মেয়রের গৃহযুদ্ধে বাড়িতে বাউন্সার

মেয়র-মন্ত্রীর পৈতৃক বাড়ি। বেহালার মহারানি ইন্দিরাদেবী রোডে সেই বাড়ি ‘গোপাল ভবন’-এর সামনে এমনিতেই সর্বক্ষণ মোতায়েন রয়েছে কলকাতা পুলিশের একটি দল। তার উপরে মঙ্গলবার সকালে কালো সাফারি পরা এক মহিলা সেখানে হাজির হতেই চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ মে ২০১৮ ১৬:৪২
Share:

পাহারা: মেয়রের বাড়ির সদরে মহিলা বাউন্সার। মঙ্গলবার। নিজস্ব চিত্র

মেয়র-মন্ত্রীর পৈতৃক বাড়ি। বেহালার মহারানি ইন্দিরাদেবী রোডে সেই বাড়ি ‘গোপাল ভবন’-এর সামনে এমনিতেই সর্বক্ষণ মোতায়েন রয়েছে কলকাতা পুলিশের একটি দল। তার উপরে মঙ্গলবার সকালে কালো সাফারি পরা এক মহিলা সেখানে হাজির হতেই চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

Advertisement

ওই মহিলাকে দেখেই তেতে ওঠেন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, ‘‘মহিলাকে বাড়িতে দেখেই জিজ্ঞাসা করি, ‘আপনি কে?’ মহিলা জানান, তিনি বাউন্সার। যাঁরা ওই বাড়িতে ঢুকছেন, তাঁদের নামধাম রেজিস্টারে লেখা হচ্ছে কি না, তিনি তা দেখবেন।’’

রত্নাদেবী বলেন, ‘‘সঙ্গে সঙ্গে ওই বাউন্সারকে বলি, ‘আপনি আমার বাড়ির উপরে নজরদারি করতে এসেছেন! বাউন্সার বলে ভয় দেখাতে এসেছেন! এত বড় সাহস আপনার? কে পাঠিয়েছে আপনাকে? ফোনে ধরুন তাঁকে। আমি কথা বলব’।’’

Advertisement

আগন্তুক মহিলা তখন তাঁর নিয়োগকারী সংস্থার মালিককে ফোনে সব জানান। মেয়রকেও ফোন করেন ওই মহিলা। এবং পরে রত্নাদেবীকে ফোনটি দেন। রত্নাদেবী বলেন, ‘‘শোভনের ফোন বলায় আমি সেটা ধরি। তবে আমার গলা শুনেই লাইন কেটে দেওয়া হয়।’’ পর্ণশ্রী থানায় পুরো বিষয়টি জানানো হয়েছে বলে জানান রত্নাদেবী।

নিজের বাড়িতে বাউন্সার কেন?

এই নিয়ে মেয়র এক বৈদ্যুতিন মাধ্যমে বলেছেন, ‘‘আমার বাড়িতে মামলার বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ফাইল রয়েছে। তাই ওখানে কে যাচ্ছে, না-যাচ্ছে, সেটা দেখা দরকার। ওই বাড়িতে আমার ছেলেমেয়ের থাকার অধিকার আছে, সবার তো নেই। কে কে যাচ্ছে, তা দেখার জন্য নিরাপত্তারক্ষী পাঠানো হয়েছে।’’

মেয়রের বক্তব্য শুনে রত্নাদেবী বলেন, ‘‘বাড়ির সামনে কলকাতা পুলিশ তো মোতায়েন আছে। তাদের উপরে কি শোভনবাবুর ভরসা নেই!’’

আদালতে শোভনবাবু এবং রত্নাদেবীর বিবাহবিচ্ছেদের মামলা চলছে। তার মধ্যেই দূরে দূরে থেকে মেয়র ও মেয়র-ঘরনির এই বাগ্‌যুদ্ধ ঘিরে এ দিন জল্পনা তুঙ্গে ওঠে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন