Hawker of Kolkata

কলকাতা পুরসভার হকার নীতি কার্যকর করতে শীঘ্রই সমীক্ষার ভিত্তিতে শংসাপত্র বিলি শুরু হবে শহর জুড়ে

মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই কলকাতার হকার নীতি ঠিক করতে এই সমীক্ষার কাজ শুরু হয়। তবে দুর্গাপুজো এবং আর জি কর হাসপাতালের ঘটনায় উত্তাল পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রশাসন ব্যস্ত হয়ে পড়ে। ফলে, হকার নীতির বিষয়টি কিছুটা থমকে গিয়েছিল।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৮:২৪
Share:

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

কলকাতা শহরের সুষ্ঠু এবং সুসংগঠিত হকার নীতি কার্যকর করার লক্ষ্যে কলকাতা পুরসভা বড়সড় পদক্ষেপ নিতে চলেছে। গত বছর দুর্গাপুজোর আগেই হকারদের নিয়ে বিস্তারিত আকারে সমীক্ষার কাজ শেষ করেছিল পুরসভা। এ বার সেই সমীক্ষার ভিত্তিতে হকারদের 'ভেন্ডিং সার্টিফিকেট' বা শংসাপত্র দেওয়ার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য শহরের ফুটপাতগুলিকে আরও শৃঙ্খলাবদ্ধ করা এবং হকারদের জন্য একটি স্বচ্ছ, ন্যায্য ব্যবসায়িক পরিবেশ তৈরি করা। কলকাতা পুরসভার সমীক্ষা অনুযায়ী, শহরে নথিভুক্ত হকারের সংখ্যা ৫৪,১৭৮। এই সমীক্ষা প্রক্রিয়ায় প্রতিটি হকারের ব্যবসার স্থান, নাম, প্যান এবং আধার কার্ডের বিবরণ সংগ্রহ করা হয়েছে। এ ছাড়াও, ডিজিটাল পদ্ধতিতে জিয়ো-ট্যাগিংয়ের মাধ্যমে হকারদের অবস্থান সুনির্দিষ্ট ভাবে নথিভুক্ত করা হয়েছে। এর ফলে কোন হকার কোন ফুটপাতে কতটা জায়গা নিয়ে ব্যবসা করছেন, তা সহজেই নির্ধারণ করা সম্ভব হয়েছে।

Advertisement

মূলত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই কলকাতার হকার নীতি ঠিক করতে এই সমীক্ষার কাজ শুরু হয়। তবে, সমীক্ষার মাঝপথেই দুর্গাপুজো এবং আর জি কর হাসপাতালের ঘটনায় উত্তাল পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রশাসন ব্যস্ত হয়ে পড়ে। ফলে, হকার নীতির বিষয়টি কিছুটা থমকে গিয়েছিল। তবে নতুন বছরের শুরুতেই এই অসমাপ্ত কাজ আবার শুরু করার জন্য উদ্যমী হয়েছে পুরসভা। নয়া হকার নীতির অধীনে শুধুমাত্র ফুটপাতে বসা বৈধ হকারেরাই ভেন্ডিং সার্টিফিকেট পাবেন। যে সব হকার একাধিক স্থানে ব্যবসা চালান, তাঁদের জন্য কড়া নিয়ম প্রয়োগ করা হবে।

অন্য দিকে, এই শংসাপত্র দেওয়ার জন্য বিশাল পরিকাঠামোগত প্রয়োজনীয়তা রয়েছে, যা মেটাতে কলকাতা পুরসভা চুক্তিভিত্তিক 'ডেটা এন্ট্রি অপারেটর' নিয়োগের‌ও সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পুরসভার আধিকারিকদের মতে, হকারদের ব্যবসা করার নির্দিষ্ট স্থান নির্ধারণের পাশাপাশি নন-ভেন্ডিং জ়োনও চিহ্নিত করা হয়েছে। এতে শহরের যানজট এবং পথচলতি মানুষের চলাচলে বাধা কমবে বলে আশা করছে পুরসভা।

Advertisement

এই উদ্যোগের মাধ্যমে হকারদের ব্যবসার নিরাপত্তা যেমন নিশ্চিত করা যাবে, তেমন‌ই ফুটপাতগুলিতে শৃঙ্খলা বজায় থাকবে। অবৈধ দখলদারি কমানো, শহরের সৌন্দর্যরক্ষা এবং পথচলতি মানুষের সুবিধা নিশ্চিত করাই এই নীতির মূল লক্ষ্য। কলকাতা পুরসভার এই পদক্ষেপ শহরের হকারদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে। সঠিক ভাবে বাস্তবায়িত হলে এটি শহরের ব্যবসায়িক পরিবেশে ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে এবং হকারদের জীবনে স্থায়িত্ব প্রদান করবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement