ভি আই পি রোডের কৈখালি এলাকা থেকে রাস্তা চওড়া করার কাজ শুরু হয়েছিল দিন সাতেক আগে। অভিযোগ, সেই সময় থেকেই ওই বিস্তীর্ণ এলাকার ব্যাঙ্ক থেকে শুরু করে প্রচুর অফিস ও বাড়ির ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বিকল টেলিফোনও। ভারত সঞ্চার নিগম লিমিটেডের (বিএসএনএল) অভিযোগ, পূর্ত দফতর রাস্তা চওড়া করতে গিয়ে মাটির তলার কেব্ল কেটে ফেলেছে। ফলে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ। পূর্ত দফতর অবশ্য জানিয়েছে, বিএসএনএল-এর সঙ্গে কথা বলেই তারা কাজ শুরু করেছে।
ভি আই পি রোডের সৌন্দর্যায়ন ও রাস্তা চওড়া করার কাজ শুরু হয়েছে বেশ কয়েক বছর ধরে। তৈরি হয়েছে বাগুইআটি উড়ালপুল, রাস্তা চওড়া হয়েছে বাগুইআটি-কেষ্টপুর এলাকায়। তার পরেই এ বার পূর্ত দফতর কৈখালি এলাকার কাজ শুরু করেছে। আর তা শুরু হতেই এই বিপত্তি।
বিএসএনএল সূত্রে খবর, সবচেয়ে বেশি বিপত্তি দেখা দিয়েছে কৈখালি অঞ্চলে ভি আই পি রোডের এয়ারপোর্টমুখী বাঁদিকের এলাকায়। আপাতত কৈখালি থেকে শুরু করে কয়লাবিহার আবাসন পর্যন্ত রাস্তা চওড়া করা হচ্ছে। সেখানেই রয়েছে বেশ কয়েকটি ব্যাঙ্ক, আর্থিক লেনদেন ও জীবন বিমা-সহ অন্যান্য বেসরকারি অফিস। এলাকার স্টেট ব্যাঙ্ক অব মহীশূরের রাজারহাট শাখার ম্যানেজার রাজেন সিংহ জানান, গত কয়েক দিন ধরে তাদের ব্যাঙ্কের ইন্টারনেট কাজ না করায় কোনও পরিষেবা দেওয়াই সম্ভব হচ্ছে না। রাজারহাট-নিউ টাউনের সংযোগস্থলে এই এলাকায় শুধু অফিসই নয়, তৈরি হয়েছে প্রচুর আবাসনও। আর বেশিরভাগ আবাসনেরই ফোন খারাপ ও ইন্টারনেট পরিষেবা ব্যাহত হয়ে রয়েছে বলে অভিযোগ। বিএসএনএল-এর দমদম ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার অজিতকুমার বসাকের অভিযোগ, ‘‘পূর্ত দফতর রাস্তা চওড়া করতে গিয়ে মাটি খুঁড়তেই সব কেব্ল লাইন ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তার পর থেকেই এলাকার সব টেলিফোন খারাপ হয়ে গিয়েছে। ইন্টারনেট পরিষেবাও বিপর্যস্ত। চেষ্টা চালাচ্ছি ওভারহেড তারের মাধ্যমে যদি অস্থায়ী ভাবে এর সমাধান করা যায়।’’ যদিও পূর্ত দফতরের বারাসত হাইওয়ে ডিভিশনের কার্যনির্বাহী বাস্তুকার সত্য বসু বলেন, ‘‘আমরা আগেই সব সরিয়ে নিতে বলেছিলাম। বিএসএনএল-এর সঙ্গে কথা বলে তাদের কাছ থেকে সবুজ সঙ্কেত পেয়েই রাস্তার কাজ শুরু করি।’’ স্থানীয় বাসিন্দা ও এলাকার অফিসের কর্মীদের অভিযোগ, বিএসএনএল ও পূর্ত দফতরের এই একে অপরের উপর দোষারোপে ভুক্তভোগী হচ্ছেন তাঁরাই।
রাস্তা চওড়া করতে গিয়ে ফোন বা ইন্টারনেট পরিষেবা খারাপ হওয়ার অভিযোগ নতুন নয়। অভিযোগ, বাগুইআটি উড়ালপুল তৈরির সময়ে বাগুইআটি, কেষ্টপুর এলাকায় বহু টেলিফোন লাইন ও ইন্টারনেট পরিষেবা বসে গিয়েছিল। তখনও অভিযোগ ওঠে, পূর্ত দফতর খোঁড়াখুড়ি করে কাজ করতে গিয়েই কেব্ল লাইন নষ্ট হয়ে গিয়েছে।