বিষ-কাণ্ডে মৃত্যু হল যাদবপুরের বৃদ্ধার

হাসপাতাল সূত্রে খবর, বিষ খাওয়ার জেরে অসুস্থতার পাশাপাশি উচ্চ রক্তচাপ এবং মধুমেহ রোগ ছিল তাঁর। ভর্তির পর থেকে একাধিক বার আইসিইউ-তে রাখতে হয়েছে তাঁকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ এপ্রিল ২০১৮ ০১:৫৮
Share:

প্রতীকী ছবি।

দশ দিন হাসপাতালে কাটিয়ে মারা গেলেন যাদবপুরের ইব্রাহিমপুর রোডে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টার ঘটনায় অসুস্থ বৃদ্ধা। শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ এম আর বাঙুর হাসপাতালেই মৃত্যু হয়েছে স্বাতী সরকার (৬২) নামে ওই বৃদ্ধার।

Advertisement

হাসপাতাল সূত্রে খবর, বিষ খাওয়ার জেরে অসুস্থতার পাশাপাশি উচ্চ রক্তচাপ এবং মধুমেহ রোগ ছিল তাঁর। ভর্তির পর থেকে একাধিক বার আইসিইউ-তে রাখতে হয়েছে তাঁকে। এক চিকিৎসক জানান, গত দু’দিন চিকিৎসায় কোনও সাড়া দিচ্ছিলেন না তিনি। শুক্রবার তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়। ওই রাতেই তাঁর মৃত্যু হয়। শনিবার স্বাতীদেবীর দেহ ছোট ছেলের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।

পুলিশ সূত্রের খবর, গত ৪ এপ্রিল ইব্রাহিমপুর রোডের একটি আবাসনে একই পরিবারের তিন জন বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, ব্যাঙ্ক এবং পাওনাদারের কাছে অনেক টাকা ধার থাকায় মা এবং দুই ছেলে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেন। ১২ বছর আগে আর্থিক কারণেই আত্মহত্যা করেছিলেন গৃহকর্তা। পুলিশ জানিয়েছিল, ২ এপ্রিল তাঁরা তিন জনে বিষ খেয়ে নিজেদের ঘরে পড়েছিলেন। ৪ এপ্রিল সকালে হুঁশ ফেরে ছোট ছেলের। তিনিই ফোনে মামা প্রদীপ বসুকে বিষয়টি জানান। প্রদীপবাবু গিয়ে দিদি এবং দুই ভাগ্নেকে উদ্ধার করেন। যাদবপুর থানায় ফোন করে তিনিই বিষয়টা জানান।

Advertisement

পুলিশ তিন জনকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে বড় ছেলে অনির্বাণ সরকারকে (৩৫) মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। এর পর থেকে ওই হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন অনির্বাণের মা স্বাতীদেবী এবং ২৬ বছর বয়সী ছোট ভাই। বুধবারই ছোট ভাই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে দাদার শেষকৃত্য করেছিলেন।

সরকার পরিবারের এক আত্মীয় বললেন, ‘‘মাসিমাকে নিয়ে ভয়ে ছিল। এত বয়সে ধকল সইতে পারবেন কি না!’’ মায়ের মৃত্যুতে ওই যুবক অবশ্য নির্বিকার। ফোনে বললেন, ‘‘পরিবারে আর কেউ রইল না। সব ধার আমাকে মেটাতে হবে!’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement