KMC Open Sewers

জোকা ও ঠাকুরপুকুরের বাসিন্দাদের জল-যন্ত্রণা থেকে চিরতরে মুক্তি দিতে উদ্যোগ, শুরু ভূগর্ভস্থ নিকাশি নালার কাজ

১৪৩ নম্বর ওয়ার্ডে নিকাশি প্রকল্পের কাজ সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। কারণ, এই ওয়ার্ডে খোলা নর্দমার সংখ্যা বেশি। সঙ্গে ঠাকুরপুকুর মহেশতলা পঞ্চায়েত সমিতির সঙ্গে লাগোয়া হওয়ার কারণে এখনও সেখানে পুর পরিষেবা দেওয়া সম্ভব হয়নি।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ মে ২০২৫ ১৬:১৩
Share:

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

জোকা অঞ্চলে দীর্ঘ দিনের জলনিকাশি সমস্যার সমাধানে বড় পদক্ষেপ নিল কলকাতা পুরসভা। সম্প্রতি জোকার বিভিন্ন অলিগলিতে ভূগর্ভস্থ নিকাশি নালা নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। পুরসভা সূত্রে খবর, কেইআইআইপি প্রকল্পের আওতায় ১২৪, ১৪২, ১৪৩ এবং ১৪৪ নম্বর ওয়ার্ডের ২১টি পাড়ায় প্রায় ৫২.৫ কিলোমিটার এলাকায় ভূগর্ভস্থ নিকাশি নালা তৈরি হবে। পাশাপাশি, নিকাশির জল যাতে দ্রুত খালে পৌঁছোয় এবং বর্ষাকালে জল জমার সমস্যা না হয়, তার জন্য মোট ১২টি নিকাশি খাল কাটার কাজও শুরু হয়েছে।

Advertisement

১৪৩ নম্বর ওয়ার্ডে নিকাশি প্রকল্পের কাজ সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। কারণ, এই ওয়ার্ডে খোলা নর্দমার সংখ্যা বেশি। সঙ্গে ঠাকুরপুকুর মহেশতলা পঞ্চায়েত সমিতির সঙ্গে লাগোয়া হওয়ার কারণে এখনও সেখানে পুর পরিষেবা দেওয়া সম্ভব হয়নি। বাকি ওয়ার্ডগুলিতেও মূল সড়কের নীচে পাইপলাইন বসানোর পর অলিগলিতে নিকাশির কাজ করা হবে। কেইআইআইপি প্রকল্পের তৃতীয় ধাপে ১৪২ ও ১৪৪ নম্বর ওয়ার্ডে বড় রাস্তার তলায় পাইপ বসানোর কাজ হবে।

উল্লেখ্য, জোকা ও ঠাকুরপুকুর এলাকার বিস্তীর্ণ অঞ্চলেই বর্ষায় জল জমার সমস্যা তীব্র। ২০১২ সালে জোকা-১ ও ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাকে তিনটি ওয়ার্ডের রূপ দিয়ে কলকাতা পুরসভার অন্তর্ভুক্ত হয়। ২০১৫ সালের পুর নির্বাচনে ভোট হয় এখানেও। তিনটি ওয়ার্ডেই জয় পান শাসকদল তৃণমূলের প্রার্থীরা। ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসের পুরভোটেও ওই এলাকায় জোড়াফুল প্রতীকের প্রার্থীরা জয়ী হন। তা সত্ত্বেও এত দিন সেখানে খোলা নর্দমার উপর নির্ভর করতে হচ্ছে বাসিন্দাদের। তাই এ বার সেই ছবিই বদলে দিতে চাইছে পুরসভা। সম্প্রতি সেই কাজের সূচনা করে এসেছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। আগামী কয়েক বছরের এই প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হয়ে গেলে জোকা এবং ঠাকুরপুকুর এলাকা যেমন খোলা নর্দমা থেকে মুক্তি পাবে, তেমনই বর্ষার মরসুমে জমা জলের সমস্যা থেকেও নিষ্কৃতি পাওয়া সম্ভব হবে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement