Cocaine

যৌনাঙ্গের গভীরে কোকেন! পাচারকারী মহিলাকে নিয়ে ফাঁপরে শহরের গোয়েন্দারা

ট্রান্স-ভ্যাজিনাল আল্ট্রা সোনোগ্রাফি না করলে ভিতরে থাকা জিনিসের সঠিক অবস্থান বোঝা সম্ভব নয়। আর সেই অবস্থান না জানলে বের করাও যাবে না।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ জুলাই ২০১৮ ০৯:৫৪
Share:

বিমানবন্দরে নাইজেরিয় মহিলা।

যৌনাঙ্গের ভেতরে ঢুকিয়ে আনা হচ্ছিল কোকেন। কিন্তু চলাফেরার সময় তা আরও গভীরে ঢুকে পৌঁছে গিয়েছে ইউটেরাসে। সেই মাদক বেরও করা যাচ্ছে না। আর ভেতরে থাকা কোকেনের একটা ক্যাপসুল ফাটা মানেই মৃত্যু।

Advertisement

মাদক পাচারকারী ধরে এখন মহা ফাঁপড়ে নারকোটিক কন্ট্রোল ব্যুরোর গোয়েন্দারা।

সোমবার রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে জেট এয়ারওয়েজে মুম্বই থেকে আসা যাত্রী তিরিশ বছরের ডেভিড ব্লেসিংকে আটক করেন গোয়েন্দারা। বিমানবন্দরে প্রাথমিক তল্লাশির পর কুড়িটি এলএসডি ব্লটের হদিশ পাওয়া যায় এই নাইজেরিয়ান মহিলার কাছ থেকে।

Advertisement

এনসিবি এবং শুল্ক দফতরের মহিলা কর্মীদের সন্দেহ হয়, আরও মাদক লুকোন রয়েছে। আর তাঁদের পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে মহিলার দেহ তল্লাশির সময়তেই ডেভিডের পায়ুদ্বার থেকে পাওয়া যায় ১২ গ্রাম কোকেন।

ধৃতের কাছ থেকে পাওয়া কোকেন ক্যাপসুল

আর সেই সময়ই জেরায় মহিলা স্বীকার করেন আরও কোকেন লুকোন আছে তাঁর যৌনাঙ্গে। প্রথমে তাঁকেই বের করতে বলেন গোয়েন্দারা। কিন্তু মহিলা নিজেই কিছুক্ষণ চেষ্টা করার পর জানান যে তিনি বের করতে পারছেন না।

আরও পড়ুন: বান্ধবীকে নিয়ে বচসা, সহপাঠীকে ছুরি দিয়ে কোপাল ছাত্র

সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় ভিআইপি রোডের পাশে একটি বেসকারি হাসপাতালে। সেখানে এক্স-রে করে দেখা যায় ইউটেরাসের কাছে কিছু ভরা রয়েছে। কিন্তু চিকিৎসকরা বের করতে ব্যর্থ হন। তাঁরা জানিয়ে দেন গোয়েন্দাদের যে ট্রান্স-ভ্যাজিনাল আল্ট্রা সোনোগ্রাফি না করলে ভিতরে থাকা জিনিসের সঠিক অবস্থান বোঝা সম্ভব নয়। আর সেই অবস্থান না জানলে বের করাও যাবে না। এদিকে রাতে হাসপাতালে রেডিওলজিস্ট না থাকায় আল্ট্রা সোনোগ্রাফি করা যায়নি। আর যত সময় যাচ্ছে ততই উৎকণ্ঠা বাড়ছে গোয়েন্দাদের। এক শীর্ষ এনসিবি কর্তা জানিয়েছেন, “ সাধারণত এক ধরণের ক্যাপসুলে ভরে এরা কোকেন পাচার করে। ১২ ঘণ্টার বেশি সময় যৌনাঙ্গের ভিতরে রয়েছে ওই ক্যাপসুল। কোনও ভাবে ফেটে গিয়ে কোকেন শরীরে মিশে গেলে প্রাণসংশয় হতে পারে।” হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে, ডেভিডের অস্ত্রপচার করতে হবে। দুপুরেই অস্ত্রপচার করে কোকেন বের করার চেষ্টা করবেন তাঁরা।

প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, প্রায় তিন বছর ধরে মুম্বইতে আছে ডেভিড। সে একটি বড় মাদক পাচার চক্রের সঙ্গে যুক্ত। তাঁর কাছ থেকে সেই চক্রের অনেক তথ্য পাওয়া সম্ভব। কিন্তু আপাতত জেরা করা দূরে, আসামীর দ্রুত আরোগ্য কামনায় ব্যস্ত গোয়েন্দারা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন