IRCTC

কাজের মধ্যেই বেড়িয়ে আসুন, নয়া ভাবনা পর্যটনে

আক্রান্তের সংখ্যা কমে আসায় কোমর বেঁধে নামছে ইন্ডিয়ান রেলওয়ে কেটারিং অ্যান্ড টুরিজ়ম কর্পোরেশন (আইআরসিটিসি)।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ জুন ২০২১ ০৭:২৩
Share:

প্রতীকী ছবি।

প্রথম ঢেউয়েই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল পর্যটন শিল্প। সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হতে তাই বিপর্যস্ত অবস্থা এই শিল্পে। কারণ, চলতি গরমে যেটুকু ব্যবসা পাওয়ার সম্ভাবনা ছিল, সংক্রমণ বাড়তেই সেই সব বুকিং বাতিল হয়েছে। ফের করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কমে আসায় কোমর বেঁধে নামছে ইন্ডিয়ান রেলওয়ে কেটারিং অ্যান্ড টুরিজ়ম কর্পোরেশন (আইআরসিটিসি)। সংস্থা তাদের নতুন পরিকল্পনা শুরু করে পরিস্থিতি দেখে নিতে চাইছে।

Advertisement

বেড়াতে যাওয়া তো দূর, দীর্ঘদিন ধরে বাড়ি থেকে কাজ করার প্রক্রিয়া চলছে এখন। সেই একঘেয়েমি থেকে মুক্তি দিতে কাজের মধ্যেই ছুটি কাটানোর মেজাজ এনে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে তারা। দিনভর নিরবচ্ছিন্ন ওয়াইফাই সংযোগ আছে, শান্তিনিকেতন ও ডুয়ার্সের এমন রিসর্টে কম-বেশি সপ্তাহখানেকের প্যাকেজ থাকছে। কলকাতা থেকে ৪-৫ ঘণ্টার দূরত্বের রাজবাড়িকেও ওই তালিকায় রাখা হচ্ছে। আইআরসিটিসি সূত্রের খবর, এই মুহূর্তে হোটেল ও রিসর্টে ভিড় নেই। ব্যবসায় ঘুরে দাঁড়াতে তারাও একসঙ্গে অনেক পর্যটক সামলাতে চাইছে না। বরং সীমিত সংখ্যক অতিথিকে দীর্ঘ সময় ধরে নিরাপদ আতিথেয়তা দেওয়ায় অগ্রাধিকার দিচ্ছে। সেই ভাবনা মাথায় রেখেই কাজের মধ্যে ছুটির অবসর কাটানোর মেজাজ নিয়ে তৈরি হচ্ছে বিভিন্ন প্যাকেজ।

কলকাতার কাছাকাছি দূরত্বে দু’-তিন জনের ছোট পরিবারকে গাড়িতে নিয়ে যাওয়া এবং ফেরত আনার পাশাপাশি থাকছে নিভৃত পরিবেশে রাখার ব্যবস্থা। বেশির ভাগ কর্মীদের প্রতিষেধক প্রদান হয়ে গিয়েছে, এমন রিসর্ট বাছাইয়ে জোর দিচ্ছেন সংস্থার কর্তৃপক্ষ। রাতারাতি পরিস্থিতি আগের মতো হবে না ধরেই গাড়িতে যাওয়ার দূরত্বে প্যাকেজ হচ্ছে। বেশির ভাগ পরিষেবায় অতিথিকে তাঁর ঘরে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা থাকবে। বোলপুর-শান্তিনিকেতনের ক্ষেত্রে চার দিন এবং তিন রাতের প্যাকেজে মাথাপিছু খরচ ৭৭১০ টাকা। একই ভাবে ডুয়ার্সে চার রাত এবং পাঁচ দিনের প্যাকেজের মাথাপিছু খরচ ১২ হাজার টাকা। তবে সব ক্ষেত্রেই যাতায়াত আলাদা। আইআরসিটিসি-র পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা দেবাশিস চন্দ্র বলেন, “মানুষের এখন বেড়াতে যাওয়ার আগ্রহ খুব কম। যাঁদের বাড়িতে থেকে কাজ করতে হচ্ছে, তাঁদের অনেকেই একঘেয়েমিতে ভুগছেন। সে সব ভেবেই ছোট ছোট করে এগোনোর চেষ্টা করছি।”

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন