নান্দনিক: ছবিতে রঙিন দেওয়াল। ছবি: স্বাতী চক্রবর্তী
কোনও দেওয়ালে পরিবেশ দূষণ সংক্রান্ত বার্তা। কোনও দেওয়ালে আঁকা কন্যাশ্রীর বিভিন্ন ছবিতে পড়েছে রঙের প্রলেপ। রয়েছে দেবদেবীর ছবিও। বাড়ির সামনের ফুটপাত ভেঙে বসানো হয়েছে পেভার ব্লক। আর রাস্তার ডিভাইডারে সদ্য লাগানো হয়েছে গাছের চারা। এ ভাবেই ‘গ্রিন করিডর’ হিসাবে সাজছে দক্ষিণ কলকাতার উদয়শঙ্কর সরণির অংশ।
বিক্রমগড় মোড়ে গেলে নজরে পড়বে, রাস্তার ডিভাইডারে মাটি ফেলার কাজ চলছে। ইতিমধ্যেই সেখানে ফুলের চারা বসানো শুরু হয়েছে। মানুষের নাগাল থেকে গাছ বাঁচাতে গ্রিল দিয়ে ঘিরে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিলই। সে কাজও ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। বসানো হবে আলো। ডিভাইডারে গাছের চারা লাগানো শেষ হওয়ার পরেই তা শুরু করার কথা। এ সবের জন্য খরচ পড়ছে প্রায় সওয়া কোটি টাকা।
অরবিন্দগড় মোড়, ১৭এ বাসস্ট্যান্ড নামেই পরিচিত। স্থানীয়দের অভিযোগ, ‘‘দীর্ঘদিন ধরে সেখানে রাস্তার ধারের দেওয়ালগুলি কার্যত ‘পানি-পথে’ পরিণত হয়েছিল। দেওয়ালে পরিবেশ দূষণ রোধের বার্তা দিতে রঙের আঁকিবুকিতে ভরসা করছেন স্থানীয় পুরপ্রতিনিধি। পাশের দু’টি দেওয়ালে রয়েছে দেবদেবী এবং রাজ্য সরকারের কন্যাশ্রী প্রকল্পের ছবি। কিন্তু দেওয়ালে কেন এমন ছবির ভাবনা? সে প্রসঙ্গে ১০ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান তথা ৯৫ নম্বর ওয়ার্ডের স্থানীয় কাউন্সিলর তপন দাশগুপ্তের বক্তব্য, ‘‘পরিবেশ দূষণ রোধ এবং সৌন্দর্যায়নের জন্যই এমন ভাবনা। মানুষের যত্রতত্র প্রস্রাব করার প্রবণতা বন্ধ করতে দেবদেবীর ছবি দেওয়া হয়েছে।’’
দেওয়ালে রঙের আঁকিবুকি আর রাস্তার মধ্যে গাছের চারার সঙ্গে সাযুজ্য রেখে উদয়শঙ্কর সরণি লাগোয়া বাড়ির সামনের ফুটপাতও বদলে দেওয়ার কাজ চলেছে। স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, ১৭এ বাসস্ট্যান্ড থাকায় প্রতিদিন অসংখ্য মানুষের আনাগোনা লেগেই থাকে। অনেকেই যেখানে সেখানে প্রস্রাব করেন, ফলে পরিবেশ ও দৃশ্য দূষণ হচ্ছিল। দেখা যাক, এ ভাবে দেওয়ালগুলো রাঙিয়ে তুললে যদি সেই প্রবণতায় রাশ টানা যায়। কাজ শেষ হলে দূষণ অনেকটা রোধ করা যাবে, গোটা এলাকা দেখতে অন্য রকম লাগবে।’’