খসড়া বিধি পরিবর্তনের ক্ষেত্রে এ বার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মনীতিরই দ্বারস্থ হলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খুললেই শাস্তির নিদান দেওয়া হয়েছিল যাদবপুরের নতুন খসড়া বিধিতে। বিষয়টি নিয়ে আন্দোলনে নামেন যাদবপুরের অধ্যাপকেরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে সব পক্ষকে বিধি নিয়ে মতামত জানাতে বলা হয়েছিল। সেখানেই বিতর্কিত অংশের বদলে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ডিন্যান্সের কয়েকটি ধারা গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।
খসড়া বিধির ১১২পি ধারায় বলা হয়েছিল, ‘রাজ্য সরকারের নীতির বিরুদ্ধে সংবাদমাধ্যমে অনৈতিক প্রচারকে অবৈধ বলে ধরা হবে।’ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, এর পরিবর্তে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ডিন্যান্সের ৬৫, ৬৬ এবং ৭০ ধারা গ্রহণ করা যেতে পারে।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬৫ নম্বর ধারায় রয়েছে, সব কর্মচারীকে উপাচার্য এবং সিন্ডিকেট নির্ধারিত কাজ করতে হবে। ধারা ৬৬-তে রয়েছে, কর্মচারীরা এমন কোনও কাজ করবেন না, যা তাঁদের পক্ষে করা উচিত নয়। ৭০ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, কোনও কর্মচারী সংবাদমাধ্যম অথবা বহিরাগতের কাছে বিশ্ববিদ্যালয় বিষয়ক কোনও কিছু প্রকাশ করতে পারবেন না।
যাদবপুরের খসড়া বিধিতে অধ্যাপক, কর্মীদের পাশাপাশি পড়ুয়া ও গবেষকদের শৃঙ্খলারক্ষার নিদানও দেওয়া হয়েছিল। তাতে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের যুবকল্যাণ অধিকর্তার অন্যতম কাজ হবে পড়ুয়া এবং গবেষকদের ‘অনৈতিক’ (আনএথিক্যাল অ্যান্ড ইমমরাল অ্যাক্টিভিটিজ) কাজকর্মের উপরে নজরদারি করা। স্বভাবতই বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন পড়ুয়া-গবেষকেরা। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রস্তাব, এর বদলে যুবকল্যাণ অধিকর্তার কাজ হিসেবে ক্যাম্পাসে বিভিন্ন নেশার দ্রব্য ব্যবহারের বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরির বিষয়টি রাখা
যেতে পারে।
যাদবপুরের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস বুধবার জানান, আগেই সব পক্ষের মত তাঁরা লিখিত ভাবে জেনেছেন। তাঁদের মতও জানিয়েছেন। আর সে ক্ষেত্রে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ডিন্যান্সের বিষয়টি গ্রহণযোগ্য বলে মনে হয়েছে বলেই পরামর্শ দিয়েছেন। আগামী শুক্রবার অধ্যাপকদের সঙ্গে এই বিষয়ে তাঁরা আলোচনায় বসবেন। উপাচার্য বলেন, ‘‘সব পক্ষের সঙ্গেই আলোচনা করে তার পর বিধির বিষয়টি কর্মসমিতির বৈঠকে তোলা হবে।’’