ফের অটোর ‘তাণ্ডব’, ভাঙচুর বাসে

হাওড়া-বিমানবন্দর রুটের বাসচালক উত্তম পাত্রের দাবি, কেষ্টপুরে তাঁর বাসের আগে অটো দাঁড় করিয়ে যাত্রী তুলছিলেন অটোচালক সুজিত মণ্ডল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ এপ্রিল ২০১৮ ০২:২১
Share:

কে আগে যাবে, তা নিয়ে সরকারি বাস এবং অটোচালকের মধ্যে টানাপড়েন চলছিল। তারই জেরে ভিআইপি রোডে একটি বাসকে ধাওয়া করে দাপট দেখালেন অটোচালক। রাস্তার ধারে পড়ে থাকা কাঠ তুলে ভাঙচুর চালানো হল সরকারি বাসে। বুধবার দুপুরে বাগুইআটি থানা এলাকার এই ঘটনায় অভিযুক্ত অটোচালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

Advertisement

হাওড়া-বিমানবন্দর রুটের বাসচালক উত্তম পাত্রের দাবি, কেষ্টপুরে তাঁর বাসের আগে অটো দাঁড় করিয়ে যাত্রী তুলছিলেন অটোচালক সুজিত মণ্ডল। অটোর আগে এসি ৩৭ নম্বর রুটের অন্য একটি বাস ছিল। ঘটনার পরে উত্তম বলেন, ‘‘কেষ্টপুরে অটোচালক যখন যাত্রী তুলছিলেন, তখন দু’বার হর্ন বাজিয়েছিলাম শুধু। তাতেই যা হল!’’ পুলিশ সূত্রের খবর, উল্টোডাঙা থেকেই বাস এবং অটোর মধ্যে রাস্তা ছাড়া নিয়ে টানাপড়েন শুরু হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত বাগুইআটির কাছে বাস দাঁড় করিয়ে কাচ ভাঙেন অভিযুক্ত।

এ দিন বাসচালক অভিযোগ করেন, কেষ্টপুরে অটোর পাশ কাটিয়ে তিনি বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা হন। উত্তমের দাবি, বাগুইআটিতে যাত্রী তোলার সময়ে তীব্র গতিতে এসে বাসের কাছে নিজের অটো দাঁড় করিয়ে দেন সুজিত। এর পরে রাস্তা থেকে কাঠ তুলে তা দিয়ে বাসের সামনের কাচে সজোরে মারেন ওই অটোচালক। অভিযোগ, তাতে কাচে চিড় ধরে যায়। হঠাৎ এই আক্রমণের কারণ জানতে উত্তম জানলা দিয়ে মুখ বাড়ালে এ বার কাঠটি উঁচিয়ে তাঁর দিকে তেড়ে আসেন অটোচালক।

Advertisement

উত্তম বলেন, ‘‘সামনের কাচে মারার পরে জানলার কাচে সপাটে মারলেন তিনি। ভাগ্যিস মুখটা সরিয়ে নিয়েছিলাম। নইলে কী যে হত!’’ এই ঘটনায় যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। বাসের কন্ডাক্টর জানান, সেই সময়ে বাসে কুড়ি জন মতো যাত্রী ছিলেন। সকলে তড়িঘড়ি নেমে যান। অটোচালকের কাঠের ঘায়ে সরকারি বাসচালকের ডানহাতের কনুই এবং আঙুলে চোট লেগেছে। এর পরে ভিআইপি রোডে অটোচালকের দাপটের কথা জোড়া মন্দির ট্র্যাফিক গার্ডে কর্তব্যরত পুলিশকর্মীদের জানান উত্তম।
ওই বাসচালকের অভিযোগের ভিত্তিতে অটোচালককে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।

ধৃত অটোচালকের অবশ্য দাবি, কেষ্টপুরে এমন ভাবে তাঁর গাড়ির পাশ দিয়ে চালক বাস নিয়ে গিয়েছিলেন যে, আর একটু হলেই অটোটি উল্টে যেত। সে জন্য তিনি ওই কাণ্ড ঘটিয়েছেন! কিন্তু পুলিশকে ঘটনাটি না জানিয়ে হঠাৎ ভাঙচুর চালানোর জন্য এগিয়ে গেলেন কেন তিনি? এই প্রশ্নের অবশ্য কোনও উত্তর মেলেনি সুজিতের কাছ থেকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন