বাড়িতে বৃদ্ধের পচাগলা ঝুলন্ত দেহ

প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের অনুমান, অন্তত তিন দিন আগেই মৃত্যু হয়েছে নিমতার বাটার মোড় এলাকার বাসিন্দা ওই বৃদ্ধের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ এপ্রিল ২০১৮ ০১:৫৭
Share:

বাড়ির বাইরে খুব একটা বেরোতেন না বৃদ্ধ। মাঝেমধ্যে যেটুকু বা বেরোতেন, তা-ও দেখা যাচ্ছিল না কয়েক দিন ধরে। বৃহস্পতিবার সকালে ওই বৃদ্ধের ঘর থেকে দুর্গন্ধ পেয়ে এক প্রতিবেশী কোনও মতে জানলা ফাঁক করে দেখেন, সিলিং থেকে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলছে ওই বৃদ্ধের পচাগলা দেহ!

Advertisement

প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের অনুমান, অন্তত তিন দিন আগেই মৃত্যু হয়েছে নিমতার বাটার মোড় এলাকার বাসিন্দা ওই বৃদ্ধের।
মৃতের নাম সুভাষচন্দ্র রায় (৬৫)। তিনি একটি ইস্পাত তৈরির সংস্থার প্রাক্তন কর্মী। আদতে নিউ ব্যারাকপুরের বাসিন্দা সুভাষবাবু নিমতায় শ্বশুরবাড়িতেই থাকতেন। অবসর নেওয়ার পরে কয়েক লক্ষ টাকা পেয়ে শ্বশুর যামিনী কুমারের পরিত্যক্ত বাড়ির পিছন দিকে নতুন একটি বাড়ি তৈরি করিয়েছিলেন সুভাষবাবু। সেখানে তাঁর ছেলে, মেয়ে, জামাই, স্ত্রী, শ্বশুর ও শাশুড়ি থাকলেও তাঁদের সঙ্গে থাকতেন না সুভাষবাবু। যামিনীবাবুর পরিত্যক্ত বাড়ির একটি ঘরেই একা থাকতেন তিনি।

প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জেনেছে, নিরীহ স্বভাবের হলেও পরিবারের কাউকেই খুব একটা বিশ্বাস করতেন না সুভাষবাবু। তা নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গেও তাঁর বনিবনা ছিল না বলেই জেনেছেন তদন্তকারীরা। একাই বাইরে থেকে খাবার কিনে এনে খেতেন ওই বৃদ্ধ। এ দিন সকাল আটটা নাগাদ বিমল বসাক নামে এক প্রতিবেশী প্রথমে ওই পচা গন্ধ পান। তিনি বলেন, ‘‘আমার বাড়ির পাশেই সুভাষবাবুর ঘর। সকালে খুব পচা গন্ধ বেরোচ্ছিল। সন্দেহ হওয়ায় ওঁর ঘরের জানলা ঠেলে দেখি ওই দৃশ্য।’’ বিমলবাবুই সকলকে খবরটি জানান।

Advertisement

খবর পেয়ে নিমতা থানার পুলিশ এসে ঘরের দরজা ভাঙে। দেখা যায়, সিলিংয়ের হুকের সঙ্গে দড়ি বেঁধে ফাঁস দেওয়া রয়েছে সুভাষবাবুর গলায়। খাটের ছত্রিগুলি খুলে পড়ে রয়েছে। মশারিও এক দিক থেকে খুলে পড়ে রয়েছে। খাটের উপরেই পড়ে রয়েছে লাল রঙের একটি প্লাস্টিকের টুল। ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডেপুটি কমিশনার (জোন ২) ধ্রুবজ্যোতি দে বলেন, ‘‘দেহটিতে পচন ধরে গিয়েছে। ময়না-তদন্তের রিপোর্ট আসার পরেই সব বোঝা যাবে। তবে কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি।’’ সুভাষবাবুর বাড়ির লোক অবশ্য এ দিন কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন