সোনার দোকানে ডাকাতিতে গ্রেফতার হওয়া তিন জঙ্গি।— ফাইল চিত্র।
দোভাষীর খোঁজ চলছে।
পুলিশ জানায়, মণিপুরের ভাষা জানা দোভাষীর সন্ধান পেলেই জুলাইয়ে যোধপুর পার্কের সোনার দোকানে ডাকাতির তদন্তে ধৃত লিসাম ইবুঙ্গোতোম্বাকে পুরোমাত্রায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। বুধবারই শিলিগুড়ি থেকে কলকাতায় নিয়ে এসে লিসামকে হেফাজতে নিয়েছে লালবাজারের ডাকাতি দমন শাখা। ধৃত লিসাম মণিপুরের জঙ্গি সংগঠন কাংলাইপাক কমিউনিস্ট পার্টির (কেসিপি) সদস্য। মণিপুরি এবং ভাঙা হিন্দিতে কথা বলে সে। তদন্তকারীদের ভাষাগত সমস্যা হওয়ার কারণেই দোভাষীর খোঁজ চলছে বলে দাবি লালবাজারের একাংশের।
ইতিমধ্যেই তদন্তকারীরা জেনেছেন, ধৃত লিসাম ছাড়া তার দুই সঙ্গী সেনজাম নোংতেনখোম্বা ও রাজেশ সিংহ (সেনজাম ও রাজেশ শিলিগুড়ির হাসপাতালে চিকিৎসাধীন) ওই সোনার দোকানে ডাকাতির আগে শহরেই ছিল। পরে বৃষ্টির সুযোগ নিয়ে ডাকাতি করে বাসে চেপে গড়িয়াহাট যায়। সেখান থেকে বাইপাসের রুবি মোড়ে যায় তারা। রুবি থেকে ওই জঙ্গিরা হাওড়া স্টেশনে পৌঁছে ট্রেনে করে কলকাতা ছেড়ে চলে যায়। পরে তিন জন শিলিগুড়িতে সোনার দোকানে ডাকাতি করতে এসে এক মাস আগে ধরা পড়ে যায় এলাকাবাসীর হাতে।
লালবাজার জানায়, জেরায় কিছু তথ্য মিললেও ভাষাগত সমস্যা থাকায় তদন্ত বাধা পাচ্ছে। পূর্ণাঙ্গ জেরা হলেই জঙ্গিরা কেন কলকাতাকে ডাকাতির জন্য বেছে নিয়েছিল তা জানা সম্ভব। শহরে তাদের কে বা কারা সাহায্য করেছিল তা-ও জানা যাবে। এক তদন্তকারী জানান, স্থানীয় কোনও সূত্র ছাড়া বাইরের কারও পক্ষে এখানে ডাকাতি করা সম্ভব না।