নববর্ষের সকালেই খুলে দেওয়া হল বন্ধ যশোর রোড। মধ্যমগ্রামে ওই রাস্তায় তৈরি হচ্ছে আন্ডারপাস। সে জন্য রাস্তা আটকে মাস দুয়েক ধরে সমস্ত যানবাহন ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছিল। রাস্তা না আটকেই বাকি এক তৃতীয়াংশের কাজ আজ, রবিবার থেকে শুরু হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ।
যশোর রোডের মধ্যমগ্রাম চৌমাথার যানজট এড়াতে তিন ধাপে তৈরি হচ্ছে ৫৭ মিটার দীর্ঘ আন্ডারপাস। সেই কাজেই যশোর রোড আটকে বাঁ দিকে সুভাষ মাঠের মধ্যে দিয়ে রাস্তা করে চলছিল যাতায়াত। ব্যস্ত রাস্তায় চার দিক থেকে আসা যানবাহন সামলাতে ও যানজটে হিমসিম অবস্থা হচ্ছিল ট্র্যাফিক পুলিশের। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ জানান, এই সমস্যার জন্যই দ্রুততার সঙ্গে ৩৮ মিটার আন্ডারপাসের কাজ শেষ করা হয়েছে। ফলে যশোর রোড খুলে দেওয়া সম্ভব হয়েছে।
রাজ্য সরকার ও বারাসতের সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারের তহবিলের ৫ কোটি টাকায় তৈরি হচ্ছে আন্ডারপাসটি। এলাকার বিধায়ক ও মধ্যমগ্রাম পুরসভার চেয়ারম্যান রথীন ঘোষ বলেন, ‘‘আন্ডারপাসের ৩৮ মিটার হয়ে গিয়েছে। বাদু রোডের দিকে বাকি ১৯ মিটারের কাজ শুরু হবে। তবে সে জন্য যশোর রোডের যাতায়াতে আর প্রভাব পড়বে না।’’
যানজটের কারণে বারাসত থেকে এয়ারপোর্ট ১ নম্বর গেট পর্যন্ত মাত্র ৯ কিমি পথ পার হতে লাগে এক ঘণ্টারও বেশি সময়। যানজট এড়াতে এয়ারপোর্ট থেকে বিরাটি পর্যন্ত রাস্তা চওড়া করা হয়েছে। বাকি অংশেও কাজ চলছে। কাকলিদেবী এ দিন বলেন, ‘‘আন্ডারপাস হলে মধ্যমগ্রামেও যান-যন্ত্রণা কমবে।’’
স্থানীয়দের অভিযোগ, যশোর রোডে টোটো, অটো চলে আসায় অন্য গাড়ির গতি কমে যানজট হয়। দোলতলা মোড়ে দু’ভাগ হওয়া যশোর রোড সামলাতে নাজেহাল পুলিশ। বিরাটি মোড় ও এয়ারপোর্ট আড়াই নম্বর গেটের মাঝে ভিআইপি রোডে যাতায়াতের একটি বাইপাস আছে। যশোর রোডের যানবাহন আটকে গাড়ি ছাড়া হয় বলে ভিআইপি রোডে যাতায়াতকারী ও নাগেরবাজার হয়ে দমদম, লেকটাউন, বাঙুরগামী যানবাহনকে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। উত্তর ২৪ পরগনার পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ট্র্যাফিকের নজরদারি বাড়ানো হচ্ছে।’’