Kolkata High Court

পার্ক স্ট্রিট গণধর্ষণ মামলায় বিচারে দীর্ঘসূত্রিতার অভিযোগ খারিজ করল হাইকোর্ট

ওই মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত মহম্মদ আলি ওরফে আজহার আলি একটি অভিযোগ দায়ের করেন কলকাতা হাইকোর্টে। সেখানে তিনি বিচার প্রক্রিয়ায় দীর্ঘসূত্রিতার অভিযোগ করেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৬:৩৯
Share:

পার্ক স্ট্রিট গণধর্ষণ মামলায় বিচারে দীর্ঘসূত্রিতার অভিযোগ খারিজ হাইকোর্টে।

পার্ক স্ট্রিট গণধর্ষণ মামলার বিচার প্রক্রিয়ায় কোনও দেরি হচ্ছে না। শুনানি নিম্ন আদলতে নিয়মিতই হচ্ছে। উচ্চ আদালত এ বিষয়ে কোনও রকম ভাবে হস্তক্ষেপ করবে না। বিচারে দীর্ঘসূত্রিতার অভিযোগ খারিজ করে দিয়ে পার্ক স্ট্রিট গণধর্ষণ মামলায় সোমবার এমন পর্যবেক্ষণের কথাই জানাল কলকাতা হাইকোর্ট

Advertisement

ওই মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত মহম্মদ আলি ওরফে আজহার আলি একটি অভিযোগ দায়ের করেন কলকাতা হাইকোর্টে। সেখানে তিনি বিচার প্রক্রিয়ায় দীর্ঘসূত্রিতার অভিযোগ করেন। এ দিন ওই মামলারই শুনানি হয় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে। আলির আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি আদালতকে জানিয়েছিলেন, গাজিয়াবাদ থেকে তাঁর মক্কেলকে ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে গ্রেফতার করা হয়। ২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে নিম্ন আদালত চার্জ গঠন করে আলির বিরুদ্ধে। তার পর দেড় বছরেরও বেশি সময় কেটে গিয়েছে। অথচ এখনও ওই মামলার নিষ্পত্তি হয়নি। আলির তরফে আবেদনে জানানো হয়, নিম্ন আদালতের বিচারক ২২ ডিসেম্বর অবসর গ্রহণ করবেন। তাঁর আশঙ্কা, এর ফলে ওই মামলার বিচার প্রক্রিয়া অনেকটাই গতি হারাবে।

এ দিন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত নিম্ন আদালতে চলা মামলার নথিপত্র খতিয়ে দেখেন। এর পর তিনি, ‘‘নিয়মিত শুনানির ক্ষেত্রে এখনও পর্যন্ত কোনও অনিয়ম দেখা যায়নি।” এর পরই তিনি আজহার আলির করা বিচারে বিলম্বের অভিযোগ কার্যত খারিজ করে দিয়ে জানিয়ে দেন যে, উচ্চ আদালত এ বিষয়ে কোনও রকম হস্তক্ষেপ করবে না। কোনও রকম নির্দেশ না দিয়েই তিনি মামলা ফিরিয়ে দেন।

Advertisement

আরও পড়ুন: কংগ্রেস বলল, ‘অসাংবিধানিক’, ‘ধর্মের ভিত্তিতে দেশ ভেঙেছেন আপনারা’, নাগরিকত্ব বিল পেশ করে বললেন অমিত​

২০১২-র ফেব্রুয়ারি মাসে পার্ক স্ট্রিটে ওই গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ওই মাসেই গ্রেফতার করা হয় তিন অভিযুক্তকে। সেই সময় ফেরার ছিলেন দুই অভিযুক্ত মহম্মদ আলি ওরফে আজহার এবং কাদের খান। ওই বছরেরই মে মাসে ফেরার দু’জন-সহ মোট পাঁচ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেয়। ২০১৫-র ডিসেম্বরে ১০ বছরের সাজা হয় তিন অভিযুক্ত সুমিত বাজাজ, রুমন খান এবং নাসির খানের। যদিও সেই বিচার প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার আগেই ওই বছরের মার্চ মাসে এনসেফালাইটিসে ভুগে মৃত্যু হয় নির্যাতিতার।

২০১৬ সালে বাকি দুই অভিযুক্ত গ্রেফতার হওয়ার পর ফের শুরু হয় দ্বিতীয় পর্যায়ের বিচার প্রক্রিয়া। এ বছরের মার্চ মাসে বিচারপতি আশা অরোরার এজলাসে এর আগেও আলির কৌঁসুলি বিচারে বিলম্বের অভিযোগ করেছিলেন। সেই সময় বিচারপতি আশা অরোরা তিন মাসের মধ্যে বিচার প্রক্রিয়া শেষ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।

আরও পড়ুন: কর্নাটক উপনির্বাচনে বিরাট জয় বিজেপির, কংগ্রেসকে শিক্ষা দিল মানুষ, বললেন মোদী

কলকাতা পুলিশের তদন্তকারীদের একাংশ ইঙ্গিত দিয়েছেন, আলি এবং কাদের, বিচারে বিলম্বের অভিযোগ তুলে আইনি ফায়দা তোলার চেষ্টা করছেন। এ দিন হাইকোর্টের রায় তদন্তকারীদের অনেকটা সুবিধা দেবে বলে মনে করেন মামলার সঙ্গে যুক্ত আইনজীবীরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন