স্বশাসন নিয়ে ধন্দ

সম্প্রতি কেন্দ্র যাদবপুরকে স্বশাসনের অধিকার দেয়। ফলে নতুন পাঠ্যক্রম তৈরি, বিদেশি শিক্ষকদের আনা, তাঁদের জন্য বিশেষ বেতন স্কেল, গবেষণার জন্য বিশেষ কেন্দ্র— এ বার মঞ্জুরি কমিশনের অনুমতি ছাড়াই করতে পারবে যাদবপুর। তবে সবটাই নিজেদের টাকায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ মার্চ ২০১৮ ০৩:২১
Share:

সম্পূর্ণ স্বশাসন পাওয়া দেশের ৬২টি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান নিয়ে ধন্দে শিক্ষকেরা। এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের আগে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনার দাবি জানাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সংগঠন অল বেঙ্গল ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন (আবুটা)।

Advertisement

সম্প্রতি কেন্দ্র যাদবপুরকে স্বশাসনের অধিকার দেয়। ফলে নতুন পাঠ্যক্রম তৈরি, বিদেশি শিক্ষকদের আনা, তাঁদের জন্য বিশেষ বেতন স্কেল, গবেষণার জন্য বিশেষ কেন্দ্র— এ বার মঞ্জুরি কমিশনের অনুমতি ছাড়াই করতে পারবে যাদবপুর। তবে সবটাই নিজেদের টাকায়। বর্তমানে অধিকাংশ কোর্সই নামমাত্র ফি দিয়ে পড়েন পড়ুয়ারা। কিন্তু নতুন পদ্ধতিতে তা আর সম্ভব হবে না। তাই বিষয়টি নিয়ে চিন্তায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্তৃপক্ষ। গত শুক্রবার আবুটা-র বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক গৌতম মাইতি জানিয়েছেন, যাদবপুর যেন তড়িঘড়ি কোনও সিদ্ধান্ত না নেয়। কারণ এতে পড়ুয়াদের ক্ষতি হতে পারে।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির (জুটা) সাধারণ সম্পাদক নীলাঞ্জনা গুপ্তও আগেই বলেছিলেন, এক অর্থে এ হল শিক্ষাকে বেসরকারিকরণের দিকে এগিয়ে দেওয়া। শনিবার ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য প্রদীপকুমার ঘোষ বলেন, ‘‘যে সিদ্ধান্তই নেওয়া হোক না কেন, সকলের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।’’

Advertisement

এই স্বশাসনের বিরোধিতায় এবং জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের উপরে পুলিশের লাঠিচার্জের বিরুদ্ধে এ দিন বিকেলে যাদবপুর ৮বি মোড় অবরোধ করেন ডিএসও-র কর্মী সমর্থকেরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন