ফাইল ছবি
নিয়ম না মানায় শেঠ আনন্দরাম জয়পুরিয়া কলেজের পরিচালন সমিতি ভেঙে দিল উচ্চশিক্ষা দফতর। কলেজ সূত্রের খবর, সম্প্রতি এই সংক্রান্ত নির্দেশিকা এসে পৌঁছেছে।
প্রসঙ্গত, গত বছর রাজ্য সরকার ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনিভার্সিটিজ অ্যান্ড কলেজেস (অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অ্যান্ড রেগুলেশন) অ্যাক্ট ২০১৭’ পাশ করে জানায়, কলেজ তৈরিতে যাঁদের অবদান রয়েছে তাঁদের মাত্র এক জন প্রতিনিধি কলেজের পরিচালন সমিতিতে থাকতে পারবেন। ১৯৪৫ সালে জয়পুরিয়া কলেজ তৈরি করেছিল জয়পুরিয়া ট্রাস্ট। কিন্তু, পরিচালন সমিতিতে ট্রাস্টের তরফে ছিলেন আট জন। তা নিয়েই আপত্তি তোলে উচ্চশিক্ষা দফতর। সে কারণে পরিচালন সমিতি ভেঙে প্রশাসক নিয়োগ করা হয়েছে বলে দফতর সূত্রের খবর।
২০১৭ সালের ওই নিয়ম অনুযায়ী একটি কলেজের পরিচালন সমিতিতে অধ্যক্ষ ও সভাপতি ছাড়াও থাকার কথা তিন জন শিক্ষক, এক জন শিক্ষাকর্মী, এক জন
ছাত্র-প্রতিনিধি, দু’জন সরকারি প্রতিনিধি, বিশ্ববিদ্যালয় মনোনীত দু’জন প্রতিনিধি, উচ্চশিক্ষা দফতরের এক জন এবং ট্রাস্টির তরফে এক জন প্রতিনিধির। কিন্তু জয়পুরিয়া কলেজ সূত্রের খবর, সমিতিতে ট্রাস্টির তরফ থেকেই আট জন ছিলেন। এ ছাড়া ছিলেন পাঁচ শিক্ষক, এক জন সরকারি প্রতিনিধি, অধ্যক্ষ এবং সভাপতি।
সূত্রের খবর, কলেজটি যাতে ‘মাইনরিটি’ তকমা পায় সে জন্য ট্রাস্টিদের তরফে সরকারের কাছে চেষ্টা করা হয়েছিল। তখন তার বিরোধিতা করেছিলেন শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা। ফলে থমকে যায় প্রক্রিয়া। তার পরেই সম্প্রতি দফতর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে এর ফলে বিপাকে পড়েছেন কর্তৃপক্ষ। কারণ, এই মুহূর্তে স্নাতক স্তরে ফের শুরু হয়েছে ভর্তি প্রক্রিয়া। গোটা বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য প্রশাসককে প্রয়োজন। কিন্তু বুধবার তাঁকে কলেজে পাওয়া যায়নি বলে জানান শিক্ষকেরা।
অধ্যক্ষ অশোক মুখোপাধ্যায়কে ফোন করা হলে তিনি ধরেননি। এসএমএসের জবাব দেননি। পরিচালন সমিতিতে ট্রাস্টি বোর্ডের প্রতিনিধি যুগলকিশোর ভগত বলেন, ‘‘এমন কোনও নির্দেশিকা এসেছে বলে জানি না। অনিয়ম কিছুই হয়নি। সরকার তাদের বক্তব্য জানাক। তার পরে আমরাও যা বলার বলব।’’