তিন মাত্রার আলো-শব্দে গল্প শোনাবে ভিক্টোরিয়া

এ বার ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের লাইট অ্যান্ড সাউন্ড শো এই ভাবেই সাজাতে চলেছেন কর্তৃপক্ষ। ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের কিউরেটর জয়ন্ত সেনগুপ্ত বলেন, ‘‘অত্যাধুনিক এই ডিজিটাল লাইট অ্যান্ড সাউন্ড শো হবে ত্রিমাত্রিক।

Advertisement

আর্যভট্ট খান

শেষ আপডেট: ১৮ মে ২০১৮ ০১:৩৮
Share:

রবীন্দ্রনাথ থেকে রামমোহন, বিদ্যাসাগর থেকে জোব চার্নক এ বার গল্প শোনাবেন ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে। কলকাতা শহরের ৩০০ বছরের ইতিহাস জীবন্ত হয়ে উঠবে তাঁদের কথায়। জোব চার্নক জানাবেন, কেন হুগলি নদীর তীরে নোঙর করে তাঁর পছন্দ হয়ে গিয়েছিল সুতানুটি, কলিকাতা ও গোবিন্দপুর গ্রাম তিনটি।

Advertisement

এ বার ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের লাইট অ্যান্ড সাউন্ড শো এই ভাবেই সাজাতে চলেছেন কর্তৃপক্ষ। ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের কিউরেটর জয়ন্ত সেনগুপ্ত বলেন, ‘‘অত্যাধুনিক এই ডিজিটাল লাইট অ্যান্ড সাউন্ড শো হবে ত্রিমাত্রিক। কলকাতার ইতিহাসের উল্লেখযোগ্য চরিত্রগুলি এ ভাবেই ফুটিয়ে তোলা হবে। কথাও বলবে চরিত্রগুলি। প্রথাগত লাইট অ্যান্ড সাউন্ডের মতো ভাষ্যপাঠ থাকবে না।’’ অত্যাধুনিক এই শো নিয়ে রীতিমতো উত্তেজিত ভিক্টোরিয়া কর্তৃপক্ষ। তাঁদের দাবি, দেশের মধ্যে খুব কম জায়গাতেই আছে এই ধরনের ডিজিটাল লাইট অ্যান্ড সাউন্ড শো। তাঁরা জানাচ্ছেন, পর্দাতে নয়, ভিক্টোরিয়ার দেওয়ালেই ফুটে উঠবে কলকাতার ইতিহাস।

ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে ১৯৯১ সালে শুরু হয়েছিল লাইট অ্যান্ড সাউন্ড শো। কয়েক বছর চলার পরে তা বন্ধ হয়ে যায়। সেটি ছিল অন্য জায়গার মতোই প্রথাগত লাইট অ্যান্ড সাউন্ড শো। ভিক্টোরিয়ায় ওই শো-তে বাংলা ও ইংরেজিতে ভাষ্য পাঠ থাকত। সঙ্গে ছিল আলোর কায়দা। বাংলায় ওই শোয়ের ভাষ্যটি লিখেছিলেন সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়। বাংলায় ভাষ্য পাঠ করেছিলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় ও ইংরেজিতে পাঠ করেছিলেন ধৃতিমান চট্টোপাধ্যায়। জয়ন্তবাবু বলেন, ‘‘এ বার কোনও বিখ্যাত মানুষ এই ভাষ্য লিখছেন না বা পাঠ করছেন না। কলকাতার ইতিহাস নিয়ে চর্চা করেন এমন কয়েক জন বিশেষজ্ঞ শোয়ের চিত্রনাট্য লিখছেন।’’

Advertisement

সূত্রের খবর, এ বার ইংরেজি ও বাংলার সঙ্গে হিন্দিতেও শোনা যাবে এই শো। আধিকারিকেরা জানালেন, বছরে গড়ে ৩৬ লক্ষ পর্যটক ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল দেখতে আসেন। কর্তৃপক্ষের দাবি, দেশের খুব কম স্মৃতিসৌধতে এত ভিড় হয়। বিভিন্ন রাজ্য থেকে আসা পর্যটকদের অনেকেই ইংরেজি বা বাংলা বোঝেন না। তাই হিন্দিতেও শো করা হচ্ছে।

দর্শকদের বসার ব্যবস্থাও আগের তুলনায় বেশি হবে। তবে টিকিটের দামের খুব একটা হেরফের হবে না বলে কর্তৃপক্ষের দাবি। কিউরেটর জয়ন্তবাবু বলেন, ‘‘ভিক্টোরিয়ায় সংস্কার চলছে। আশা করছি মাস কয়েকের মধ্যেই শো চালু করতে পারব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন