প্রবল বৃষ্টিতে শুক্রবার বিকেলে কলকাতা বিমানবন্দরে বিমান চলাচল ব্যাহত হল। সাড়ে পাঁচটা নাগাদ দৃশ্যমানতা ৫০০ মিটারের থেকেও কমে যায়। তখন নামার জন্য ন’টি বিমান চলে এসেছিল। অগত্যা নির্দিষ্ট উচ্চতায়, তাদের চক্কর কাটার নির্দেশ দেয় এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল (এটিসি)। প্রতিটি বিমান গড়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট করে চক্কর কাটে। ৫টা ৫০ মিনিটে দৃশ্যমানতা ভাল হলে বিমানগুলি একে একে নেমে আসে।
বিমানবন্দর সূত্রের খবর, ক্রমাগত পাম্প চালিয়েও যেখানে বিমান এসে দাঁড়ায়, সেখানে জল জমে যাচ্ছিল। যে বিমানগুলি পার্কিং বে-তে যাত্রী ওঠায়-নামায় তারা সেখানে দাঁড়াতে রাজি হচ্ছিল না। কর্তৃপক্ষ জানান, অ্যারোব্রিজ কম থাকায় সব বিমানকে তা দেওয়া সম্ভব নয়। অ্যারোব্রিজ পেলে বিমান থেকে যাত্রীরা কাচে ঢাকা বারান্দার মধ্যে দিয়েই টার্মিনালে পৌঁছে যেতে পারেন।
সন্ধ্যায় বিমানবন্দর যাওয়ার রাস্তায় একটি গাছ পড়ে যাওয়ায় দীর্ঘক্ষণ যানজট হয়। ফলে অনেকে উড়ান ধরতে পারেননি। রাত ১০টা নাগাদ গাছটি সরানো হয়।
অন্য দিকে, এই সময়েই শহরে আসে কাতার এয়ারওয়েজের বিমান। বিমানটি কাঠমাণ্ডু যাচ্ছিল। কাঠমাণ্ডুর আবহাওয়া খারাপ থাকায় ৫টা ১৫ মিনিটে বিমানটিকে নামার অনুমতি দেওয়া হয়। সাতটা নাগাদ কাঠমাণ্ডুর আবহাওয়া ভাল হলে সেটি উড়ে যায়।