ফাইল চিত্র।
সোমবারের দুর্ভোগ থেকে শিক্ষা নিয়ে শেষ পর্যন্ত একযোগে ভিআইপি রোডের মূল রাস্তা বন্ধ রেখে ভূগর্ভস্থ পথ নির্মাণের সিদ্ধান্ত থেকে সরে দাঁড়াল পুলিশ প্রশাসন। মঙ্গলবার বিধাননগর কমিশনারেটের ডিসি (সদর) অমিত জাভালগি বলেন, ‘‘দু’দিন পরীক্ষামূলক ভাবে বিকল্প পথে যান চলাচলের পরে একটি বিষয় স্পষ্ট যে, ভিআইপি রোডের দু’দিকের রাস্তা বন্ধ করে ভূগর্ভস্থ পথের কাজ অসম্ভব।’’ এই পরিস্থিতিতে আজ, বুধবার রাত ন’টা থেকে শুধু গোলাঘাটা ও শ্রীভূমির অংশে বিমানবন্দরগামী রাস্তা বন্ধ রেখে ভূগর্ভস্থ পথ তৈরির কাজ শুরু হবে। এর পরেও যানজট হলে কলকাতাগামী রাস্তা দিয়েও বিমানবন্দরের দিকে গাড়ি চালানো হতে পারে।
গোলাঘাটা এবং শ্রীভূমির ভূগর্ভস্থ পথ নির্মাণের জন্য ভিআইপি রোডের মূল রাস্তা কেটে কাজ করার কথা কমিশনারেটকে জানিয়েছিলেন পূর্ত দফতরের কর্তারা। সেই মতো মূল রাস্তা বন্ধ থাকলে কী পরিস্থিতি হতে পারে, তা দেখতে রবিবার থেকে সংশ্লিষ্ট দু’টি ভূগর্ভস্থ পথের অংশে সার্ভিস রোড দিয়ে গাড়ি চালানো হয়। যার জেরে সোমবার চরম দুর্ভোগে পড়েন মানুষ।
যানজটে নাজেহাল যাত্রীদের বক্তব্য ছিল, আগাম ঘোষণা ছাড়া কেন ভিআইপি রোডের মতো রাস্তার মূল অংশ বন্ধ রেখে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হল? এমন পরিকল্পনার কথা কমিশনারেটের তরফে জানানো হয়েছিল। কিন্তু তার তারিখ নির্দিষ্ট করে বলতে পারেননি কমিশনারেট এবং পূর্ত আধিকারিকেরা। এ দিনের সাংবাদিক বৈঠকে ডিসি (সদর) জানান, হঠাৎ পরীক্ষামূলক প্রক্রিয়া চালু করার জন্য সাধারণ মানুষের ভোগান্তি হয়েছে।
পূর্ত দফতর সূত্রের খবর, ভূগর্ভস্থ পথের কাজ শুরু হলে তা অন্তত মাস তিনেক চলবে। এর মধ্যে যাতে সোমবারের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়, সে বিষয়ে সতর্ক থাকবে পুলিশ। কমিশনারেটের কর্তাদের দাবি তেমনই। ডিসি (সদর) জানান, উল্টোডাঙা উড়ালপুল থেকে নেমে গোলাঘাটা বাসস্ট্যান্ডের কাছে সার্ভিস রোড ধরবে বিমানবন্দরগামী গাড়িগুলি। প্রকল্প এলাকা পার হয়ে শ্রীভূমি বাসস্ট্যান্ডের কাছে সার্ভিস রোডের যানবাহন মূল রাস্তায়
উঠবে। সন্ধ্যায় বিমানবন্দরগামী ভিআইপি রোডে গাড়ির চাপ বেশি থাকে। তখন সমস্যা হলে কিছু গাড়ি কলকাতাগামী রাস্তা ধরে বিমানবন্দরের দিকে যেতে পারবে।
এ দিন ডিসি (সদর) বলেন, ‘‘রাস্তায় লেনের সংখ্যা কমে যাওয়ায় সমস্যা দেখা দিয়েছিল। এ বার লেনের সংখ্যা যাতে একই থাকে, তা নিশ্চিত করে যাবতীয় পরিকল্পনা হয়েছে।’’
তবুও বিমানবন্দরগামী যাত্রীদের দুর্ভোগের শঙ্কা কাটছে না। কারণ বিমানযাত্রীরা যাত্রাপথের বাধা কাটাতে নিউ টাউনের রাস্তা ধরেও সমাধান সূত্র না পেতে পারেন। কারণ কমিশনারেট সূত্রের খবর, মেট্রো প্রকল্পের জন্য আগামী কয়েক মাস বিশ্ববঙ্গ সরণিতে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ হতে পারে। সে ক্ষেত্রে হাতে সময় নিয়ে বেরোনো ছাড়া গতি নেই।