মশা রুখতে গাপ্পি

ওই সূত্রের খবর, ডেঙ্গির বাহক এডিস ইজিপ্টাই এবং ম্যালেরিয়ার বাহক অ্যানোফিলিস স্টিফেনসাই মশা নির্মূল করতে মাছ ছাড়ার এই প্রক্রিয়ায় মৎস্য দফতর এবং জেলা প্রশাসনকে একসঙ্গে কাজ করতে বলা হয়েছে।

Advertisement

অনুপ চট্টোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ১১ এপ্রিল ২০১৮ ০২:২৬
Share:

ডেঙ্গি এবং ম্যালেরিয়া রুখতে এ বার রাজ্যের জেলায় জেলায় পুকুর-খাল-বিলে ছাড়া হবে গাপ্পি, গাম্বুসিয়া এবং তেলাপিয়া জাতীয় মাছ। ওই সব মাছ মশার লার্ভা খেয়ে নেয়। তাই ডিম থেকে পূর্ণাঙ্গ মশার জন্ম হতে পারে না। পতঙ্গবিদদের পরামর্শে রাজ্য সরকার মশা নিয়ন্ত্রণের জন্য সম্প্রতি এমনই নির্দেশিকা জারি করেছে বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর।

Advertisement

ওই সূত্রের খবর, ডেঙ্গির বাহক এডিস ইজিপ্টাই এবং ম্যালেরিয়ার বাহক অ্যানোফিলিস স্টিফেনসাই মশা নির্মূল করতে মাছ ছাড়ার এই প্রক্রিয়ায় মৎস্য দফতর এবং জেলা প্রশাসনকে একসঙ্গে কাজ করতে বলা হয়েছে। যে সব জলাভূমিতে মশার বংশবৃদ্ধি হচ্ছে, সেগুলিকে চিহ্নিত করে সেখানে ওই মাছ ছাড়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

মৎস্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ বলেন, ‘‘রাজ্যের যেখানে ওই তিন জাতীয় মাছ লাগবে, সেখানেই তা সরবরাহ করবে মৎস্য দফতর।’’ রাজ্য মৎস্য দফতরের যুগ্ম সচিব বিধান রায় বলেন, ‘‘জেলায় মশার বংশবৃদ্ধি কোথায় হয়, তার হদিস দিতে পারবে জেলা স্বাস্থ্য দফতর। সেই তালিকা পেলেই মশার লার্ভা খায় এমন মাছ সেখানে ছাড়া হবে।’’

Advertisement

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, গত বছর উত্তর ২৪ পরগনার গ্রামীণ এলাকা, কলকাতা লাগোয়া দমদম, দক্ষিণ দমদম, বিধাননগরে ডেঙ্গির সংক্রমণ নিয়ে অস্বস্তিতে পড়েছিল প্রশাসন এবং স্বাস্থ্য দফতর। এ বার সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়, তার জন্য আগেই জেলা ও রাজ্য প্রশাসনকে সতর্ক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ডেঙ্গি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একাধিক বৈঠকও করেছেন। তার পরেই মশার লার্ভা মারার জন্য ওই নির্দেশিকা জারি হয় বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর।

কলকাতা পুরসভার মুখ্য পতঙ্গবিদ দেবাশিস বিশ্বাসের কথায়, ‘‘গাপ্পি, গাম্বুসিয়া জাতীয় মাছের খুব পছন্দের খাবার মশার লার্ভা।’’ মন্ত্রী চন্দ্রনাথবাবু জানান, ওই সব মাছের চাষ হয় রাজ্য মৎস্য উন্নয়ন নিগমের অধীনে। মৎস্য দফতর সূত্রের খবর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় অবিলম্বে ওই মাছ পাঠানো হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন