calcutta News

বাঘ-সিংহের উচ্ছিষ্ট মাংস কোথায় যায়, জানার সুযোগই মিলল না

শুক্রবার চিড়িয়াখানা পরিদর্শনে গিয়ে বাড়তি মাংসের বিষয়টি জানতে পারে পুরসভার প্রতিনিধি দল। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ তাদের জানান, প্রতিদিন প্রায় ২০-২৫ কেজি মাংস বাড়ি থাকে। যা নিয়ে যান রামপ্রীত।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ মে ২০১৮ ১৮:১০
Share:

আলিপুর চিড়িয়াখানায় বাঘ-সিংহের উচ্ছিষ্ট মাংস কোথায় যায় তার হদিস করতে গিয়ে ফের হোঁচট খেল পুরসভা।

আলিপুর চিড়িয়াখানায় বাঘ সিংহের না-খাওয়া মাংস কোথায় যায়, তার হদিস করতে গিয়ে হোঁচট খেল পুরসভা। যিনি প্রতিদিন ওই মাংস নিয়ে যান, তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করার সুযোগই মিলল না। পুরসভা সূত্রের দাবি, ফুড সেফটি অফিসার এসেছেন শুনেই শনিবার চিড়িয়াখানা থেকে তিনি পালিয়ে যান। তবে উচ্ছিষ্ট মাংস নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে চিড়িয়াখানা যাঁর সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ, সেই রামপ্রীত দাস এ দিন ঝাড়খণ্ড থেকে ফোনে আনন্দবাজারের কাছে দাবি করেন, তিনি ওই মাংস ধাপায় ফেলে দেন। হাড়গোড় দেন সার কারখানায়।

Advertisement

শুক্রবার চিড়িয়াখানা পরিদর্শনে গিয়ে বাড়তি মাংসের বিষয়টি জানতে পারে পুরসভার প্রতিনিধি দল। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ তাদের জানান, প্রতিদিন প্রায় ২০-২৫ কেজি মাংস বাড়ি থাকে। যা নিয়ে যান রামপ্রীত। তিনি সেই মাংস মাছের খাবার হিসেবে ব্যবহার করেন বলে জানিয়েছেন চিড়িয়াখানাকে। কিন্তু ভাগাড়ের মাংস মানুষের পাতে যাওয়ার অভিযোগ ঘিরে শোরগোলের পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নেয় পুরসভা। গড়া হয় বিশেষ টিম।

এ দিন সকাল আটটা নাগাদ চিড়িয়াখানায় যান পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের আধিকারিকেরা। গিয়ে শোনেন, সকাল সাড়ে ৬টায় রামপ্রীতের হয়ে সীতারাম দাস নামে একজন মাংস নেওয়ার জন্য ঢুকেছেন। তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়। কিন্তু পুর আধিকারিকদের বক্তব্য, তাঁদের আসার খবর শুনেই চিড়িয়াখানা ছেড়ে চলে যান সীতারাম।

Advertisement

চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের অবশ্য বক্তব্য, সীতারাম আগেই চলে গিয়েছিল। অধিকর্তা আশিসকুমার সামন্ত বলেন, ‘‘পুরসভার অফিসারদের বলেছিলাম সকাল সাড়ে ৭টার মধ্যে আসতে। না আসায় এটা হয়েছে।’’ তাঁরা রামপ্রীতের লোককে আটকে রাখেননি কেন? অধিকর্তা বলেন, ‘‘ওঁকে আগে থেকে কিছু জানাতে চাইনি।’’

পুরমহলে প্রশ্ন উঠছে, ভাগাড়ের মাংস নিয়ে এত হইচইয়ের পরেও চিড়িয়াখানা কতৃর্পক্ষ এ ব্যাপারে তৎপর নন কেন? আশিসবাবুর ব্যাখ্যা, ‘‘ওই ব্যক্তি উচ্ছিষ্ট মাংস নিয়ে বাইরে কী করছেন তা আমরা বলতে পারব না। পুরসভাকে সব তথ্য দিয়েছি। ওঁরা তদন্ত করুন।’’

রামপ্রীতকে এ দিন ফোনে ধরা হলে তিনি জানান, পারিবারিক অনুষ্ঠানো যোগ দিতে তিনি এখন ঝাড়খণ্ডে। মাংস নিয়ে কী করেন জানতে চাওয়া হলে তাঁর জবাব, ‘‘আগে মাছের খাবারের জন্য দিয়েছি। এখন ধাপায় ফেলি। কখনও বা সার কারখানায় হাড়গোড় দিই।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন