লাগাতার প্রচারই সার। এইচআইভি-র ভয়ে ছুৎমার্গের অভিযোগ এ বার পুলিশের বিরুদ্ধেও। ছিনতাইয়ের অভিযোগে আটক হওয়া এক যুবক এইচআইভি পজিটিভ জানতে পারায় তাকে জেরা করতেও চাননি বলে অভিযোগ উঠেছে নেতাজিনগর থানার পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে। শেষ পর্যন্ত ডিসি (এসএসডি) সন্তোষ নিম্বলকরের মধ্যস্থতায় ওই যুবককে পুনর্বাসন কেন্দ্রে পাঠানো হয়।
পুলিশ জানায়, কালীঘাটের বাসিন্দা বছর পঁচিশের ওই যুবককে মঙ্গলবার দুপুরে নেতাজিনগর থানার পুলিশ আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করার পরে পুলিশ জানতে পারে, ওই যুবকের নেশা করার অভ্যাস রয়েছে। নেশা করার জন্য সে টিকটিকিও খায়। এর পরেই কালীঘাট এলাকায় তার ব্যাপারে বিস্তারিত খোঁজ নিতে শুরু করে পুলিশ। প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জানতে পারে, ওই যুবক এইচআইভি পজিটিভ।
সূত্রের খবর, এই কথা জানার পরে পুলিশকর্মীরা আতঙ্কিত হয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে অস্বীকার করেন। খবর যায় ডিসি (এসএসডি) র কাছে। ডিসি পুলিশকে অযথা আতঙ্কিত হতে বারণ করেন। এমনকী এইচআইভি যে স্পর্শের মাধ্যমে ছড়ায় না, সে কথাও পুলিশদের স্মরণ করান তিনি। সন্তোষবাবু বলেন, ‘‘পুনর্বাসন কেন্দ্রে পাঠানোর পরে মেডিক্যাল পরীক্ষা করে প্রমাণিত হয়েছে ওই যুবক এইচআইভি পজিটিভ।’’ পরে অবশ্য সন্তোষবাবু পুলিশের আতঙ্কিত হওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘ওই যুবক নেশা করত। এমনকী, আত্মঘাতী হওয়ারও প্রবণতা ছিল। অসংলগ্ন আচরণ দেখে পুলিশ আতঙ্কিত হয়ে যায়। ওকে ভয় পেত এলাকার মানুষরাও।’’