পাতিপুকুর আবার পুকুর, বিকল দু’টি বাস

প্রায় এক ঘণ্টা ধরে এক দিকের রাস্তা রুদ্ধ থাকায় গাড়ির চাপে হাঁসফাঁস করতে থাকে যশোর রোড। বিমানবন্দরমুখী রাস্তা দিয়ে দু’দিকের গাড়ি চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েও লাভ হয়নি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ মে ২০১৮ ০২:৪৪
Share:

পানি-পথ: জমা জলে আটকে বাস। মঙ্গলবার, পাতিপুকুর আন্ডারপাসে। নিজস্ব চিত্র

মাত্র ঘণ্টাখানেকের বৃষ্টিতেই পাতিপুকুর আন্ডারপাসের হাবুডুবু অবস্থা। আর সেই জমা জলে অল্প সময়ের ব্যবধানে বিকল হয়ে দাঁড়িয়ে পড়ল দু’টি বাস। যার জেরে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মুখ থুবড়ে পড়ল যশোর রোডের যান চলাচল। দিনের শেষে বাড়ি ফেরার পথে তীব্র ভোগান্তির শিকার হলেন সাধারণ মানুষ।

Advertisement

মুষলধারে বৃষ্টি হলে পাতিপুকুর আন্ডারপাস যে জলের তলায় চলে যাবে, তা সবারই জানা। এ দিনও তার ব্যতিক্রম হয়নি। আন্ডারপাসের কলকাতামুখী রাস্তায় হাঁটুজল ঠেলে পারাপার শুরু করেন গাড়ি ও মোটরবাইকের চালকেরা। কিন্তু গোল বাধে ৩সি/১ রুটের একটি বাস জলের মধ্যে বিকল হয়ে গেলে। গত বছরও একই কাণ্ড ঘটে। সে বার পাটাতনের সাহায্যে যাত্রীদের উদ্ধার করা হয়েছিল। এ বার তার প্রয়োজন না পড়লেও মুহূর্তের মধ্যে কলকাতামুখী যশোর রোডে দু’টি সারিতে পরপর গাড়ি দাঁড়িয়ে পড়ে। এক সময়ে গাড়ির লাইন বাঙুর ছাড়িয়ে যায়।

এই পরিস্থিতিতে বিকল বাস সরানোর কাজে নামে শ্যামবাজার ট্র্যাফিক গার্ড। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ প্রথম বাসটি আন্ডারপাসের নীচে বিকল হয়ে যায়। আধ ঘণ্টার চেষ্টায় সেটি সরাতে সক্ষম হয় পুলিশ। কিন্তু দশ মিনিট না গড়াতেই ৪৭বি রুটের একটি ফাঁকা বাস আন্ডারপাসের নীচে বিকল হয়ে পড়লে মাথায় হাত পড়ে কর্তব্যরত পুলিশকর্মীদের। পৌনে ৯টা নাগাদ ওই বাসটিকে আন্ডারপাস থেকে সরানো সম্ভব হয়।

Advertisement

প্রায় এক ঘণ্টা ধরে এক দিকের রাস্তা রুদ্ধ থাকায় গাড়ির চাপে হাঁসফাঁস করতে থাকে যশোর রোড। বিমানবন্দরমুখী রাস্তা দিয়ে দু’দিকের গাড়ি চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েও লাভ হয়নি। রাত পর্যন্ত যানজট ছাড়াতে হিমশিম অবস্থা হয়েছে পুলিশের। আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জন্য যশোর রোড দিয়ে অ্যাম্বুল্যান্সের যাতায়াত বেশি। দুর্ভোগে পড়েন হাসপাতালমুখী রোগীরাও। বেলগাছিয়া মেট্রো স্টেশন থেকে নেমে গন্তব্যে পৌঁছতে গিয়ে বিপাকে পড়েন অসংখ্য যাত্রী।

নাগেরবাজারে কাজ সেরে বাড়ি ফেরার পথে বাঙুরে প্রায় এক ঘণ্টা গাড়িতে আটকে ছিলেন সঞ্জিত বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, ‘‘আন্ডারপাসে বৃষ্টি হলেই জমা জল দাঁড়িয়ে যায়। কবে যে এর থেকে রেহাই মিলবে?’’

আন্ডারপাসে জল জমা প্রসঙ্গে দক্ষিণ দমদমের পুরপ্রধান বলেন, ‘‘জল যাতে দ্রুত নামে, তার জন্য দু’টি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন পাম্প রয়েছে। কেন এই পরিস্থিতি হল, তা খতিয়ে দেখব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন