বছরের গোড়া থেকে প্রচার শুরু করলেও হুঁশ ফেরেনি বাসিন্দাদের একাংশের। কয়েকটি ব্লকে অভিযানে গিয়ে সেই ছবিই দেখলেন বিধানগরের পুর কর্তা এবং স্বাস্থ্য আধিকারিকেরা।
মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধের প্রচারের পরে এখন কী অবস্থা পুর এলাকার, মঙ্গলবার তা দেখতে সল্টলেকের তিন নম্বর সেক্টরে কেবি এবং এলএ ব্লকের বেশ কয়েকটি জায়গায় অভিযান চালান পুর আধিকারিকেরা। এ দিন তাঁরা দেখেন, ঝোপ-জঙ্গল, জমা জল এবং আবর্জনার স্তূপ রয়েছে ওই সব জায়গায়। এমনকী মশার লার্ভাও মিলেছে সেখানে। পুরসভার তরফে ওই জায়গার মালিকদের ৪৮ ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যেই জমি পরিষ্কার করতে হবে। কয়েকটি জায়গার মালিকের সন্ধান মেলেনি। তাঁদের খোঁজ করে পদক্ষেপ করা হবে বলে জানান বিধাননগরের মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) প্রণয় রায়।
বিধাননগর পুরসভার ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মিনু দাস চক্রবর্তীর অভিযোগের ভিত্তিতে এ দিন অভিযান হয় বলে জানান মেয়র পারিষদ। ওই ওয়ার্ডে নিউ কেবি ১৭, ২০, কেবি ২১ এলএ ব্লকের
তিন নম্বর প্লটে অভিযান চলে। নিউ কেবি ১৭ নম্বর প্লটে দেখা যায়, আবর্জনা ও আগাছায় ভরা জমি, পচা জলে ভর্তি দু’টি ডোবা ও সাত ফুট গভীর একটি কুয়ো রয়েছে। সেখানেই লার্ভার সন্ধান পেয়েছে পুরসভা। জঙ্গলে ঢেকেছে এলএ তিন নম্বর প্লট। সেখানে একটি গুমটিতে চা ও দুধের ব্যবসা হয়। পুরকর্মীরা সেখান থেকে প্রচুর পরিমাণ ব্যবহার করা চায়ের কাপ, দুধের প্যাকেট, কাচের বোতল পেয়েছেন। জল ভর্তি চারটি বোতল পরীক্ষার জন্য বাজেয়াপ্ত করেছেন পুরকর্মীরা।
মেয়র পারিষদ বলেন, ‘‘এ দিনের অভিযানের পরে জমি মালিকদের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জমি সাফ করতে বলা হয়েছে। দু’টি প্লটের মালিকের খোঁজ চলছে।’’ তিনি জানান, এখনই পদক্ষেপ না করলে বর্ষায় ভয়াবহ অবস্থা হবে। মালিক জমি পরিচ্ছন্ন না রাখলে প্রয়োজনে আইনের দ্বারস্থ হবে পুরসভা।