Mysterious Death

গলা কেটে বৃদ্ধ খুনের ঘটনার তদন্তভার নিল বিধাননগর কমিশনারেট

তদন্তকারীরা জানান, গত রবিবার গ্রেফতার হওয়া মিরাজ স্কুটারে চাপিয়ে মূল অভিযুক্তকে ঘটনাস্থলে নিয়ে যায়। আবু হোসেন নামে ওই ব্যক্তির খোঁজ চলছে বলে জানা গিয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৬:৪৩
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

নারায়ণপুরের রাইগাছিতে গত শুক্রবার খুন হয়েছিলেন হারুন অল রশিদ নামে এক বৃদ্ধ। প্রকাশ্য রাস্তায় তাঁর গলায় ছুরি চালিয়ে খুন করা হয়। সেই ঘটনার তদন্তভার থানার হাত থেকে নিতে চলেছেন বিধাননগর কমিশনারেটের গোয়েন্দারা। কিন্তু কেন এই হাতবদল, তা নিয়ে মুখ খুলতে চাননি কমিশনারেটের কর্তারা। এক পদস্থ আধিকারিক শুধু জানান, বিষয়টি একেবারেই বিভাগীয়।

Advertisement

ওই ঘটনায় ইতিমধ্যেই আলি হোসেন ও মহম্মদ মিরাজ নামে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে নারায়ণপুর থানার পুলিশ। তদন্তকারীরা জানান, গত রবিবার গ্রেফতার হওয়া মিরাজ স্কুটারে চাপিয়ে মূল অভিযুক্তকে ঘটনাস্থলে নিয়ে যায়। আবু হোসেন নামে ওই ব্যক্তির খোঁজ চলছে বলে জানা গিয়েছে। তদন্তকারীরা জানান, খুনের পরে স্কুটারে চেপে দুষ্কৃতীরা কালীঘাট পর্যন্ত একসঙ্গে গিয়ে আলাদা হয়ে যায়। আবুর প্রসঙ্গে পুলিশকে কিছু জানাতে পারেনি ধৃত মিরাজ। যদিও তদন্তকারীরা মনে করছেন, মিরাজ সত্যি বলছে না। তবে আলি হোসেনের উপরেই সন্দেহ বেশি পুলিশের। তাদের ধারণা, বৃদ্ধকে খুনের অন্যতম চক্রান্তকারী হোসেন। পুলিশ জানাচ্ছে, হারুনের প্রচুর জমিজমা ছিল। সে সব হাতছাড়া হওয়ার আশঙ্কায় ভুগছিলেন তিনি। পুলিশের সন্দেহ, জমি বিক্রির জন্য বৃদ্ধ হারুনকে চাপ দেওয়া হচ্ছিল। পুলিশ জানায়, বৃদ্ধের পরিজনেরা আদালতে বয়ান দিয়েছেন যে, হারুন তাঁর মেয়েকে বলেছিলেন, আচমকা তাঁর কিছু হয়ে গেলে আলি হোসেনকে যেন ছাড়া না হয়। আলিও রাজারহাটের রাইগাছির বাসিন্দা। সেখানকারই শিখেরবাগান এলাকার বাসিন্দা ছিলেন হারুন।

পুলিশের অনুমান, ধৃত আলিই মিরাজদের ভাড়া করেছিল। খুনের সময়ে ঘটনাস্থলের আশপাশেই সে ছিল। কেন মৃত্যুর আগে হারুন তাঁর মেয়েকে আলির কথা বলেছিলেন, সেটাই ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের। জমির দালালির কারবারে জড়িত আলি বৃদ্ধের জমির দখল নিতে চাইছিল কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। কমিশনারেটের অবশ্য দাবি, মূল অভিযুক্ত আবুকে গ্রেফতার করা হবেই।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন