জি ডি বিড়লা কাণ্ডে ঠিক ভাবে তদন্ত হচ্ছে না বলে তদন্তকারী অফিসারকে ভর্ৎসনা করলেন বিচারক। বিচারকের নির্দেশ ছিল এই মামলার শুনানি হবে রুদ্ধদ্বার আদালতে। সেই মতো সোমবার আলিপুরে বিশেষ পকসো আদালতে বিচারক অরুণকিরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের এজলাসে ভিডিও কনফারেন্সে শুনানি হয়।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, সেখানেই পুলিশি তদন্ত নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন বিচারক। জি ডি বিড়লা স্কুল থেকে আদালতগ্রাহ্য বিভিন্ন তথ্য ঠিক ভাবে সংগ্রহ করা হয়নি বলে তিনি তদন্তকারী অফিসারকে ভর্ৎসনা করেন।
এই মামলায় ১০ জনের গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে বলে আদালতে জানিয়েছে পুলিশ। ওই ঘটনার পরে ফুলবাগানের একটি নার্সি়ংহোমের চিকিৎসক ওই শিশুকে প্রথম পরীক্ষা করেছিলেন বলে জেনেছিল পুলিশ। ওই চিকিৎসকও গোপন জবানবন্দি দিয়েছেন বলে পুলিশের তরফে আদালতে জানানো হয়েছে। সেই তথ্যও আদালতে পেশ করা হয়েছে। পাশাপাশি, স্কুলের কয়েক জন কর্মীরও গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, পক্সো আইনের ধারার পাশাপাশি পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গনধর্ষণের মামলাও দায়ের করেছে। অভিযুক্ত অভিষেক রায় ও মহম্মদ মফিজুরের আইনজীবী তীর্থঙ্কর রায় ও জয়িষ্ণু বসুর বক্তব্য, ওই শিশু ঘটনার বেশ কিছু দিন আগে থেকেই সংক্রমণজনিত কারণে স্কুলে অনুপস্থিত ছিল। তা ছাড়া, মেডিক্যাল রিপোর্টেও তেমন কিছু পাওয়া যায়নি বলেই শোনা যাচ্ছে। অভিযুক্তের জামিনের আবেদনও করা হচ্ছে বলে জানান তাঁরা। এ দিন সরকারি আইনজীবী মাধবী ঘোষ বলেন, ‘‘অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সব রকম তথ্য প্রমাণই রয়েছে। অভিযুক্তদের জামিনের আবেদন খারিজ করার জন্যও আবেদন করা হচ্ছে।’’ দু’পক্ষের শুনানির পরে বিচারক জামিনের আবেদন খারিজ করেন। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ২ ফেব্রুয়ারি।