East West Metro

অনেক ‘প্রথম’-এর সাক্ষী, দেখে নিন কী কী থাকছে ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোয়

এর পর মেট্রোর যাত্রাপথ নিয়ে নতুন করে চিন্তাভাবনা শুরু হয় ২০১৫ সালে। নতুন রুটে সম্মতি জানায় রেলবোর্ড এবং বিনিয়োগকারী সংস্থা ‘জাইকা’।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৪:১৯
Share:
০১ ১৩

২০০৮ সালে সল্টলেকের পাঁচ নম্বর সেক্টর থেকে হাওড়া ময়দান পর্যন্ত ইস্ট-ওয়েস্ট প্রকল্পটি রূপায়ণের পদক্ষেপ শুরু হয়। তখন প্রকল্পের দৈঘ্য ছিল ১৩.৭৬ কিলোমিটার।

০২ ১৩

পরে রুট পরিবর্তনের কারণে দৈর্ঘ্য বেড়ে হয় ১৪.৬৭ কিলোমিটার। তার মধ্যে মাটির তলায় সুড়ঙ্গের দৈর্ঘ্য (ফুলবাগান থেকে হাওড়া ময়দান) ১০.৫৩ কিলোমিটার।

Advertisement
০৩ ১৩

২০০৯ সালে নির্মাণকাজ শুরু। প্রথমে স্পেনের এক সংস্থাকে কামরা নির্মাণের বরাত দেওয়া হয়েছিল। তিন বছরের মধ্যে প্রকল্প শেষ করার লক্ষ্যমাত্রাও ধরা হয়।

০৪ ১৩

সুভাষ সরোবর থেকে শিয়ালদহ পর্যন্ত সুড়ঙ্গ খননের কাজ শুরু হয় প্রথম পর্যায়ে। যদিও ২০১২ সালে বৌবাজারে জমি সমস্যার কারণে প্রকল্প ধাক্কা খায়। রাজ্য সরকার যাত্রাপথ বদলের প্রস্তাব দেয়।

০৫ ১৩

দত্তাবাদের কাছেও কাজ বাধা পায় জমিজটিলতায়। পুনর্বাসনের দাবিতে শুরু হয় আন্দোলন। এই সব দেরির জেরে প্রকল্প থেকে সরে আসে স্পেনের কোচ নির্মাণ সংস্থা।

০৬ ১৩

এর পর মেট্রোর যাত্রাপথ নিয়ে নতুন করে চিন্তাভাবনা শুরু হয় ২০১৫ সালে। নতুন রুটে সম্মতি জানায় রেলবোর্ড এবং বিনিয়োগকারী সংস্থা ‘জাইকা’। ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর জন্য কোচ নির্মাণের বরাত দেওয়া হয় বেঙ্গালুরুর সংস্থা ‘ভারত আর্থ মুভার্স লিমিটেড’কে।

০৭ ১৩

হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্লানেড পর্যন্ত সুড়ঙ্গ খননের কাজ শুরু। ২০১৮ সালে বেঙ্গালুরু নতুন কোচ আসে কলকাতায়। পাঁচ নম্বর সেক্টর থেকে পরীক্ষামূলক ভাবে মেট্রো চলাচল শুরু হয়। তার পর একাধিক বার উদ্বোধনের তারিখ পিছিয়ে গিয়েছে।

০৮ ১৩

ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোয় থাকছে অত্যাধুনিক পদ্ধতি। প্ল্যাটফর্মে দুর্ঘটনা এড়াতে রাখা হয়েছে স্ক্রিন ডোর। প্রতি কামরায় ডিসপ্লে বোর্ড সঙ্গে সিসি ক্যামেরা। আপৎকালীন পরিস্থিতিতে যাত্রীরা যাতে মাইক্রোফোনে চালকের সঙ্গে কথা বলতে পারেন, রয়েছে সেই ব্যবস্থাও।

০৯ ১৩

সব ট্রেন বাতানুকূল। থাকছে স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা। প্রত্যেক কামরায় হুইলচেয়ার থাকবে। এছাড়াও বয়স্ক এবং অশক্ত যাত্রীদের জন্য প্রতি স্টেশনে একাধিক লিফট, এসক্যালেটরের ব্যবস্থা থাকছে।

১০ ১৩

প্রত্যেক স্টেশনে সুইস সংস্থার বড় ঘড়ি। থাকছে স্টেশনে স্বয়ংক্রিয় টিকিট ভেন্ডিং মেশিন।

১১ ১৩

পার্কিংয়ের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। সেক্টরে ফাইভ স্টেশনে পার্কিংয়ের জায়গা থাকবে বলে মেট্রো রেল সূত্রে খবর। ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর প্রতি স্টেশনে শৌচাগার তৈরি করা হয়েছে।

১২ ১৩

প্রথম পর্যায়ে শুরু হওয়া সেক্টর ফাইভ থেকে সল্টলেক স্টেডিয়ামের মধ্যে যাত্রাপথের দূরত্ব ৫.৫৪ কিলোমিটার। যাত্রাপথ প্রায় ১৪ মিনিটের। সকাল ৮টা থেকে‌ রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে। ২০ মিনিট অন্তর ট্রেন থাকবে।

১৩ ১৩

ট্রেনের ভাড়া প্রথম দু’কিলোমিটারের জন্য ৫ টাকা। সর্বাধিক ১০ টাকা। কলকাতা মেট্রোর স্মার্ট কার্ডও ব্যবহার করা যাবে। (ছবি: আর্কাইভ)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
Advertisement
আরও গ্যালারি
Advertisement