Kolkata Pollution on Diwali

‘দীপাবলিতে দেশে সবচেয়ে কম দূষণ কলকাতায়!’ সিপি মনোজ দাবি করলেন, গত বছরের চেয়ে কমেছে শব্দবাজির দৌরাত্ম্য

সিপি মনোজ বর্মার দাবি, শব্দদূষণ হোক বা বায়ুদূষণ— চলতি বছরে দীপাবলিতে দুটোই গত বছরের তুলনায় কম রয়েছে। শহরের বিভিন্ন জায়গায় টহল দিয়ে সবদিক খতিয়ে দেখে পুলিশের আরও দাবি, এ বছর ভারতের অন্যান্য বড় শহরের তুলনায় কলকাতায় দূষণ অনেক কম হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২১ অক্টোবর ২০২৫ ১১:০৮
Share:

পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা। — ফাইল চিত্র।

এ বছরও দীপাবলিতে শব্দবাজির দাপট দেখা গিয়েছে সর্বত্র। নির্ধারিত সময়সীমা, নিষেধাজ্ঞা— কোনও কিছুর তোয়াক্কা না করেই গভীর রাত পর্যন্ত দেদার শব্দবাজি ফাটানো হয়েছে। সেই আবহেই কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মার গলায় শোনা গেল ভিন্ন সুর! মনোজ দাবি করলেন, গত বারের তুলনায় এ বছর কলকাতার পরিস্থিতি অনেক ভাল। ভারতের অন্যান্য বড় শহরের তুলনায় এ বার দূষণও অনেক কম হয়েছে কলকাতায়।

Advertisement

মঙ্গলবার সকালে সিপি মনোজ বলেন, ‘‘শব্দ ৯০ ডেসিবলের থেকে কম রয়েছে মানে তা সীমার মধ্যেই রয়েছে। এ সংক্রান্ত সীমা ১২৫ ডেসিবল। এ ছাড়া, আমরা সোমবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বায়ুদূষণের উপরেও নজর রেখেছিলাম। তখনও পর্যন্ত সারা ভারতের অন্যান্য বড় শহরের তুলনায় কলকাতায় দূষণ কম ছিল। রাত ১০টা কিংবা ১২টার রিপোর্ট খতিয়ে দেখলে গোটা চিত্রটা স্পষ্ট হবে।’’ তবে মনোজের কথায়, শব্দদূষণ হোক বা বায়ুদূষণ— চলতি বছরে দীপাবলিতে দুটোই গত বছরের তুলনায় কম রয়েছে। শহরের বিভিন্ন জায়গায় টহল দিয়ে সবদিক খতিয়ে দেখে পুলিশের আরও দাবি, এ বছর ভারতের অন্যান্য বড় শহরের তুলনায় কলকাতায় দূষণ অনেক কম হয়েছে।

দীপাবলির রাতের আসল চিত্রটা যদিও ছিল অন্য রকম। নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে গভীর রাত পর্যন্ত চলছিল ‘শুভ’ দীপাবলি উদযাপন। সঙ্গে দেদারে ফাটছিল শব্দবাজি। দমদম, নিউটাউন, যাদবপুর, পার্কস্ট্রিট, বিধাননগর— ভয়াবহ পরিস্থিতি ছিল সর্বত্র। আতঙ্কে ছিলেন শিশু, বৃদ্ধ এবং অসুস্থ মানুষেরা। রাত ১২টার পর কলকাতার বাতাসের গুণমান সূচকের হিসেব বলছিল, বালিগঞ্জ ও বিধাননগর দূষণের সর্বোচ্চ মাত্রা ৪০০-র গণ্ডি পেরিয়ে গিয়েছে। ‘দূষণে’ দিল্লিকেও টেক্কা দিয়ে ফেলেছিল কলকাতার বেশির ভাগ এলাকা। রাত ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত সবুজ বাজি ছাড়া অন্য কোনও বাজি পোড়ানোতে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও বেশির ভাগ জায়গাতেই রাত ২টো বেজে গেলেও শব্দবাজির তাণ্ডব কমেনি। কোথাও রাস্তার মাঝে তুবড়ি, চরকি, চকলেট বোমা নিয়ে চলছিল উল্লাস। কোথাও আবার চলন্ত ট্রেনের কামরা লক্ষ্য করে ছোড়া হচ্ছিল বাজি। আতঙ্কে সিঁটিয়েছিলেন পথচারী, যাত্রীরা।

Advertisement

হিসাব বলছে, সোমবার রাত ১২টা পর্যন্ত দূষণ নিয়ন্ত্রক পর্যদের কাছে জমা পড়েছে ৪১টি অভিযোগ। বেশি অভিযোগ জমা পড়েছে কসবা, নিউ আলিপুর, সল্টলেক, শিয়ালদহ, যোধপুর পার্ক, ভবানীপুর, বালিগঞ্জ থেকে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাত ১২টা পর্যন্ত পুলিশের কাছেও শব্দবাজি সংক্রান্ত শতাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে। গ্রেফতার হয়েছেন অন্তত ১৮৩ জন। এ ছাড়াও, নানা অপরাধে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে ৪৫১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জুয়া খেলতে গিয়ে ধরা পড়েছেন ৬ জন। শহর জুড়ে মোট ৮৫১.৪৫ কেজি বেআইনি বাজি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

এ ছাড়া, সোমবার ট্র্যাফিক আইন ভেঙেছেন মোট ৮৮২ জন। এর মধ্যে হেলমেট ছাড়া বাইক চালানোর ঘটনা ঘটেছে ৫১৪টি। বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানোর ঘটনা ঘটেছে ১১৬টি। এ ছাড়াও, মত্ত অবস্থায় গাড়ি চালানোর জন্য ৯৯ জন এবং অন্যান্য নানা অপরাধে আরও ১৫৬ জনকে জরিমানা করা হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement