প্রতীকী ছবি।
যৌন হেনস্থার অভিযোগ তুলে চলন্ত অটো থেকে তরুণীর লাফিয়ে নেমে যাওয়ার ঘটনায় এখনও কোনও সূত্র পাওয়া যায়নি। বুধবার এমনই জানালেন তদন্তকারীরা। ফলে এই ঘটনায় অভিযুক্তেরা এখনও অধরাই।
ঘটনার তদন্তে নেমে গোলপার্ক-গড়িয়া রুটের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেন তদন্তকারীরা। কিন্তু সেই সব ফুটেজ থেকে কোনও সূত্রই মেলেনি বলে জানিয়েছে পুলিশ। তদন্তকারীদের একাংশ জানিয়েছেন, গড়িয়াহাট (সাউথ) রোডে বেশ কয়েকটি সিসিটিভি রয়েছে। কিন্তু সেগুলির ছবি পরিষ্কার না হওয়ায় ওই অটোটি আলাদা ভাবে শনাক্ত করা যাচ্ছে না। তবে ওই তরুণী যেই জায়গা থেকে অটোয় উঠেছিলেন, সেখানে কোনও সিসিটিভি নেই বলেই জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার সময়ে কোন কোন চালক গড়িয়া-গোলপার্ক রুটের অটো চালিয়েছেন, তা সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চেয়েছেন তদন্তকারীরা। ওই নামের তালিকা হাতে এলেই সেই সব চালককে লেক থানায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হবে বলে পুলিশ সূত্রের খবর।
পুলিশের কাছে ওই তরুণী অভিযোগ করেছিলেন, রবিবার রাতে গড়িয়া-গোলপার্ক রুটের একটি অটোয় তাঁকে হেনস্থা করেন কয়েক জন যাত্রী। তরুণীর দাবি, তিনি ঢাকুরিয়ায় দক্ষিণাপনের উল্টো দিক থেকে ওই অটোয় উঠেছিলেন। বসেছিলেন চালকের পাশে বাঁদিকের আসনে। ট্র্যাফিক আইন ভেঙে অটোচালকের ডান দিকেও এক যাত্রী তোলা হয়েছিল। ওই তরুণীর অভিযোগ, অটোয় ওঠার পরেই পিছন থেকে তাঁর শরীরে নানা ভাবে কয়েকটি হাতের স্পর্শ টের পেতে থাকেন। অটোচালকের ডান পাশে থাকা যাত্রীও তাঁর শরীরের পিছনে হাত দিচ্ছিলেন বলে ওই তরুণী পুলিশের কাছে অভিযোগে জানিয়েছেন। তাঁর আরও অভিযোগ, অসুবিধে বুঝেই তিনি চালককে অটো থামাতে বলেন। কিন্তু বারবার বলা সত্ত্বেও চালক অটো থামাননি বলে অভিযোগ।
এর পরেই ওই তরুণী যোধপুর পার্কের কাছে চলন্ত অটো থেকে ঝাঁপ দিয়ে নেমে পড়েন। কিন্তু অটো নিয়ে চম্পট দেন চালক।