Kolkata Roads

শারদোৎসব শুরুর আগে শুক্রে শহরের রাস্তা ও পরিকাঠামো পরিদর্শনে মেয়র ফিরহাদ হাকিম

কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, শুক্রবার বিকেলে মেয়র প্রথমে কলকাতার সংযুক্ত এলাকার দিকে রওনা হবেন। বেহালা, বড়িশা, ঠাকুরপুকুর ও জোকা অঞ্চলে যানবাহন চলাচল, রাস্তাঘাটের অবস্থা ও আলোকসজ্জার প্রস্তুতি তিনি খতিয়ে দেখবেন।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৪:২৪
Share:

ফিরহাদ হাকিম। —ফাইল চিত্র।

শারদোৎসবে কলকাতার নাগরিক পরিষেবা যাতে সচল থাকে, সেই লক্ষ্য নিয়েই শহরের রাস্তাঘাট, নিকাশিব্যবস্থা ও আলোকসজ্জা খতিয়ে দেখতে শুক্রবার পরিদর্শনে নামছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, ওই দিন বিকেলে মেয়র প্রথমে কলকাতার সংযুক্ত এলাকার দিকে রওনা হবেন। বেহালা, বড়িশা, ঠাকুরপুকুর ও জোকা অঞ্চলে যানবাহন চলাচল, রাস্তাঘাটের অবস্থা ও আলোকসজ্জার প্রস্তুতি তিনি খতিয়ে দেখবেন। পরে সন্ধ্যার পর উত্তর কলকাতায় গিয়ে শ্যামবাজার ও উল্টোডাঙা চত্বর ঘুরে দেখবেন মেয়র। সেই সঙ্গে এপিসি রায় রোড, এজেসি বোস রোড-সহ শহরের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার হালহকিকতও পর্যালোচনা করার পরিকল্পনা রয়েছে।

Advertisement

কলকাতার বিভিন্ন পুজোমণ্ডপ ঘিরে প্রতি বছর বিপুল মানুষের ভিড় হয়। যানবাহন নিয়ন্ত্রণ, ভিড় সামলানো এবং নাগরিক সুবিধা অক্ষুণ্ণ রাখা এই সময়ে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। তাই পুরসভার পক্ষ থেকে বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে রাস্তাঘাটের পরিস্থিতি, সুষ্ঠু নিকাশি ব্যবস্থা ও শহরকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার দিকে। মেয়র জানিয়েছেন, উৎসবের মরসুমে যাতে সাধারণ মানুষ কোনও অসুবিধায় না পড়েন, সে দিকেই বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে। এ জন্য পুরসভার ইঞ্জিনিয়ারিং, লাইটিং ও স্যানিটেশন বিভাগকে ইতিমধ্যেই সতর্ক করা হয়েছে এবং প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুরসভা সূত্রের দাবি, শহরের রাস্তা মেরামতের কাজ প্রায় শেষের দিকে। শারদোৎসবের আগে যে সব বড় রাস্তা ও সংযোগস্থলে গর্ত বা ভাঙাচোরা ছিল, সেখানে মেরামতের কাজ দ্রুত শেষ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। বিশেষ করে উত্তর ও দক্ষিণ কলকাতার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় কাজ শেষ হয়েছে বলেই জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট আধিকারিকেরা।

শুক্রবারের এই পরিদর্শনের পরে মেয়র আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর শহরের সামগ্রিক প্রস্তুতির অগ্রগতি পর্যালোচনা করবেন বলে জানা গিয়েছে। প্রশাসনের তরফে আশা করা হচ্ছে, উৎসবের আগে এই নজরদারি ও উদ্যোগ সাধারণ মানুষকে অনেকটাই স্বস্তি দেবে এবং পুজোর সময় শহর নির্বিঘ্ন রাখতে সাহায্য করবে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement