বুধবার সন্ধ্যা। কলকাতা বিমানবন্দর থেকে যাত্রী নিয়ে ৭টা ১২ মিনিটে পার্কিং বে ছেড়ে গড়াতে শুরু করে বিমান। কলকাতা থেকে যাত্রী নিয়ে যাওয়ার কথা হায়দরাবাদে।
আচমকাই ফোন বেজে ওঠে বিমানবন্দরে। নিজেকে ডিরেক্টরেট অব রেভেনিউ ইনটেলিজেন্স (ডিআরআই)-এর অফিসার পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তি জানান, ‘জরুরি প্রয়োজন। ফিরিয়ে আনুন বিমান।’ ততক্ষণে বিমান আলফা ট্যাক্সিওয়েতে ঢুকে পড়েছে। সেখান থেকে দ্বিতীয় রানওয়ে টপকে প্রধান রানওয়েতে যাওয়ার কথা। জাল নোট, সোনা-মাদক-পশু চামড়া বা পশু দেহের অংশ পাচারের সঙ্গে যাঁরা যুক্ত, তাঁদেরই উপরে নজর রাখার কাজ ডিআরআই-এর। এর আগে বহু বার কলকাতা বিমানবন্দর থেকে তাঁদের হাতে ধরাও পড়েছেন পাচারকারী।
কিন্তু রওনা হয়ে যাওয়া বিমান কেন ডিআরআই ফেরাতে বলল?
বিমানবন্দর সূত্রের খবর, এক যাত্রীর সম্পর্কে শেষ মুহূর্তে খবর আসে, কেন্দ্রীয় এই গোয়েন্দা সংস্থার কাছে। গোয়েন্দারা যখন নিশ্চিত হন, তত ক্ষণে বিমান গড়াতে শুরু করে দিয়েছে। বিমান থামাতে তখন শরণাপন্ন হতে হয় এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল (এটিসি)-এর। এটিসি-র সঙ্গে যোগাযোগ হয় পাইলটের।
আলফা ট্যাক্সিওয়ে দিয়ে যাওয়ার সময়ে পাইলটের কাছে খবর পাঠানো হয় এটিসি থেকে। বলা হয়, সন্দেহভাজন ব্যক্তি রয়েছেন বিমানে। রানওয়েতে না ঢুকে পাইলট অন্য ট্যাক্সিওয়ে দিয়ে বিমান নিয়ে ফিরে আসেন টার্মিনালের কাছে। ৭টা ২৬-এ সেই বিমান এসে থামে ২১ নম্বর পার্কিং বে-তে। বিমানবন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিআইএসএফ-এর অফিসারদের সঙ্গে নিয়ে ডিআরআই বিমানে ওঠে। ‘সিক্স ই’ আসনে থাকা ওই যাত্রীকে নামিয়ে শুল্ক দফতরে যান অফিসারেরা। বিদেশ থেকে সোনা আমদানকারী ওই ব্যক্তির ক্ষেত্রে প্রাথমিক ভাবে কিছু অনিয়মের অভিযোগ এসেছে বলে জানা গিয়েছে।
এক ঘণ্টা পরে অভিযুক্তকে রেখে বিমানটি ফের কলকাতা ছাড়ে ৮টা ১৭ মিনিটে।