভিযোগ জানালে পদক্ষেপ করব।’’ কল্যাণীর আত্মীয় মাণিক বারুইয়ের বক্তব্য, ‘‘রোগীকে ফেলে কী ভাবে অভিযোগ জানাতে ছুটোছুটি করব!’’ সম্প্রতি কেন্দ্রের রিপোর্ট জানায়, এ রাজ্যে ১১৭০ জন রোগীপিছু একটি করে শয্যা বরাদ্দ রয়েছে। কল্যাণীদেবীর ঘটনা সেই শয্যা-সঙ্কটের দিকটি ফের তুলে ধরল বলে মত বিশেষজ্ঞদের একাংশের।