বর্জ্যের বিভাজন বাড়িতেই, নয়া উদ্যোগ পুরসভার

কলকাতা পুরসভায় দৈনিক সাড়ে চার হাজার মেট্রিক টন জঞ্জাল জমা হয়। তার মধ্যে পচনশীল জলযুক্ত বর্জ্যের (বায়ো ডিগ্রেডেবল) পরিমাণ হল ৫০.৫৬ শতাংশ। পুনর্ব্যবহারযোগ্য বর্জ্যের পরিমাণ ১১.৪৮ শতাংশ। আর সহজে পচনশীল নয় (যেমন রবার, লোহা, প্লাস্টিক, চামড়া-সহ বিভিন্ন জিনিস), এমন বর্জ্যের পরিমাণ ৩৭.৯৬ শতাংশ। ওই ইঞ্জিনিয়ার জানান, অপচনশীল বর্জ্য নিয়েই যত সমস্যা। গৃহস্থেরা বাড়িতে সব এক জায়গায় রাখায় কম্প্যাক্টর মেশিনেও সমস্যা হয়।

Advertisement

অনুপ চট্টোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০০:৪৪
Share:

ফাইল চিত্র।

সহজে পচনশীল নয়, এমন বর্জ্য (নন বায়ো ডিগ্রেডেবল) এ বার থেকে আলাদা প্যাকেটে রাখতে হবে গৃহস্থকে। পুরসভার কর্মীরা বাড়িতে গিয়ে তুলে আনবেন সেই প্যাকেট। কলকাতাকে ‘গ্রিন অ্যান্ড ক্লিন সিটি’ করার লক্ষ্যেই ওই পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলে পুরসভা সূত্রের খবর। বর্জ্য সংগ্রহের এই নয়া পরিকল্পনায় মেয়র ফিরহাদ হাকিমের সম্মতি মেলার পর থেকেই তা বাস্তবায়িত করতে জোরকদমে কাজ শুরু করেছে পুর প্রশাসন। বর্তমানে কলকাতার সাতটি ওয়ার্ডে পুরসভা একাধিক বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে এই পরিষেবা দিচ্ছে। এ বার পুরকর্মীরাই সেই কাজ করবেন বলে জানানো হয়েছে। আপাতত শহরের ১৪টি ওয়ার্ড দিয়ে সেই কাজ শুরু হবে। তালিকায় রয়েছে মেয়র ও ডেপুটি মেয়রের ৮২ এবং ১১ নম্বর ওয়ার্ডও। পরে ধাপে ধাপে প্রতিটি ওয়ার্ডকেই সেই পরিষেবার আওতায় আনা হবে বলে জানান পুরসভার এক ইঞ্জিনিয়ার।

Advertisement

কলকাতা পুরসভায় দৈনিক সাড়ে চার হাজার মেট্রিক টন জঞ্জাল জমা হয়। তার মধ্যে পচনশীল জলযুক্ত বর্জ্যের (বায়ো ডিগ্রেডেবল) পরিমাণ হল ৫০.৫৬ শতাংশ। পুনর্ব্যবহারযোগ্য বর্জ্যের পরিমাণ ১১.৪৮ শতাংশ। আর সহজে পচনশীল নয় (যেমন রবার, লোহা, প্লাস্টিক, চামড়া-সহ বিভিন্ন জিনিস), এমন বর্জ্যের পরিমাণ ৩৭.৯৬ শতাংশ। ওই ইঞ্জিনিয়ার জানান, অপচনশীল বর্জ্য নিয়েই যত সমস্যা। গৃহস্থেরা বাড়িতে সব এক জায়গায় রাখায় কম্প্যাক্টর মেশিনেও সমস্যা হয়। তা পেষাই করে প্রক্রিয়া করা যায় না। আবার ওই ধরনের বর্জ্য ধাপায় ফেললে বিপদের আশঙ্কা বেড়ে যায়। সেই কারণে সংগ্রহের আগেই জঞ্জালের বিভাজন প্রক্রিয়া চালু করতে চায় পুর প্রশাসন। ওই কাজে আলাদা করে ১০০ দিনের কর্মীদের আনা হবে। রাজ্য সরকারের ‘আর্বান এমপ্লয়মেন্ট স্কিম’-এ ওই কর্মীদের নিয়োগ করা হবে।

পুরসভার জঞ্জাল অপসারণ দফতরের এক আধিকারিক জানান, প্রথম পর্যায়ে প্রতিটি বরোর একটি করে ওয়ার্ডকে বেছে নেওয়া হচ্ছে। প্রতিটি বাড়িতেই অপচনশীল বর্জ্য রাখার জন্য একটি করে সাদা ব্যাগ দেওয়া হবে। আর পচলশীলের জন্য সবুজ ব্যাগ। পরে ওই কাজে নিযুক্ত কর্মীরা বাড়ি বাড়ি ঘুরে তা সংগ্রহ করবেন। চলতি মাসেই এই কাজ শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে পুর প্রশাসনের। ওই অফিসার আরও জানান, এই ব্যবস্থা চালু করার আগে সংশ্লিষ্ট এলাকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে, লিফলেট বিলি করে বাসিন্দাদের বিষয়টি জানানো হবে।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন