রাস্তা আটকে রক্তদান, যানজটে দুর্ভোগ

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ মে ২০১৮ ০১:২৯
Share:

গতিরোধ: পথ আটকে এ ভাবেই তৈরি হয়েছে রক্তদানের মণ্ডপ। শনিবার, উল্টোডাঙায়। নিজস্ব চিত্র

প্রায় ১৫ মিটার চওড়া রাস্তা কমে দাঁড়িয়েছে ছয় মিটারে। সেখান দিয়েই এক লেনে চলছে অটো, বাস, ট্যাক্সি। বাকিটা ব্যারিকেড করে তৈরি হয়েছে মণ্ডপ। কারণ, উল্টোডাঙা মোড়ের কাছে রাস্তা আটকে তৈরি ওই মণ্ডপেই শনিবার আয়োজন করা হয়েছিল রক্তদান শিবিরের। দুপুরের পরে শিবির শেষ হলেও মণ্ডপ রয়ে গিয়েছে রাত পর্যন্ত। যার জেরে যানজট তৈরি হয়ে দুর্ভোগে পড়েন বহু যাত্রী।

Advertisement

উল্টো়ডাঙা মেন রোডের ওই অংশে গাড়ির জট নিয়ে একাধিক বার প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অভিযোগ, রাস্তার বেশির ভাগ অংশ জুড়ে এমন ভাবে অটো দাঁড় করানো থাকে যে, ব্যস্ত সময়ে পাশাপাশি দু’টি বাস যেতে পারে না। ওই জায়গা থেকেই সল্টলেক, লেকটাউন ও বিমানবন্দরগামী অটো ছাড়ে। তা ছাড়া, ভিআইপি রোড সংলগ্ন এই রাস্তায় রেল স্টেশন থাকায় গাড়ির চাপও সব সময়ে বেশি থাকে।

পুলিশ একাধিক বার অভিযান চালিয়েও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি বলে অভিযোগ। সম্প্রতি ওই এলাকার চাপ কমাতে গঙ্গার ঘাট থেকে উল্টোডাঙাগামী একাধিক রুটের অটো বিধাননগর সেতুর আগেই থামিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা হয়। অটো ইউনিয়নগুলির দাপটে সেই পরিকল্পনাও অবশ্য বাস্তবায়িত হয়নি। তার পরে এ দিন রাস্তার প্রায় অর্ধেক অংশ আটকে রক্তদান শিবির করেন উল্টোডাঙা-সল্টলেক অটো ইউনিয়নের সদস্যেরা।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রের খবর, এ দিন সকাল থেকে রক্তদান চালু হয়। উদ্যোক্তা অটোচালক তারক রায় জানালেন, বিকেল তিনটে পর্যন্ত ওই রক্তদান শিবির চলেছে। তাঁর কথায়, ‘‘রক্তদানের জন্য আমরা কোনও উপহার দিইনি। তা সত্ত্বেও প্রায় ৫০ জন অটোচালক এবং কয়েক জন স্থানীয় বাসিন্দা রক্তদান করেছেন।’’ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শান্তিরঞ্জন কুণ্ডু। তিনি এ দিনের অনুষ্ঠানে বক্তৃতাও করেন। এক স্থানীয় বাসিন্দার কথায়, ‘‘সকাল থেকে রাস্তা আটকে রক্তদান। তার মধ্যে তারস্বরে মাইক বাজছে! টেকা যাচ্ছে না।’’

যদিও রাস্তা আটকে রক্তদান শিবির করার প্রসঙ্গে তারক বলেন, ‘‘রাস্তায় করা ছাড়া আমাদের উপায় নেই। পুলিশের কাছ থেকে অনুমতি নিয়েই করেছি।’’ রাস্তা আটকে মণ্ডপ তৈরিতে অনুমতি দিলেন কী করে? উল্টোডাঙা ট্র্যাফিক গার্ডের কর্তব্যরত পুলিশ আধিকারিক বললেন, ‘‘এত বড় প্যান্ডেল হবে জানতাম না। দেখছি।’’ তবে কাউন্সিলরের বক্তব্য, ‘‘এক দিন তো অনুষ্ঠান। এতে এমন কিছু ক্ষতি হয় না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন