Satyajit Ray

অগ্নিযুগের বিপ্লবকথা

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে রাজ্য সরকারের প্রকাশিত বইয়ে মুদ্রিত হয়েছিল ফাঁসিতে শহিদ বাঙালি বিপ্লবীদের তালিকা।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০২২ ০৭:২৫
Share:

সেলুলার জেল।

কাশীর একটাও লাহিড়ীবাড়ি বাদ রাখেননি, গিয়েছেন বেঙ্গলি অ্যাসোসিয়েশনেও, কিন্তু কারও কাছে জানতে পারেননি ১৯১৮-য় বরাবাঁকি জেলে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বিপ্লবী সুশীলচন্দ্র লাহিড়ী কোথায় থাকতেন। অথচ তিনি ছিলেন কাশীর বাঙালিটোলা হাই স্কুলের শিক্ষক! আবার কৃষ্ণনগরের পোড়াগাছায় গিয়ে বুঝতে পারেন, গ্রামের ভূমিপুত্র বিপ্লবী বসন্ত বিশ্বাসের ১৯১৫ সালে অম্বালা জেলে ফাঁসির খবর জানেন না স্থানীয় মানুষ। ‘একবার বিদায় দে মা’ গানে উল্লিখিত ‘অভিরাম’ আসলে কে, খুঁজেছেন পুলিশি দস্তাবেজে। পরে বার করেন, অভিরাম হেমচন্দ্র কানুনগোর ডাকনাম। কাজের সূত্রেই দেখতে পান কত অনামা বাঙালি বিপ্লবীর ছবি নষ্ট হয়েছে অযত্নে, হারিয়ে গেছে ঠিকানার তথ্যও। তবু হাল ছাড়েননি রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক শুভেন্দু মজুমদার। পরাধীন ভারতের শৃঙ্খলমোচনে এগিয়ে আসা অগণ্য বাঙালি বিপ্লবীর লুপ্ত ইতিহাস উদ্ধারে মগ্ন তিনি।

Advertisement

জাতীয় গ্রন্থাগার, সরকারি মহাফেজখানা, হুগলি জেলা গ্রন্থাগার ইত্যাদি তো বটেই, পৌঁছে গিয়েছেন বহু বিপ্লবীর ভিটেতে, কথা বলেছেন তাঁদের উত্তরপ্রজন্মের সঙ্গে, উদ্ধার করেছেন অজস্র নথি। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে রাজ্য সরকারের প্রকাশিত বইয়ে মুদ্রিত হয়েছিল ফাঁসিতে শহিদ বাঙালি বিপ্লবীদের তালিকা। সেই তালিকা ছাড়িয়ে আরও ১৬ জনের নাম ও ফাঁসির ইতিবৃত্ত তুলে এনেছেন শুভেন্দুবাবু। দ্বীপান্তরের ঠিকানা আন্দামান সেলুলার জেলের (ছবিতে) সরকারি ফলকে খোদিত বাঙালি বিপ্লবীর সংখ্যা ৩৯৭। শুভেন্দু মজুমদারের সদ্যপ্রকাশিত বই অগ্নিযুগের অভিধান-এ (র‌্যাডিক্যাল ইম্প্রেশন) আরও ২৭ জনের কথা সপ্রমাণ যুক্ত।

নতুন এই বইটি আসলে ‘অবিভক্ত বাংলার অজস্র বিপ্লবীর স্বাধীনতার লড়াইয়ে অবিস্মরণীয় আত্মত্যাগের এক রক্তাক্ত দলিল।’ মোট ৭৭৪ জন স্বাধীনতা সংগ্রামীর নাম ও অবদানের পাশাপাশি এখানে আছে উল্লেখযোগ্য ঐতিহাসিক ঘটনা, প্রতিষ্ঠানের কথা— ২২টি সমিতি-সংগঠন, ১৭টি আইন-সার্কুলার, ১৪টি ঐতিহাসিক মামলা, ১২টি ঐতিহাসিক ঘটনা ও আটটি গুরুত্বপূর্ণ পত্রিকা। প্রকাশনার ‘অগ্নিযুগ গ্রন্থমালা’ সিরিজ়ের ৫২তম এই গ্রন্থে চিত্তরঞ্জন দাশ, সুভাষচন্দ্র বসু, সূর্য সেনের পাশে স্থান পেয়েছেন ভুজঙ্গভূষণ ধর, অনুভা সেন, নরেন্দ্রনারায়ণ চক্রবর্তী, ছটু বর্মনের মতো বিস্মৃত বিপ্লবী। একাধিক পরিশিষ্টে লবণ সত্যাগ্রহে শহিদ ৬৪ জন বিপ্লবী, ‘ভারত ছাড়ো’ আন্দোলনে শহিদ ১৩৫ জন বিপ্লবীর নাম ও পরিচয় তালিকা বিস্ময় জাগায়। স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষে বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের প্রতি নিবেদিত শ্রদ্ধাঞ্জলি এই বই। আরও অনেক বিস্মৃতনাম বিপ্লবীর ইতিহাস সন্ধানে ব্রতী শুভেন্দুবাবুর স্বপ্ন অন্তত হাজার পৃষ্ঠার একটি অভিধানগ্রন্থ রচনা, যেখানে এক জন বাঙালি বিপ্লবীর নামও বাদ যাবে না।

Advertisement

দুশো বছরে

“আমাদের পড়বার ঘরে জ্বলত দুই সলতের একটা সেজ। মাস্টারমশায় মিটমিটে আলোয় পড়াতেন প্যারী সরকারের ফার্স্ট বুক,” লিখেছেন রবীন্দ্রনাথ। বঙ্গে ইংরেজি শিক্ষার গোড়ায় প্যারীচরণ সরকারের (১৮২৩-১৮৭৫) (ছবিতে) ফার্স্ট বুক অব রিডিং ফর নেটিভ চিলড্রেন প্রকাশ পায় বিদ্যাসাগরের বর্ণপরিচয়-এর পাঁচ বছর আগে। ছয় খণ্ডের এই গ্রন্থের প্রণেতা প্যারীচরণ বারাসতে সরকারি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে এ দেশে কৃষিবিদ্যা শিক্ষাশ্রেণি এবং হস্টেল ব্যবস্থা শুরুতে অগ্রণী, ইডেন হিন্দু হস্টেল যার সাক্ষ্যবহ। বারাসতে বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে তিনি ও কালীকৃষ্ণ মিত্র সমাজচ্যুত হয়েছিলেন, হয়েছিল প্রাণসংশয়ের পরিস্থিতিও। বিধবা বিবাহ আন্দোলনে প্যারীচরণ হয়ে উঠেছিলেন বিদ্যাসাগরের সহযোগী। ‘প্রাচ্যের আর্নল্ড’, ‘শিক্ষার বন্ধু’, ‘কর্মবীর’ অভিধাভূষিত মানুষটির জন্মদ্বিশতবর্ষের সূচনা আগামী কাল।

শঙ্কু ৬০

“প্রফেসর শঙ্কুর চরিত্র পর্দায় যথাযথ ভাবে ফুটিয়ে তোলার প্রস্তুতি নিয়েছিলাম,” সাক্ষাৎকারে জানালেন ধৃতিমান চট্টোপাধ্যায়, প্রকাশ পেল বিচিত্রপত্র-র (সম্পা: সৌরদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় অয়ন চট্টোপাধ্যায় সৌম্যকান্তি দত্ত) ‘প্রফেসর শঙ্কু ৬০’ সংখ্যায়। সত্যজিতের শতবর্ষের সঙ্গে তাঁর সৃষ্ট শঙ্কুর প্রকাশনার ৬০ বছর উদ্‌যাপন। “আমরাও যেন প্রফেসর শঙ্কুকে চোখের সামনে দেখতে পাই... উনি ফিল্মমেকার ছিলেন বলেই হয়তো ওঁর লেখাগুলি এত ভিজ্যুয়াল,” লিখেছেন শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়। আছে স্বয়ং সত্যজিতের দুষ্প্রাপ্য সাক্ষাৎকার, যেখানে বলেছেন, “আমার লেখার পিছনে আমার বাবার লেখা হেশোরাম হুঁশিয়ারের ডায়েরী-র কথা মনে থাকতে পারে।” তাঁর শঙ্কু-কাহিনির পাণ্ডুলিপিও মুদ্রিত, শঙ্কু নিয়ে একগুচ্ছ লেখার পাশাপাশি। আছে হীরক রাজার দেশে-র সম্পূর্ণ চিত্রনাট্যও।

দুই মহাপ্রাণ

“৪৬টি প্রবন্ধের মধ্যে শিরোনামেই ৪২টি প্রবন্ধে একযোগে স্বামীজি এবং নেতাজি উপস্থিত আছেন... ‘স্বামীজির ভাবশিষ্য সুভাষচন্দ্র’— এ ভাবটিই প্রধান উপজীব্য,” প্রকাশকের নিবেদনে জানিয়েছেন স্বামী সুপর্ণানন্দ। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মের ১২৫ বছর উপলক্ষে রামকৃষ্ণ মিশন ইনস্টিটিউট অব কালচার, গোলপার্কের শ্রদ্ধাঞ্জলি ন’শোরও বেশি পৃষ্ঠার সুপরিসর গ্রন্থ বিবেক-দ্যুতিতে উদ্ভাসিত সুভাষচন্দ্র (সম্পাদক: স্বামী চৈতন্যানন্দ)। দুই ওজস্বী ব্যক্তিত্বের আদর্শের সাদৃশ্য, তাঁদের স্বদেশপ্রেম, মানবতাবাদ থেকে শুরু করে শিক্ষাচিন্তা, শিল্প-সংস্কৃতি-অর্থনীতি-দর্শন ভাবনা— সবই উঠে এসেছে বিশিষ্টজনের কলমে। আগামী কাল, নেতাজির জন্মদিনের বিকেলে বইটি প্রকাশিত হবে ইনস্টিটিউট-এর বিবেকানন্দ হল-এ, অনলাইন উদ্বোধনে থাকবেন স্বামী সুবীরানন্দ, স্বামী বলভদ্রানন্দ ও সুরঞ্জন দাস।

নতুন করে

কাজী নজরুল ইসলামের ‘ভারতের দুই নয়নতারা হিন্দু মুসলমান’ গানে সুর দিয়ে কমল দাশগুপ্ত ১৯৩৮-এ দু’টি পৃথক রেকর্ডে গাওয়ালেন মৃণালকান্তি ঘোষ ও আব্বাসউদ্দিন আহমেদকে দিয়ে। সেই সুরে গীত হতে হতে ক্রমে জনপ্রিয় হয় ‘মোরা এক বৃন্তে দুটি কুসুম হিন্দু মুসলমান’। আসল সুরটি কিন্তু এ নয়, পুতুলের বিয়ে নাটকের জন্য ১৯৩৩-এ এইচএমভি রেকর্ডে তা গেয়েছিলেন বীণাপাণি ও হরিমতী। বাউল কার্ফার সেই হৃতগৌরব সুরের উল্লেখ আছে ব্রহ্মমোহন ঠাকুরের গবেষণাগ্রন্থ নজরুল সঙ্গীত নির্দেশিকা-য়। ২৬ জানুয়ারি সেই সুরের গানটি ইউটিউবে আনছে কৃষ্টি ক্রিয়েশনস। তানিয়া পালের পরিচালনা ও গায়নের সঙ্গী সেখানে নূপুর কাজী, শ্রাবণী ব্রহ্মচারী, জয়দীপ রায় ও অলক রায়চৌধুরী।

শিল্পীর জীবন

তাঁর চর্চার বিষয় চিত্রকলা, কাঠখোদাই, পঞ্জিকা, বিজ্ঞাপন, কাগজ, কালি, রং, ক্যানভাস, সবই। কখনও চিৎপুরের খোদাইকরদের শিল্পকৃতির সঙ্গে সংলাপে ‘পপুলার আর্ট’কে ধ্রুপদী পরিসরে সাজিয়েছেন আশ্চর্য দক্ষতায়, সেই কাজও উৎসর্গ করেছেন সেই কারিগর-শিল্পীদেরই। সত্তর দশকে শুরু করেছিলেন ‘চলমান শিল্প আন্দোলন’ও, সময়ের নিরিখে যা ছিল অনন্য এক ভাবনা। অসিত পালের শিল্পজীবন নিয়ে ‘সাক্ষীচিত্র’ আপন হতে বাহির হয়ে তৈরি করেছে জীবনস্মৃতি ডিজিটাল আর্কাইভ। সেখানে আছে শিল্পীর নিজের কথা, তাঁকে নিয়ে বলেছেন যোগেন চৌধুরী, হিরণ মিত্র, শুভাপ্রসন্ন ও নবীন কিশোর। অরিন্দম সাহা সরদার পরিচালিত ছবিটি আজ রাত ৮টায় মুক্তি পাবে ‘জীবনস্মৃতি ডিজিটাল আর্কাইভ’ ইউটিউব চ্যানেলে, প্রকাশ পাবে ছবি বিষয়ক একটি পুস্তিকাও।

মুহূর্তকথা

জানালার বাইরে রেলপথের বিস্তার, আর সেই জানালাকে পাশে নিয়ে বোলপুরগামী ট্রেনে সত্যজিৎ চলেছেন অশনি সংকেত-এর শুটিং করতে (নীচের ছবিতে)। দীর্ঘদেহী মানুষটি পা মুড়ে কোলের উপর খাতাটি নিয়ে নিবিষ্ট মনে লিখে চলেছেন, হয়তো চিত্রনাট্যেরই কোনও পরিমার্জন। জানালা দিয়ে আসা ধবধবে আলোয় ফুটে ওঠা সত্যজিৎ... সন্দীপ রায়ের তোলা এই ছবিটির সঙ্গে আছে তাঁরই তোলা ক্যামেরায় সত্যজিতেরই আরও কিছু ছবি, বিভিন্ন ভঙ্গিমায়। কোনওটিতে বাঁ হাতে সিগারেট নিয়ে লেখার টেবিলের পাশে বসে হাসছেন সত্যজিৎ, বিশপ লেফ্রয় রোডের বাড়ি। কোনওটিতে আবার রিচার্ড অ্যাটেনবরো-র সঙ্গে শতরঞ্জ কে খিলাড়ি-র শুটিংয়ে, ইন্দ্রপুরী স্টুডিয়োতে, সহাস্য দুজনেই। এ রকমই একগুচ্ছ সাদাকালো ছবি নিয়ে ডেস্ক ক্যালেন্ডার প্রকাশ করেছে ‘ফাটাফাটি’, নাম ‘রে বা ই রে/ থ্রু হিজ় সন্স লেন্সেস’। “বাবার বিভিন্ন বয়স আর মুড-এর ছবি, সত্তর থেকে আশির শুরু অব্দি এক দশকের ছবি। প্রায় প্লেফুল মুডে তোলা, বাবার অজান্তেই দুর্লভ কিছু মুহূর্ত ধরে রাখার জন্য,” জানালেন সন্দীপ রায়।

সুরের যাত্রা

বামপন্থী আন্দোলনের উত্থানের সঙ্গে, গত ষাট-সত্তরের দশকে ছড়িয়ে পড়ে এক গুচ্ছ যাত্রাপালা। লেনিন, স্তালিন, আমি সুভাষ, স্বামী বিবেকানন্দ, রক্তাক্ত তেলঙ্গানা, হাটে বাজারে, আট ঘণ্টার লড়াই ইত্যাদি যাত্রা যাঁর সুরে প্রাণ পেয়েছিল, তিনি প্রশান্ত ভট্টাচার্য (ছবিতে)। যাত্রায় চালু করেন গণসঙ্গীত, লেনিন যাত্রার সুর মুগ্ধ করেছিল হেমাঙ্গ বিশ্বাসকে। প্রায় দুশোরও বেশি যাত্রায় সুর করার পাশাপাশি আকাশবাণী ও বেসিক রেকর্ডে গান করেছেন, তাঁর সুরে ও নিজের কণ্ঠে গাওয়া জনপ্রিয় গানগুলি ষাট ও সত্তর দশকে নিয়মিত বেজেছে রেডিয়োয়, ‘আমায় অন্ধ করে দাও’, ‘খনিগুলো মণি ভরা’, ‘ওগো আমার সুকন্যা’ গানগুলো লোকের মুখে মুখে ফিরত। তাঁর সুরে গান গেয়েছেন হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, মান্না দে, আশা ভোঁসলে, দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়, বনশ্রী সেনগুপ্ত, হৈমন্তী শুক্ল প্রমুখ, তরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাওয়া ‘আলতা পায়ে আলতো ছোঁয়া’ জনপ্রিয় হয়েছিল খুবই। সৌম্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর ও জ্ঞানপ্রকাশ ঘোষের ছাত্র, রাজ্য সরকারের একাধিক পুরস্কারে সম্মানিত সুরকার-শিল্পী প্রয়াত হলেন গত ৭ জানুয়ারি, ৮৩ বছর বয়সে।

স্রোতে ভাসা

গুচ্ছের ‘গুড মর্নিং’, ‘গুড নাইট’ মেসেজ, সঙ্গে কাঁড়ি ছবি। কিংবা স্বরচিত গল্প-কবিতা পাঠিয়ে প্রশ্ন, ‘কেমন লাগছে পড়তে?’ করোনাকালে যাতে মানুষকে থানায় এসে অভিযোগ না জানাতে হয়, দূর থেকেই কিছু কাজ হয়ে যায়, তাই শহরের থানাগুলোর জন্য নির্দিষ্ট কিছু হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর সমাজমাধ্যমে শেয়ার করেছিল কলকাতা পুলিশ। সেখানেই এমনি এসে ভেসে চলেছে এই রকম বার্তারা। এ কি মূর্খামি না দুষ্টুমি, না কি মানুষের ক্রমশ বেড়ে চলা একাকিত্বের প্রকাশ, তা নিয়ে গবেষণা হতে পারে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন