প্রতীকী ছবি।
এক ঠিকাদারকে মারধরের অভিযোগ উঠল কলকাতা পুরসভার এক কাউন্সিলরের ভাইয়ের বিরুদ্ধে। একটি কাজের বরাত পাওয়া নিয়ে ঝামেলা হওয়ায় প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় নামে ওই ঠিকাদারকে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগও দায়ের হয়েছে ভবানীপুর থানায়। অভিযোগ খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রদীপবাবু নিজাম প্যালেসে সিভিল ডিভিশনের ঠিকাদারির কাজের সঙ্গে যুক্ত। অভিযুক্ত তোতন দাসও এক জন ঠিকাদার। তোতনবাবু ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আশুতোষ দাসের ভাই। বৃহস্পতিবার নিজাম প্যালেসের ডিভিশন ওয়ানে একটি প্রকল্পের কাজের বরাত পাওয়া নিয়েই ঝামেলার সূত্রপাত। প্রদীপবাবুর অভিযোগ, ওই কাজের বরাত পাওয়ার জন্য তিনি আগ্রহ প্রকাশ করতেই তোতনবাবু রেগে যান। কথা-কাটাকাটির পরে তাঁকে মারধর শুরু করেন। প্রদীপবাবুর কথায়, ‘‘দাদা কাউন্সিলর হওয়ায় প্রভাব খাটিয়ে সব বড় বড় কাজ পায় তোতন দাস। এটা একটা ছোট কাজ ছিল। সেটা আমি করতে চেয়েছিলাম। তখনই আমাকে মারধর শুরু করে।’’
যদিও তোতনবাবু সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর পাল্টা দাবি, ধারাবাহিক ভাবে প্রদীপবাবু তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। সে দিনও দুর্ব্যবহার করেছিলেন। সেই ঘটনার প্রতিবাদ করাতেই প্রদীপবাবু উল্টে মারধর করেন তাঁকে। তোতনবাবুর বক্তব্য, ‘‘প্রদীপ লাথি মেরে আমাকে ফেলে দেয় মাটিতে। তার পরে আমাকে মারধর করে। সোনার চেনও কেড়ে নেয়। দাদা কাউন্সিলর হলেও আমি কখনওই কোনও রকম প্রভাব খাটাইনি।’’ তবে তোতনবাবু পুলিশে কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি। ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আশুতোষবাবু বলেন, ‘‘এরকম কোনও ঘটনার কথা জানি না।’’