গত বছরের অগস্ট মাসে দু’টি নতুন এসি রেক এলেও নানা জটিলতায় সেগুলিকে এখনও চালানো যায়নি। প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর্ব না মেটায় চিন থেকে আরও ১৪টি এসি রেক খুব তাড়াতাড়ি এসে পৌঁছবে না। তাই আপাতত নন-এসি রেক দিয়েই পরিস্থিতি সামলানো ছাড়া কোনও উপায় নেই।
সাধারণত মেট্রোর একটি রেকের আয়ু পাঁচ লক্ষ কিলোমিটার বা ২৫ বছর ধরা হয়। কিন্তু কলকাতার নন-এসি রেকগুলির গড় বয়স ৩২-৩৪ বছর। সেগুলি পাঁচ লক্ষ কিলোমিটারের অনেক বেশি পথ অতিক্রম করেছে। কিন্তু তার পরেও সেগুলি চালিয়ে যেতে হচ্ছে।
মেট্রো সূত্রের খবর, যে সব সংস্থা থেকে ওই রেকগুলি কেনা হয়েছিল, তারা বহু দিন আগেই ওই ধরনের রেক তৈরি করা বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে যন্ত্রাংশ পাওয়া একটা সমস্যা। পরিস্থিতি সামলাতে নোয়াপাড়া কারশেডে কয়েক বছর ধরে পুরনো রেকগুলিকে ‘পিরিয়ডিক ওভারহলিং’ বা খোলনলচে বদলে মেরামত করা হচ্ছে। এর ফলে বেশ কিছু পুরনো রেকের সমস্যা কমেছে, আয়ুও বেড়েছে।
মেট্রোর মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, খোলনলচে বদলানোর জন্য সাতটি নন-এসি রেক চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে তিনটির কাজ শেষ। চতুর্থটি তাড়াতাড়ি পাওয়ার কথা। জুন মাসে পঞ্চমটিকে পাঠানো হবে। ধাপে ধাপে সব ক’টি রেকের মেরামতি শেষ হলে সমস্যা খানিকটা কমতে পারে।
তবে ওই মেরামতিতে সমস্ত কিছু ঠিক করা যায় না। ফলে টুকটাক সমস্যা থেকেই যাবে। এক মেট্রোকর্তা বলেন, “বয়সের ভারে ন্যুব্জ রেক নিয়েই প্রাণপণে পরিষেবা ঠিক রাখার চেষ্টা চলছে।”