হটমিক্স প্লান্ট নিয়ে আরও সময় চাইতে পারে পুরসভা

পরিবেশবান্ধব হটমিক্স প্লান্ট তৈরি করার ক্ষেত্রে কতটা অগ্রগতি হল, তার একটি প্রাথমিক রিপোর্ট জাতীয় পরিবেশ আদালতের কাছে আগেই দাখিল করেছে কলকাতা পুরসভা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০১৯ ০১:১৯
Share:

ব্যবসায়ীদের ট্রেড লাইসেন্স দিতে বাজারগুলিতে শিবির করবে পুর প্রশাসন।

পরিবেশবান্ধব হটমিক্স প্লান্ট তৈরি করার ক্ষেত্রে কতটা অগ্রগতি হল, তার একটি প্রাথমিক রিপোর্ট জাতীয় পরিবেশ আদালতের কাছে আগেই দাখিল করেছে কলকাতা পুরসভা। আজ, মঙ্গলবার দিল্লিতে সেই মামলার শুনানি। সে জন্য সোমবারই পুরসভার একটি দল দিল্লির উদ্দেশে গিয়েছে। সেখানে পরিবেশবান্ধব প্লান্ট তৈরির জন্য আরও কিছুটা সময় দাবি করা হতে পারে বলে পুরসভা সূত্রের খবর।

Advertisement

পুর আধিকারিকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শহরের বাইরে পরিবেশবান্ধব প্লান্ট তৈরির জন্য জমি খোঁজা হচ্ছে। এ দিকে প্লান্ট তৈরির জন্য ইতিমধ্যে দরপত্রও আহ্বান করা হয়েছে। তা চূড়ান্ত হতে যতটুকু সময় লাগবে বলে তাঁদের দাবি। এই পুরো বিষয়টি পুরসভার তরফে পরিবেশ আদালতকে জানানো হবে। পুরসভার আইনজীবী অশোক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘জাতীয় পরিবেশ আদালতের নির্দেশ মেনে পরিবেশবান্ধব প্লান্ট তৈরি করতে পুরসভা সব চেষ্টা করছে। কত দূর সে কাজ এগিয়েছে, সেটা আমাদের তরফে জানানো হয়েছে।’’

যদিও পুরসভার একাংশের বক্তব্যে প্রশ্ন উঠছে শহরে পরিবেশবান্ধব হটমিক্স প্লান্ট তৈরি নিয়েই। পুরসভা সূত্রের খবর, ভিন্ রাজ্যে যেখানে পরিবেশবান্ধব প্লান্ট রয়েছে, সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি ইতিমধ্যেই দেখে এসেছেন আধিকারিকেরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, বিষয়টি অত্যন্ত ব্যয়বহুল। পুরসভার ভাঁড়ারের যা অবস্থা, তাতে পরিবেশবান্ধব প্লান্ট তৈরিতে কত খরচ হবে, সে বিষয়টিও দেখতে হবে। তা ছাড়া এত দিনের হটমিক্স প্লান্টের প্রক্রিয়া রাতারাতি তুলে দেওয়া অসম্ভব। তাই পুরো প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে এখনও কমপক্ষে ছয় থেকে সাত মাস সময় লাগবে বলে অনুমান আধিকারিকদের।

Advertisement

পুরসভা সূত্রের খবর, হটমিক্সের বিকল্প হিসেবে কী করা যায়, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই আইআইটি খড়্গপুর, সেন্ট্রাল রোড রিসার্চ ইনস্টিটিউট, দিল্লি (সিআরআরআই)-সহ অন্য বিশেষজ্ঞ সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ‘কোল্ড মিক্স’ ও ‘মাইক্রো সারফেসিং মেকানিজম’ নিয়েও আলোচনা হচ্ছে। এক পদস্থ আধিকারিকের কথায়, ‘‘সব দিক দেখেই কোনও একটি পদ্ধতি নেওয়া হবে। তবে পরিবেশ আদালতের নির্দেশ মানা হবেই। কিন্তু কোন পদ্ধতি গ্রহণ করা যায়, সেটা নিয়েই আলোচনা চলছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন